© স.ত. জীবন - মায়াজম

Breaking

১৬ জুন, ২০১৮

© স.ত. জীবন

      লোকায়ত বাংলার বিবাহের ইতিবৃত্ত।



-----------------------
লোকায়ত এই জনপদের বিবাহ-বিধান নিয়ে যদি বলতে হয়, তবে চোখের সামনে ভেসে উঠে সম্মোহন গ্রাম-বাংলার রহস্যপ্রিয় পরিবেশে আবেগঘন জীবন প্রিয়তার রঙিন ক্যানভাস। আচার সর্বস্ব অথচ ব্যাখ্যাযোগ্য নয় এমন সামাজিক-অনুষঙ্গের-আলোকে প্রোথিত হয়ে গেছে বাঙালি জনগোষ্ঠীর বিবাহ প্রথা। নানান রঙে ও ঢঙে, নিত্য সহযোজনে এর ব্যাপ্তি হয়েছে - আনন্দঘন সজ্জিত ফুলেল ডালায়। যদিও প্রমাণিত যোগসূত্রের হদিস আজো মিলেনি, তবে রাহুলসাংকৃত্যায়ন হতে আমরা অনুধাবন করতে পারি- বিবাহ প্রথার সূচনাকাল ৬০০০ খৃষ্টপূর্বাব্দে। যদিও সে সময় মাতৃধাম-শাসিত অসংবদ্ধ সমাজব্যবস্থায় আত্মজও খসম হয়ে যেতো। আজকের এ সময়ে আমরা বলতে পারি- শুধুমাত্র বৈধমিলন সেতু কিংবা জৈবিক তাগিদে নয়- একটা সুনিশ্চিত স্থিতিশীল জীবনযাত্রার নিমিত্তে সভ্য সমাজের মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই মানবিক অবকাঠামোর বলয়ে আস্তে আস্তে অনুপ্রবেশ করে ধর্মের বিধি-বিধান। পাললিক এই বঙ্গীয় মানবাচারে আমরা প্রধানত তিন ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিবাহ রীতি পরিলক্ষিত করি। যদিও স্বল্পকায় খৃষ্টান, বৌদ্ধ , বাউল ধর্মের বিবাহ প্রথাও প্রচলিত, তবুও মুসলিম-হিন্দু-আদিবাসী সমাজের বিবাহ রীতিই সরগরমে পরিচিত।


১৯৯৫ সাল। দাদুর সাথে (ড. আশরাফ সিদ্দিকী, বাঙলা একাডেমীর প্রাক্তন মহাপরিচালক) এক পড়শিত জেঠার বিয়েতে রওনা হলাম। দাদু ছোটদের নিয়ে হৈ-হুল্লোড়ে সব সময় মেতে থাকতেন। আমরা একপাল দৈস্যি তাঁর সাথে। আমাদের সাথে ছিলেন- চিরকুমারী প্রধান শিক্ষিকা ড. নাহার খান। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়- এই নাহার আপু আমার সংগীতের শিক্ষিকাও ছিলেন। অনেক স্মৃতিময় ঘটনার সাক্ষী হয়ে তিনি আজ না-ফেরার দেশে। আমরা টাংগাইলের চারান গ্রাম থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় রওনা হলাম। চারিদিকে অথৈ জল। সাদা-নীল আর রক্তাভ শাপলায় বিছানো জলের উপর দিয়ে আমাদের নৌকা এগিয়ে চলল। প্রায় দু'ঘন্টা জল ডিঙিয়ে আমরা কনে বাড়ির দেখা পেলাম। গ্রামের নাম বাগুনডালি। মাইকে উচ্চ স্বরে "হলুদ বাটো মেন্দি বাটো" গান হচ্ছে। আমরা "বিয়ের-গেটে" আটকে গেলাম। চারটে কলাগাছ দিয়ে বানানো গেট। অসংখ্য রঙিন কাগজের টুকরো দিয়ে সর্বোত্তম সৌন্দর্য আনয়নের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রচণ্ড ঝগড়া লেগে গেল। দাদু খুব খুশি। আমাদের বলল- লেগে পর। মজা পাবি। যাহোক, দু'পক্ষই জ্ঞান জাহির করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্য একজন বলে বসল- আপনে ইংরেজিতে কথা কইতাছেন ক্যান? বাংলায় টক করেন। 

