জয়তী রায় - মায়াজম

Breaking

১৪ জুন, ২০১৯

জয়তী রায়

  কৈকেয়ী _কথন
_______________________
   
     




হে জানকী
______________
       চোদ্দ বছর বনবাসের আজ  দশম দিন। 
তোমার মহলে পড়ে আছে ছেড়ে যাওয়া বহুমূল্য অলঙ্কার, বস্ত্র, মহার্ঘ মৈরেয়!  সব ফেলে রেখে স্বামীর হাত ধরে সোজা চলে গেলে।  ফিরেও তাকালে না। ত্যক্ত রাজপ্রাসাদ, লোক জন , সুখ ঐশ্বর্য । 
 গবাক্ষ দিয়ে  সংগোপনে দেখছিলাম তোমাকে! নারীর এমন রূপ? এমন স্বাধীন রূপ? সিদ্ধান্ত নেবার এমন ক্ষমতা __দেখিনি আগে। লোক আমাকে রূপসী বলে, আমার রূপে অন্ধ রাজা দশরথ __অন্য রানীদের দিকে তাকান না পযর্ন্ত__এমন গুঞ্জন সর্বত্র।  
  কিন্তু তোমার রূপ ? আহা! সে যেন  স্বর্গের পারিজাত!  ভোরের প্রথম শিশির! নদীর জলে ভেঙ্গে পড়া জোৎস্না!
   আর আমি? সর্বনাশের কোনো রূপ হয়? হতাশার হয় কোনো অবয়ব? দেখা যায় বিষাদ?
   আমার কোনো রূপ নেই। কৈকেয়ী এক অবস্থার নাম । যে অবস্থা ধ্বংস করে দিল তোমার সাজান সংসার। 
     হাসি মুখে বিদায় নিলে তোমরা তিনজন।
   চিৎকার করে কাঁদছিল সারা অযোধ্যা। রাজা দশরথ দৌড়ে দৌড়ে এলেন প্রধান ফটক পর্যন্ত। চোখের জল আর মুখের লালায় ভিজে গেছে তাঁর সর্বাঙ্গ।  " হা রাম! হা রাম! " বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন বার বার।
  রানী কৌশল্যা মৃতপ্রায়। তিনদিন ধরে জলটুকু পান করেন নি। তাঁকে প্রাণপণে সেবা করে যাচ্ছে রানী সুমিত্রা। 
    লুকিয়ে বসে ছিলাম__কারণ শোকের আগুনে  পুড়ছিল একটি নাম। সে আমার নাম । হে সীতা! 
 তখন অযোধ্যার মানুষ জন, যারা  প্রজা মাত্র __তারা অভিশাপ দিচ্ছে আমার নামে। মