বাঁশি
নেশা নিয়ে কেউ জন্ম গ্রহণ করে না ।নেশা মানুষকে অবশ করে অবুঝ বয়স থেকে ।আমরা পরিবারের নিয়ম মেনে চলেছি. ঠাকুমার কড়া শাসন আমাদের একটা গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ করে রাখত.।মনে হত এ এক বিরামহীন একঘেয়ে জীবন । কোন মুক্তি নাই. বিদ্যালয় অার বাড়ি.। পড়ার টিচার আর গানের টিচার এ ছাড়া অন্য কোন রকমের সাথী বা বন্ধুদের সাথে গল্পগাছার সুযোগ ছিল ন... অভিভাবকদের আমাদের প্রতি নিরাপত্তাজনিত মনোভাবের ফসল একটাই আবেগহীন একঘেয়ে জীবন।. কিন্তু সেই সবুজ মনে বিষের বাঁশির সুর বাধা পড়েছিল.। বাড়ির সামনে পুকুরের ধারে রোজ গোপাল নামে একটি ছেলে সকাল সন্ধ্যায় বাঁশি বাজা... আমাদের পাড়ার ধোপার ছেলে।. প্রাইমারি বিদ্যালয়ে যেত।. পড়াশুনাতেও খুব ভাল ছ.... যখন বাঁশ বাজাত আমি লুকিয়ে ওর পাশে বসে থাকতাম . দুটি কিশোর কিশোরী কিসের টানে এমন গহন গভীর সময় অতিবাহিত করত জানি না। . প্রতিদিন গোপালের বাঁশির সুর আমাকে নেশার মতো ওর কাছ নিয়ে যেত।. ও আমাকে বলত তুই বাড়ীতে গিয়েও পুকুরের ওপার থেকে শুনতে পা.... আমার পাশে বসে থাকলে তোকে বাড়িতে মারধোর করবে।. তা ছাড়া এটা মানায় না।. কিন্তু আমার বাঁশির সুরের নেশা সব ভয় ভীতিকে জয় করত।. দিনের পর দিন গোপালের বাঁশির নেশা আমাকে পাগল করে তুলত।. একদিন ধরা পড়ে গেলা....মারধর খেয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ হয়ে গেল।. গোপাল কে বাবা কাকারা পাড়া থেকে তাড়িয়ে দিল।. কিন্তু ওই যে নেশা তাই যখনই াসময় আসত সকাল ও সন্ধ্যার সময় আমি চিৎকার করে কাঁদত... . কোন কোন দিন বেহুশ হয়ে যেতাম।. ডাক্তারের পরামর্শে আমাক মামাবাড়ি পাঠানো হল।. তারপরের ঘটনার কোন ঘনঘটা নেই।. বুকের মধ্যে আজও তা লুকিয়ে রেখেছ অতি আদরের সেই মিষ্টি সুর আজও শু.... হয়তো একেই বলে নেশা।. নেশার ঘোরে কয়েকবছর পরে লুকিয়ে গোপালের চালাঘরে গিয়েছিলাম। . সেদিনও সেই নিয়মেই গোপাল বাঁশিতে ধুন তুলেছিল। চোখে দেখতে পায় ... . ওর ছেলে আমার কথা বলাতে গোপাল আর আমার চোখের জল বাধা।. আমাকে বলতে চাইল কেন এলি।. এ তোর কেমন নেশা . আমি বলি আমি এ নেশায় বুদ থাকবরা সাজীবন ...
নেশা নিয়ে কেউ জন্ম গ্রহণ করে না ।নেশা মানুষকে অবশ করে অবুঝ বয়স থেকে ।আমরা পরিবারের নিয়ম মেনে চলেছি. ঠাকুমার কড়া শাসন আমাদের একটা গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ করে রাখত.।মনে হত এ এক বিরামহীন একঘেয়ে জীবন । কোন মুক্তি নাই. বিদ্যালয় অার বাড়ি.। পড়ার টিচার আর গানের টিচার এ ছাড়া অন্য কোন রকমের সাথী বা বন্ধুদের সাথে গল্পগাছার সুযোগ ছিল ন... অভিভাবকদের আমাদের প্রতি নিরাপত্তাজনিত মনোভাবের ফসল একটাই আবেগহীন একঘেয়ে জীবন।. কিন্তু সেই সবুজ মনে বিষের বাঁশির সুর বাধা পড়েছিল.। বাড়ির সামনে পুকুরের ধারে রোজ গোপাল নামে একটি ছেলে সকাল সন্ধ্যায় বাঁশি বাজা... আমাদের পাড়ার ধোপার ছেলে।. প্রাইমারি বিদ্যালয়ে যেত।. পড়াশুনাতেও খুব ভাল ছ.... যখন বাঁশ বাজাত আমি লুকিয়ে ওর পাশে বসে থাকতাম . দুটি কিশোর কিশোরী কিসের টানে এমন গহন গভীর সময় অতিবাহিত করত জানি না। . প্রতিদিন গোপালের বাঁশির সুর আমাকে নেশার মতো ওর কাছ নিয়ে যেত।. ও আমাকে বলত তুই বাড়ীতে গিয়েও পুকুরের ওপার থেকে শুনতে পা.... আমার পাশে বসে থাকলে তোকে বাড়িতে মারধোর করবে।. তা ছাড়া এটা মানায় না।. কিন্তু আমার বাঁশির সুরের নেশা সব ভয় ভীতিকে জয় করত।. দিনের পর দিন গোপালের বাঁশির নেশা আমাকে পাগল করে তুলত।. একদিন ধরা পড়ে গেলা....মারধর খেয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ হয়ে গেল।. গোপাল কে বাবা কাকারা পাড়া থেকে তাড়িয়ে দিল।. কিন্তু ওই যে নেশা তাই যখনই াসময় আসত সকাল ও সন্ধ্যার সময় আমি চিৎকার করে কাঁদত... . কোন কোন দিন বেহুশ হয়ে যেতাম।. ডাক্তারের পরামর্শে আমাক মামাবাড়ি পাঠানো হল।. তারপরের ঘটনার কোন ঘনঘটা নেই।. বুকের মধ্যে আজও তা লুকিয়ে রেখেছ অতি আদরের সেই মিষ্টি সুর আজও শু.... হয়তো একেই বলে নেশা।. নেশার ঘোরে কয়েকবছর পরে লুকিয়ে গোপালের চালাঘরে গিয়েছিলাম। . সেদিনও সেই নিয়মেই গোপাল বাঁশিতে ধুন তুলেছিল। চোখে দেখতে পায় ... . ওর ছেলে আমার কথা বলাতে গোপাল আর আমার চোখের জল বাধা।. আমাকে বলতে চাইল কেন এলি।. এ তোর কেমন নেশা . আমি বলি আমি এ নেশায় বুদ থাকবরা সাজীবন ...
সুচিন্তিত মতামত দিন