পাঁচশ টাকার নিচে কন্যাপক্ষ গেট খুলবে না। আর বরপক্ষ কোন ক্রমেই তিনশ' টাকার বেশী দেবেনা। ঘণ্টা খানেক হম্বিতম্বির পর গেট খোলা হলো। বরণ করা হলো পান-সুপারি দিয়ে। তারপর অনেক কিছু। বরকে বসানো হলো ছোট এক টং-ঘরে বন্ধুদের সমেত। হাত ধুয়ানো হলো শ্যালিকাদের দিয়ে। বকসিস দিতে হলো। কনেকে ঘর হতে কোলে করে নিয়ে আসলেন দুলাভাই (ভগ্নীপতি) সম্পর্কিত কেউ। এই রীতিকে বলা হয়- কোলধরা। যাহোক, আরেক বিয়েতে দেখেছি- কনেকে গায়ে হলুদ পর্ব শেষে গোসল করিয়ে বড় ভগ্নীপতি কোলে নিয়ে ঘরে নিয়ে গেলো। গোসলখানা হতে ঘর অব্ধি বিছিয়ে দেয়া হলো বাসন্তী রঙের শাড়ি। সেই বিয়েতে হুলোস্থুল কাণ্ড-কারখানা বেঁধে গেলো। ঘরে উঠবার অংশটুকুকে বলা হয় পৈঠা। সেই পৈঠার সম্মুখে মাটি গর্ত করে তার উপর সুন্দর করে বাঙ্কারের মতো করে রাখা হয়েছিল। বুঝার উপায় নেই ঠুনকো মাটির প্রলেপের নিচে পানি ভর্তি মস্ত একটা গর্ত। বর সেই গর্তে পরে পা মচকে ফেলল। এই ঘটনার পর সে বিয়ে ভেঙে যায় আর কি! আবহমান বাঙলার বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন কতো যে উপ-আনুষ্ঠানিক ঘটনা প্রবাহের সন্নিবেশ ঘটে, তা বর্ণনাতীত। এখানে ধর্মের অনুশাসন নেই, শুধুই দেশাচার। এখন যদিও উন্নত মিউজিক সিস্টেমে গম-গম করে উঠে পাড়ার বিয়ে; তদুপরি মাইকবিহীন বিয়ে যেন আমিষবর্জিত সাদামাঠা আহার। বাঙলার তৃনমূল সমাজে বিয়ের অনুষ্ঠান তিনটি বলয়ে সমাপন হয়ে থাকে। এক. দেশাচার। দুই. লোকাচার। তিন. ধর্মাচার। তবে ধর্মাচার অংশটুকু আনুষঙ্গিক বাধ্যবাধকতায় অপরিহার্য জ্ঞান করলেও, দেশাচার এবং লোকাচার ভিত্তিক ঘটনা প্রবাহ গুলো প্রাধান্য পেয়ে থাকে। যেমন - বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী অনেক গ্রামেই মুসলিম মেয়েকে সিঁদুর পরানো হয়। এর কারণও আছে, বহুযুগ ধরে কিছু কিছু গ্রাম দু'দেশের। উদাহরণ স্বরূপ দুটি গ্রামে নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। ভারতের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বশিরহাট থানার সীমান্তের একটি এলাকা পানিতর। আর সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার ভোমরা ইউনিয়নের একটি গ্রাম হাড়দ্দহা। ইছামতীর নদীর তীরে এই গ্রাম দুইটি অবস্থিত। আর দুই গ্রামের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকা সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত চলে গেছে, কোন কোন বাড়ির উঠানের মধ্য দিয়ে। একই জায়গার মধ্যে কয়েকটি বাড়ি। তবে একটি বাড়ি ভারতে, আরেকটি বাড়ি বাংলাদেশে। দুই দেশের নাগরিক তারা। তবে দেখে বোঝার উপায় নেই কে কোন দেশের নাগরিক। তাই সহজাত ভাবেই বলা যায়- লোকাচার এখানে ধর্মীয় বৃত্তে সীমাবদ্ধ নয়। বহুযুগ হতে বহতা স্রোতস্বিনীর মতো লোকাচার এখানে নিটোল উচ্ছ্বাস সমেত প্রাধান্য পেয়েছে। তেমনি বিয়ের আরেক উপকরণ হলো- বিয়ের গীত। গীত বিহীন বিয়ে যেন কল্পনাতীত। মহিলারা পান-সুপারি মুখে পুরে উঠোনের এককোণে তালপাতার পাটি বিছিয়ে গেয়ে উঠে-

