ছবি-সিরিজ অথবা অস্থিরতা বিষয়ক কবিতামালা
(কৃতজ্ঞতা - মৌমিতা ভট্টাচার্যের আঁকা ছ’টি ছবি)
চোখের জায়গায় একটা গাছের চারা রাখলাম। ভাতে আর কাপড়ে জড়িয়ে রাখলাম বাড়তি ধ্বনিটুকু। তখন শহর বলতে স্রেফ একটা বাদামী অভ্যাস। একটা খুলে ফেলা পরত। লোহাক্ষেতের মরচেগুলো রূপোলী হতে হতে ওভাবে শরীর হয়েছে। আলো একটা বাঁকানো ভঙ্গী তবে। ব্যবহার একটা রঙ। পুরো ঋতু জুড়ে এগিয়ে আসতে থাকে বেড়ে ওঠা সাইড-ভিউ। ঘুমের বাকিটা কোথাও কাঁচের স্তনের ভেতরে চলে যায়। আমাদের নীরব হরফগুলি ভাসতে থাকে গ্লাসের জন্মদাগ ছুঁয়ে ছুঁয়ে...
# * # * #
এই যে নিজেকে লিখছি
এবার রিজেক্ট করুন আমায়
রঙিন খোপগুলোর ভেতর থেকে তুলে আনুন
এতদিন ফেলে রাখা আঙুলসমগ্রে
শান্ত যে একটা মুদ্রা
স্নিগ্ধতার পাশে
রেখে দেওয়া অস্থিরতা বিষয়ক এই সব পংক্তি
নড়াচড়া করতে করতে
ফুলে ওঠা চাঁদের বোঁটা ওখানে
# * # * #
বানানো অনুভূতিগুলো
ক্রমে
অর্থহীন হয়ে পড়ে
প্রাচীন উপগলি বরাবর
যৌনতা বরাবর
সেলাই কারখানার কথা ভাবতে ভাবতে
ভাষার সবটা তুমি চিবিয়ে ফেলতে পারবে না
দৃশ্যের ভেতর
ঘন হয়ে ওঠা ফ্লোরফিনিশের ওপর
# * # * #
এখন উপহার বলতে
এইসব তেকোনা স্মৃতি রাখা হোলো
সাদাটে বিভ্রান্তি রাখা হোলো
ব্যবহার করার জন্য
এই ওভারল্যাপিং ন্যারেটিভে
নিমজ্জমান একটি দুপুরে
চোখ পড়ে
স্থিরতার ব্যাপারে
নতুন প্রোজেক্টের অফিস ট্যুরের ব্যাপারে
আমরা যা যা জানি না...
# * # * #
শুরুতে মনে হয় সব লেখা হয়ে গ্যাছে। শেষে, কিছুই লেখা হয়নি এখনও। আর এই দুইয়ের মধ্যে পড়ে থাকতে থাকতে ঝুনো হয়ে ওঠে একটা লালচে স্পেস। এইসব অসমদূরত্বের কথা আর সমনৈকট্যের কথা বারবার। স্ট্রীমলাইনড হয়ে থাকা একটা লেখাভাবনার কথা। ছিঁড়ে ফেলার কথায় ঘরের মধ্যে শব্দ চাপা পড়ে যাওয়ার শব্দ। ফাঁকা জলের কাছে এসে ফিরে যাওয়া কবিতার পংক্তি। অবয়ব একটা নীরবতা তখন। যা কেঁপে ওঠে তাকে অক্ষর বলি। অপেক্ষাকে যত্ন করি..
সুচিন্তিত মতামত দিন