কর্ণ শীল

মায়াজম
0
                        সমুদ্রশয়তান,,,,,,


ই আসরে আসা হয়নি কোনোদিন। বেণীখুড়ো, সৃঞ্জয়, ধাড়া, গোগোলদের কথা এর ওর মুখে শোনা। আমরা যে ক'জন আড্ডাধারী(ভুল বুঝবেন না গাঁজা, চোলাই জুয়োর ঠেক চালাইনা) , মানে যারা একসাথে তিল কে তাল আর চিল কে চাল ক'রি,একটা চায়ের দোকানে সন্ধ্যেনাগাদ থানা গাড়ি।সন্ধ্যে আটটা নাগাদ আমরা বাড়ি আসার পর শুনেছি, আশেপাশের বসতবাড়িগুলো তে ঘড়ির টিকটিক আওয়াজও গীর্জাঘরের বেলফ্রি টাওয়ারের ঘন্টার আওয়াজের মত মনে হয়। এত নিস্তব্ধ হয়ে যায় চারিদিক।
সেদিন মহাত্মা নিজেই এলেন। অঙ্কুর তো চেয়ার টেয়ার ঝেড়ে বেণীখুড়োকে বসালো, যেন জামনগরের মহারাজাকে সিংহাসনে বসানো হ'ল। 
-কাকিমা, খুড়োর কিন্তু চিনিছাড়া লিকার। আমাদের চিনিঅলা।
খুড়োকে ভালো করে খুঁটিয়ে দেখলাম।মাঝারি উচ্চতাও বলা যাবে না। টেনেটুনে পাঁচ দুই কি আড়াই পর্যন্ত আনা যাবে, তাও ডাকব্যাকের বর্ষার জুতো পরিয়ে। ময়লা মাজা মাজা রঙ, অনেকটা ইঁটচাপা ছাইয়ের মত। মালকোঁচা মারা ধুতি। পাঞ্জাবিটি কিন্তু ধপধপে ফরসা। কোনোজায়গায় কোঁচকানো বা কলারে ময়লা টয়লা নেই একেবারেই। একদম গড়মার্কা লোক। আর পাঁচজনের মধ্যে আলাদা ক'রে চেনাই যাবে না।

দুবার তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে নিয়ে, যে যার মত নিজের আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এই মাধ্যমিকের রেজাল্ট, আম লিচুর দাম, চায়ের চিনি, জুতো সেলাই, বিরিয়ানি, গ্লোব থিয়েটার....ওই চায়ের দোকানে যা হয় আর কি,,,
অমিত জিজ্ঞাসা করলো,
-কর্ণ দা, শুভ্র কোথায় গেছে?
-আর বলিসনা, ব্যাটা দীঘা গেছে। কি যে দেখে সমুদ্র! নোনাজলের তেপান্তর আর চাট্টি চিংড়ির চিতহওয়া কাটলেট। ছোঃ...

-সমুদ্রশয়তানের কথা টা তো বললেনা , কর্ণবাবু?
আচমকা প্রশ্নে থতমত খেয়ে উঠেছিলাম। ব্যাপারটা বোধগম্য করে নেওয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখি, প্রশ্নকর্তা সেই বেঁটে, গুঁফো একমেবাদ্বিতীয়ম্ বেণীদয়াল শর্মা।
বললাম,
-মাফ করবেন, কি বললেন,,,, সমুদ্রশয়তান? জোয়ারভাঁটা, সুনামির কথা বলছেন কি?

পীযূষ ফিসফিস করে জনান্তিকে বললো,
-বুড়োর গুলবাজি শুরু হলো। সামলাও ঠ্যালা,,

-সুনামি, মহীসোপান আন্দোলন থেকে বাঁচার উপায় আছে কর্ণ। কিন্তু সমুদ্রশয়তানের যে রীতিমতো হাত পা মুখ আছে, ভাবনা, দুঃখ, চিন্তা ..আবেগ সব আছে। ঝাউবনের ডালে ডালে সে দীর্ঘশ্বাস হয়ে ঘুরে বেড়ায়। একাকী শুশুকের সুরে গান করে। জ্যোৎস্না হয়ে বিছিয়ে থাকে বৈশাখী পূর্ণিমার তটভূমি তে।
-তাই নাকি! তা, সে বস্তুটি নিজে দেখা না পিসতুতো দাদার জেঠতুতো শালীর ভাসুরের মুখে শোনা?

মৃদু হেসে, চিনিদুধছাড়া চায়ে জম্পেশ করে একটা বড়সড় চুমুক দিয়ে ভদ্রলোক বললেন,
-টেনিদা, ঘনাদার কীর্তিকলাপ আমিও মাথায় ঠেকিয়েই পড়ি। তাঁরা মহাপুরুষ। কল্পনাশক্তি তাঁদের সিকিটিও থাকলে আনন্দ পুরস্কার টুরস্কার বাগিয়েই ফেলতাম মশাই।

-আপনি বলতে চান তবে, সমুদ্র থেকে কোনো প্রেত বা ওইজাতীয় কিছু উঠে এসে বেলাভূমিতে ......
কাঠের বেঞ্চে বসে পড়ে বললাম।

সেই নিজস্বতায় ধীরেসুস্থে বিড়ি ধরানো, ধীরে ধীরে থেমে থেমে স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলা, চায়ের দোকানের টিনের চালে রিমঝিম অঝোরধারা, টেমির মৃদু হলদে আলোর বিপরীতে দেওয়ালের গায়ে লম্বাটে ছায়া,,, সব মিলিয়ে একটা আবহ, একটা ঘেরাটোপের সৃষ্টি হলো। দোকানি চায়ের বড় পাত্রটি ঢাকা দিয়ে উঁচু তেপাইয়ের উপরেই আসনপিঁড়ি হয়ে বসলেন।
-পুরী থেকে চন্দ্রভাগা যাওয়ার বাসরাস্তার ডানপাশে একটা বিশেষ জায়গায় বিরাট কাজুবাদামের বাগান। মাইলকে মাইল লাল হলুদ সবুজ পাতার ফাঁকে মাঝে মাঝে নীল সমুদ্রের চিলতেছবি। 
দেখুন, জগন্নাথস্বামীর মন্দির বা কলিঙ্গরাজ খারবেলের স্থাপত্যগত কীর্তিকলাপ দেখা টেখা সেই পেন্টেলুন পরা বয়েসে বাবা মায়ের সাথে সেরে এসেছি। সেমুখো আর হইনি তাই। লস্করটিও তো একেবারেই যাচ্ছেতাই। আমি, অস্কার, দিলচাঁদ আর উড়ে রাঁধুনি দন্ডধর।

কাজুবাগান যেখানে শেষ, সেখান দিয়ে বয়ে গেছে একটা ক্ষীণ নীল সোঁতা,তার পূবে হলুদ বালির লম্বা উত্তর দক্ষিণে প্রায় দুকিলোমিটারব্যাপী লম্বা চর।তারপর হাওয়ার বিভঙ্গে বিভঙ্গে ভাঙতে থাকা বঙ্গোপসাগরের তরঙ্গমালা। মশাই, সে সৌন্দর্য্য অবর্ণনীয়। রঙীন পাতার বনে হাজারো সামুদ্রিক পাখি। সোঁ সোঁ করে বওয়া একটানা হাওয়া। কবিতার খাতাটা হারিয়ে ফেলেছি, বুইলে, না হলে বেশ বুঝতে পারতে জায়গাটা কেমন।
-"রক্ষে করুন মশাই "অমিত বলল, "আপনার গদ্যটিই বেশ সরেস। কাব্যির গুঁতোয় হয়তো নোনাপানিই জুটতো। গদ্যই চলুক। "
আমি সন্দিগ্ধ হয়ে বললাম,
-আপনারা অমন একটা জায়গায় গেলেন, খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাপনা কি ছিল? পেট ভরতো কি দিয়ে?কবিতা আর প্রকৃতি দিয়ে?

-মাহিন্দ্রা কোম্পানির শক্তপোক্ত হুডখোলা কিছু গাড়ি এখনো দেখতে পাবেন উত্তর বা উত্তর পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাস্তায়। সমতলে এর ব্যবহার কম। দন্ডধরের এক তুতোভাই থাকতো কটকে।সুধাপতি ....না না সতপতি,, মাণিক্য সতপতি। লামডিং -শিলং -লামডিং ট্রাভেল প্যাকেজে গাড়ি চালাতো। বছর চল্লিশেক বয়সে কেওনঝড়ে নিজের বাড়ি ফিরে আসে। জীবনের পুঁজি লাগিয়ে মোটর গ্যারেজ খোলে একটা পুরীর বুকে। পাহাড়ি গাড়িচালকদের মত গাড়ির জ্ঞান খুব কমলোকের থাকে। রাস্তার পাশের গাছের বেড়ার লোহার তার খুলে ফিউজ ক'রে শুধুমাত্র আপার হেডলাইট জ্বালিয়ে চুংথাং থেকে ডিকচু বিচু সংকীর্ণ পাহাড়ি পথে প্রায় সত্তর কিলোমিটার দূরে গ্যাংটক পৌঁছনো, একমাত্র পাহাড়িপথের গাড়িচালকরাই পারেন।এ নিজের চোখে দেখা মশাই। 
সতপতি'র মাহিন্দ্রা জীপে দুইদিন একরাতের মত বিস্কিট, চা, ভালো খাস্তা খাজা, নুন, তেল, আনাজ, মশলা, কেরোসিন স্টোভ, কুকার, দুটো কড়াই, ডিটারজেন্ট আর টয়লেট সোপ, গোটাদশেক রঙববাহারি মুরগী, আটা.,...এলাহি ব্যাপার মশাই। এ শর্মা মরতে গেলেও, চাটাই নিয়েই যাবে।
-তা খুড়ো, ওখানে কি অশোকের কলিঙ্গজয় নিয়ে থিসিস লিখতে গিয়েছিলে?....সৃঞ্জয়ের শ্লেষ।

অসহ্য গরমের শেষে কয়েকপশলা বৃষ্টির ভিজে ভিজে ঠান্ডা হাওয়ায় পরিতৃপ্ত খুড়োর রাগ বোধহয় ঘোলাজল বেয়ে ডোবায় গিয়ে নেমেছে।
-কই গো, মা জননী, ছেলের লিকার বানাও আর একটা। এই টিপটিপানিতে হাড়ের ফুটোয় শ্যাওলা গজিয়ে গেল।
আমাদের প্ল্যান কিছু ছিলনা নির্দিষ্ট। প্যাকেজ ট্যুরে সব ঘুরতে যায়না, পুরী, চন্দ্রভাগা, ধৌলিগিরি, উদয়গিরি....তাদেরই একজনের মুখে জায়গাটার কথা শোনা।উড়িষ্যা ট্যুরিজম্এর বাসের জানালা থেকে দেখেছিল। সেই থেকেই মনে ইচ্ছে ছিল, কোনো জ্যোৎস্নারাতে ওখানে কাটাবো। রান্নাবাড়ার আগুনের আলোছাড়া আর কোন আলো ব্যবহার করবো না। একরাতের তো ব্যাপার।
এই আলো না নেওয়ার কনসেপশনটা দন্ডধরের খুব একটা মনে ধরেনি। গাঁইগুঁই করেও শেষপর্যন্ত রাজী হয়েছিল হয়তো, টাকার পরিমাণ টা দেখেই। 1968 সালে একরাতে দু'শ টাকা বড় কম নয়।
কাজুবাদাম গাছের লালহলুদপাতাগুলোতে বর্ণালির টুকরোটাকরা রেখে সূর্য পশ্চিমের দিগন্তজলাধারে সন্ধ্যের ঢেউ তুলে ডুব দিল। সন্ধ্যাতারা একলা প্রহরীর মত সূর্যদেবের পশ্চিমদেশের গোপন কেল্লার অতন্দ্র প্রহরায় নিযুক্ত হলো । পুবে অাবছা অন্ধকারের ঘোমটা খুলে বড় থালার মত চাঁদ এল তারাদের স্বয়ংবরে। সাগরের পাখিগুলো ডানা ঝাপটে ঢেউয়ের মাথায় মাথায় ভাসতে থাকা চাঁদের নাকছাবি আর ফসফরাসের নুপুর নিয়ে খেলতে লাগলো, আগুনখেলা /জলমেখলা।
কাজুবাগানগাছের শক্ত ডালে তাঁবুটা ঝুলিয়ে চারদিকে চারটে বড় পাথর চাপা দেওয়া হয়েছে। সামনেই আরও দুটো বড়গাছের গুঁড়ির আড়াল। একটা বট, আরেকটা গরান। হাওয়ার ঝাপটা পুরোপুরি যাতে তাঁবুতে না লাগে।
আমরা তিনজন নিঃস্তব্ধে উদার বেলাভূমিতে হেঁটে বেড়াতে লাগলাম। সাগরের খোলা বুকে চাঁদ নেমে এসেছে সুন্দরী হয়ে। উন্মত্ত আহ্বান আর অপ্রতিরোধ্য আলিঙ্গনের ইচ্ছেয় সাগর ফুলেফেঁপে উঠছে। আমাদের পায়ের পাতা, হাঁটু ভিজিয়ে ঢেউয়েরা আসছে,, আবার চলে যাচ্ছে। পায়ের নীচের বালির সমুদ্রমুখী গতিতে, পায়ের তলা সুড়সুড় করে উঠছে। জ্যোৎস্না গায়ে মেখে সন্ন্যাসী কাঁকড়ার দল গোপন গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে চলেছে নারকেলবাগানের দিকে, নৈশআহার সারতে। ঢেউয়ের দোলায় ছিটকে আসা বাগদা চিংড়ি'র জুলজুলে চোখে ঝিকমিক করে উঠলো হঠাৎ তারার প্রতিফলন।
অস্কার হঠাৎ বললো,
-পায়ের নীচ থেকে জ্যোৎস্না সরে গিয়ে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে কেন রে?
ওর দু পা পিছনে ছিলাম আমি, বললাম
-তোর মাথা। রাত তিনটে পর্যন্ত জ্যোৎস্না যাওয়ার কোনো কেসই নেই! ভুলভাল বললেই হবে?

কয়েকমুহুর্ত পরে পিছন থেকে দিলচাঁদ বলে উঠলো,
-এই না রে, অস্কার ঠিকই বলেছে। চারিদিক থেকে জ্যোৎস্না যেন সরে যাচ্ছে।

তাঁবুর পাশে যেখানে দন্ডধর কেরোসিন স্টোভ জ্বেলে রান্না করছে, সেখান থেকে আমরা তখন প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে। কাজুবাদামের বাগান এতদূর পর্যন্ত অগ্রসর হয়নি। একদিকে সোঁতাটি আর অন্যদিকে আদিগন্ত উপসাগর।
যা দেখলাম, তা বোধহয় আজও বিশ্বাস করিনা। বিশ্বাসযোগ্য নয়ও এই বিদ্যুৎবাতির লোকবসতিপুর্ণ পৃথিবী তে।
আমরা রুদ্ধশ্বাস। বৃষ্টির ঝরঝর ধারা ক্লান্ত শিশুর গোঙানি তে পরিণত হয়েছে। কালো পীচরাস্তা থেকে সাদা সাদা ধোঁয়া উঠে আসছে পরাজিত গ্রীষ্মের দীর্ঘশ্বাসের মত।

স্বাভাবসিদ্ধ বিড়িটি ধরিয়ে, গলার ভেতর থেকে খুড়ো বলতে লাগলেন,
-আগুন জ্বালিয়ে রান্না করাটা উচিত হয়নি। রান্না বা শুকনো খাবারই নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

এবার অধৈর্য্য শুভদীপ আর অমিত বলে উঠলো,
-কিন্তু কি হলো, কি এমন ঘটলো খুলে তো বলো ....

-আমাদের পায়ের নিচ থেকে, সমুদ্রের জল থেকে, কাজুবাগানের মাথা থেকে, সরু অনামী নদীটার জল থেকে, উত্তর দক্ষিণ পশ্চিমের বেলাভূমি থেকে কে যেন মাদুরের মত করে জ্যোৎস্নাটাকে গুটিয়ে নিতে লাগলো.....
ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া ক্ষীণ গলায় বলল বেণীখুড়ো।
-মেঘ করেনি আপনি নিশ্চিত? 'আমি বললাম।
-না স্যার, মেঘ নয়। আকাশে খলখল করে হাসছে পূর্ণচন্দ্র। কে যেন সম্পূর্ণ মাদুর বা শতরঞ্চির মত করে জ্যোৎস্নাটাকে বেমালুম গুটিয়ে একজায়গায় করে নিচ্ছে। চারিদিক ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে নিরেট নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে।
এইপ্রথম জ্যোৎস্না দেখে মনে জেগে উঠলো ভয়াবহ আতঙ্ক। সমস্ত জ্যোৎস্না একজায়গায় হয়ে বিরাট আকাশছোঁয়া এক স্তম্ভের রূপ নিল। আমাদের ছয়টি বিস্ফারিত চোখের সামনে ধীরে ধীরে স্তম্ভের মাথাটা বেঁকে রাজহাঁসের গলার মত হয়ে গেল। গল্ফস্টিকের মত দুবার আগুপিছু করে মাথাটা ঝাঁপিয়ে পড়লো আমাদের তাঁবুর কেরোসিন আলোর ওপর। নিঃশব্দ বিস্ফোরণ হলো একটা। জ্যোৎস্নার ছোট বড় টুকরো ছিটিয়ে পড়লো বেলাভূমিতে, সমুদ্রের জলে, অন্ধকার গাছে গাছে। তারপর টুকরোগুলো গ'লে যেতে লাগলো ধীরে ধীরে। আবার সেই গলিত ধারা ফিরে এসে অন্ধকার শুন্যস্থান ভরে দিল। আবার সব যে কে সেই। স্বাভাবিক। সমুদ্রের আদিম অন্তহীন গান।ফুটফুটে জ্যোৎস্না।

হঠাৎ দিলচাঁদ ছুটতে লাগলো তাঁবুর দিকে। সঙ্গে আমরা ও। তাঁবু, তাঁবু চাপা দেওয়ার পাথর, আমাদের লটবহর, সব ঠিক আছে। অপরিবর্তিত।
শুধু কেরোসিন স্টোভ, কড়াই, আর স্টোভের চারিপাশের প্রায় কুড়িমিটার ব্যাসার্ধ্য জুড়ে সব অদৃশ্য। সমুদ্রসৈকতের সমুদ্রশয়তান হলো জ্যোৎস্না।
সে গিলে খায় মানুষের তৈরি আলো।
আর, আলোকসৃষ্টিকারী, মানুষও।

,,,,,,,,,,


কর্ণ শীল। পেশায় গৃহশিক্ষক। নেশা শরীরচর্চা। ফুল পাখি আর গানের রং সুর বোঝার চেষ্টা করি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। লিখতে ভালোবাসি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)