"দেখছি কইন্যার মাথা ভালা ডাব নারিকেল জুড়ারে ,
দেখছি কইন্যার দাঁত ভালা আনারের দানারে ,
দামান্দেরও সাত ভাই সাত ঘুড়া ছুয়ারী ,
একেলা দামান রাজা চৌদল চুয়ারী ,
চৌদলের কিনারে পড়ে হীরা লাল মতিরে ,
চল যাই চল যাই দামান দেখিবা।" 
বিয়ের অনুষ্ঠানে কন্যা-বিরহেও অনেক গীত গাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি এমন-
"বাবা মাড়ওয়া ছান্দালায় ঝিলি মিলি মাড়ওয়া।
আইয়ো মাড়ওয়া পশলায় হাসাজুড়ি পেরওয়া।।
টুটি গেলা মাড়ওয়া।
রাই গেলো জানাম যুগ হাসা জুরুড় পেরওয়া
বাবা মাড়ওয়া ছান্দালায় ঝিলি মিলি মাড়ওয়া
টুটি গেলা, টুটি গেলা মাড়ওয়া।

বিয়ের এই গীতটা শুনেছিলাম রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার সাতবাড়িয়া গ্রামে ওরাওঁ সম্প্রদায়ের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। গীতিটার ভাবার্থ এমন- বাবা আমাদের তৈরি করেছিল সুন্দর মাড়োয়া, মা আমাদের লালন করেছিল অতি আদরের সঙ্গে। কিন্তু আজ সব শেষ হয়ে গেল। এভাবে জন্ম-জন্মান্তর ছেলেমেয়েরা মানিক জোড়ের ন্যায় থেকে যাবে। এ কারণে বাবা আমাদের তৈরি করেছিল সুন্দর মাড়োয়া। কিন্তু আজ সব টুকরো টুকরো খণ্ডিত হয়ে গেল।
সারা বাংলায় সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রাক-বৈবাহিক অন্যতম উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের নাম "গায়ে হলুদ"। এটা সধবাদের অনুষ্ঠান। বিবাহিত মেয়েরা সমস্বরে গীত গাইতে গাইতে কনের গায়ে কাঁচা হলুদ মেখে দেয়। কোন কোন অঞ্চলে যেসব মেয়েরা এই গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তাদের কন্যাপক্ষ হতে বাসন্তী রঙের শাড়ী উপহার দেয়া হয়। মেয়েরা বাতাসা, কদমা, চাল মুখে দিয়ে বাড়ী ফিরে। সারা বাংলার গায়ে হলুদের গানটি হলো-

"হলুদ বাটো, মেন্দি বাটো
বাটো ফুলের মৌ,
বিয়ার সাজে সাজবে কন্যা
নরম সরম বৌ।।
আবার আদিবাসী ওরাওঁদের মুখে শুনেছি গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে ভিন্ন রকম গীত-
"হারাদি হারাদি মন গাএলা
যেদিন বেটা জানাম হলেই
সামান্ধী পাতেক লাগুন
কুল কুয়াকের পানি
তর ঘারে এতেই সাধ লাগেলা।।
অর্থাৎ- হৃদয়ে সর্বদাই হলুদের বাণী উত্থিত হচ্ছে। যেদিন আমার পুত্র-সন্তানের জন্ম হয় সেই দিনই জানতাম বেহাই সম্পর্ক স্থাপিত হবে। তোমাকে আজ আমার কাছে এতোই প্রিয় মনে হচ্ছে যে, কলের জলও সুস্বাদু লাগছে। 
কলের গান প্রচলন হওয়া পর হতেই এই জনপদের মানুষের মনে একটি গীত বটবৃক্ষের মতো প্রথিত হয়ে গেছে। গীতটি হলো-

"মালকা বানুর দেশেরে,
বিয়ার বাইদ্য আল্লা বাজেরে।
মালকা বানুর সাতও ভাই,
অভাইগ্যা মনু মিয়ার কেহ নাই।
মালকার বিয়া হইবো,
মনু মিয়ার সাথেরে......
."

মালকা বানু আর মনু মিয়ার প্রেমের উপাখ্যান সর্বজন বিদিত। আসুন, সময় পেলে পা রেখে যান ধূলিমাখা সবুজস্বর্গ আবহমান বাংলার গ্রামে। নারকেলের হুক্কোতে সুগন্ধি তামাক সাজিয়ে আজো গল্পের ঝুরি নিয়ে বসেন দাদুরা। কিংবদন্তীর এই বাংলায় কতই না কিংবন্তির আদর মাখা গল্পের ঝুলি। শঙ্খনদী পাড়ি দিতে ভীতসন্ত্রস্ত প্রেমিকার ভালোবাসা আদায় করে নিতে উত্তাল নদীকে বাঁধ দ্বারা শাসন করেছিলেন মনু মিয়া। মাসব্যাপী বিয়ের উৎসবে কত্তো আয়োজন। সেখানেই আজ হতে তিনশত বৎসর পূর্বে চারণ গাইয়েরা মূখে মূখে রচে ছিলেন এই গীতটি। আজো বাংলার আনাচেকানাচে ভেসে আসে এই বাস্তবিক জীবনের প্রেমোপাখ্যান। আমার বড়বোনের বিয়ে হবে। তিনদিনের মহা ধুমধাম। ছুটছুটি হইহুল্লোড়।
উঠনে জল ঢেলে তাতে পাড়ার সব মেয়েরা মাখামাখি। এ আনন্দ যেনো ফুরোবার নয়। কয়েকজন পান সাজিয়ে বসে গেলেন - গানের ডালা নিয়ে।

"ফেরদৌসী বানু শুনছো নাকি, জলে-
মাখছে ভূমি হর্ষ-জলে পেখম মেলে।
তোমার বিয়া কোন পুলার লয়, জানো?
সুখবতী হও, প্রাণ সুহাসী ওগো প্রাণো।"
....

আধুনিকায়নের স্পর্শ সর্বগ্রাসী হলেও, বেমালুম ভুলে যায়নি গ্রাম-বাংলার এই প্রথা গুলো। এখানে ধর্মের অনুশাসন নেই, সমাজবিধাতা গণের কঠোরতা নেই, আছে শুধু নির্মল আনন্দের অপার মহিমা।
১৯৯৪ সালের কথা। মধুপুর গারো পাহাড়ের কোল ঘেঁষে শতবসতির গ্রাম। গ্রামের নাম বড় চওনা। আমরা কয়েকজন নারী-পুরুষের দল রওনা হলাম। বাড়ী থেকে প্রায় চল্লিশ কি.মি. যাবার পর সাগরদিঘী বাজার। সেখান থেকে গরুর গাড়ি চরে গারো বাজার। হরিৎ ও লোহিত বর্ণের মিশ্রিত মাটি। আমরা গারো বাজার হতে পায়ে হেঁটে রওনা দিলাম। প্রায় তিন কি.মি. যাবার পর গন্তব্য। বিখ্যাত আনারসের তীর্থভূমি। ও-বাড়ীর খাবারের আয়োজন দেখে আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী ১০১ টি খাবারের পদ করেছিলো; সবগুলোই আবার আনারসের। আমার জ্যাঠামশাই ছেলেকে উদ্ভট প্রশ্ন করে ভ্যাঁবাচ্যাকা খাইয়ে দিলেন। উঠোনে বসে আছি। পানের পিক ফেলতে ফেলতে বললেন,
- বাবা, নুমাজ পড়ো?
-জ্বী।
- আইছ্যা, কওছেন দেহি- মনে করো তুমি জানাজার নুমাজ পড়তে গেছো। তুমি পৌছানোর আগেই ইমাম সাব রুকুতে চইল্যা গেলেন। তুমিও নিয়ত বাইন্দ্যা রুকুতে যাইতাছো। কিন্তুক তোমার টুপি মাথার উপর বড়ই গাছের লগে আইটক্যা গেলো, তুমি আগে টুপি পড়বা, না রুকু করবা?
ছেলে ঘেমে একাকার। উত্তর পারলো না। আমার জ্যাঠামশাই যুদ্ধজয়ের হর্ষ নিয়ে আবার পান মুখে দিলেন। সেই বাড়ীর লোকেরাই যখন কনে দেখতে এলো, তখন কনেকে এক মুরুব্বি জিজ্ঞেস করলেন,
- মা জননী, নামাজ পড়েন?
- জ্বী।
- কোরান পড়েন?
- জ্বী।
- মাশাল্লা, মাশাল্লা। আচ্ছা মা জননী বলেন তো - কোন সুরা পড়তে বিসমিল্লা লাগেনা?
মুরুব্বি প্রতিশোধের হাসি দিয়ে বললেন।
- এসটা (এক্সট্রা) কারিকুলামের পরয়োজন (প্রয়োজন) আছে মা জননী। ভবিষ্যতে ছাওয়াল-পাওয়াল মানুষ করতে এসটা (এক্সট্রা) নলেজের খুব দরকার।
যাহোক, বর-কনেকে এমনিতর
প্রশ্ন করা এখন বাঙালী বিয়েবৃত্তের "কমন-ফ্যাক্টর"। প্রতিনিয়ত কোননা কোন অঞ্চলে সংযোজিত হচ্ছে নতুন কোন উপদান। তেমন করে বিয়োজনও হচ্ছে অনেক। আসলে লোকায়ত বাংলার বিয়ের ইতিবৃত্ত নিয়ে বর্ণনা করতে গেলে ব্যাপক পরিসর প্রয়োজন। কতো যে উপাদানে সমৃদ্ধ বাংলার বিবাহ রীতি, তা অনুধাবন করবার নয়। তবে একথা সত্যি- বিয়েতে ধর্মের চাহনি প্রচন্ড নমনীয়।।



লেখক পরিচিতি- ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের টাংগাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন জেলায় কেটেছে শৈশব এবং কৈশোর। ছাত্রজীবন হতে সাংবাদিকতার মাধ্যমে লেখালেখি শুরু। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর শেষে বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মজীবন শুরু। ১৯৯৮ সালে প্রথম কবিতার বই প্রকাশ। নাম- "বিমুগ্ধ বেহেয়া দৃষ্টি"। নাটক লিখেছেন- তিনটি, "স্মৃতির অরন্যে বেঁচে আছো তুমি", "চোরের গোঁসাই" এবং "বাউরী বাতাস"। প্রকাশিত কবিতার বই- "কাছে-দূরে" (২০১৬) এবং "জীবনের যতো কাব্য"(২০১৭)।


                                                                                 

৪টি মন্তব্য:

Featured post

সোনালী মিত্র