ইলা কারকাট্টা - মায়াজম

Breaking

১৬ জুন, ২০১৮

ইলা কারকাট্টা


                        জোড় পোখরি



শ্চিম বঙ্গের মধ্যে ঘুরতে যাবার জন্য দার্জিলিংঅতি সুন্দর স্থান।তবে সৌন্দর্য আর ভালো লাগার জন্য জোড়া পুকুর অর্থাৎ জোড় পুখরি ও কিছু কম নয়।হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে অনেক ট্রেন আছে যা এন জে পি ষ্টেশনে পৌছায় ।সেখান থেকে শেয়ার ট্যাক্সি,ভাড়া গাড়ি বা বাসে দার্জিলিং পৌঁছানো যাবে।দার্জিলিং ঘুম--মিরিক পথে পশ্চিম বঙ্গ ,ভুটান ও সিকিম সীমান্তে 10500 ফুট উচ্চে জোড়া পুকুর বা জোড় পুখরি।নেওরা ভ্যালির সর্বোচ্চ নয়নাভিরাম প্রকৃতির মাঝে ঢেউ খেলানো বরফাচ্ছাদিত হিমালয়ের আদিগন্ত রূপ মোহিত করে।সীমানা অর্থাৎ পশুপতি নগর (নেপাল) এর পথ‌ও পৃথক হয়েছে জোড় পুখরি থেকে ।সন্দাকফুর যাত্রীও যাচ্ছেন ঘুম, জোড়া পুখরি, সুকিয়া পুখরি ,মানেভনজং হয়ে।দার্জিলিং থেকে 15 কিমি দুরে 2225 মিটার উচ্চে জোড়পুখরি টুরিস্ট লজ আছে।দার্জিলিং থেকে ভাড়া গাড়িতে মিরিকের পথে সুকিয়াপুখরি ।পথেই পরে ঘুম 8 কিমি ,দার্জিলিং 19 কিমি সুকিয়াপুখরি থেকে।নীল আকাশের নিচে ধুপি , গুরাস,চাপ,কাওলা,কাটুস,উতিস ও পাইন গাছে ছাওয়া আদিগন্ত সবুজে মোড়া ল্যান্ড অফ প্যারাডাইস লেপচা জগৎ ।বায়ে সিকিম ,সমুখ পানে দার্জিলিং আদুরে সুকিয়াপুখরি।কাঞ্চনজঙ্ঘা ও দৃশ্যমান লেপচায়।জোড়পুখরিতে যাবার জন্য খারাই পাহাড়ের গা বেয়ে বেশ অনেক উঁচুতে উঠতে হয়।দ'দিকের পাইনের জঙ্গল রাস্তাটাকে বেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে ।এখানে পাহাড় নেড়ার মতো ।বেশ উঁচুতে হ‌ওয়ায় এখানে ঠাণ্ডা বেশ ভালোই।জোড়পুখরিতে পাশাপাশি দুটি পুকুর।যাদের নামেই এখানের নাম।পুকুরের মাঝে সপের সজ্জায় যোগ নিদ্রিত নারায়ণের মূর্তি।আর আছে ভগবান শিবের এক মন্দির।পুকুর দুটি এখানে অন্য ভাবে পরিচিত।গাইডের কথা অনুসারে নিচের গ্ৰামগুলিতে এই পুকুরের জল‌ই সরবরাহ করা হয়।তাছাড়া পুকুরে আছে গিরগিটি প্রজাতির এক প্রকার জীব।যা শীতের সময় পুকুরের নিচে মাটির তলায় চলে যায়।আর গরমের সময় আবার পুকুরে ফিরে আসে।এই সত্য ভিন্ন জোড়পুখরি সৌন্দর্যে অতুলনীয়।দল ছুট মেঘ নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় ।এখানে মেঘ শিশুর মতো খেলে।কখনো এখানে তো কখনো ওখানে ।কালো ধোয়ার মতো পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে আসে।এখানে বড়োরাও শিশুর মতো মেঘ ধরতে ছুটো--ছুটি করবে।এখানে মেঘ, বৃষ্টি ও রোদ্দুর লুকোচুরি খেলে।যদি শীতের ছোঁয়ায় যাওয়া যায় তাহলে এই মেঘের সাথে ঠান্ডা আর হাল্কা তুষার পাত এক অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে ।পাখিদের কাকলি প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে মোহময়ীর রূপ ধরে।বন বিভাগের নেচার এডুকেশন এন্ড ওয়াইল্ডারনেস রিসট ও আছে এই লেপচায়।এখানে একটি ছোটো রেস্টুরেন্ট ও আছে ।মেঘের সাথে বড়ো এবং ছোটোরা ছুটোছুটি করে ক্লান্ত হলে শরীর গরম করতে চা বা কফি পাওয়া যায়।হাল্কা খিদের ও ব্যবস্থা আছে এখানে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র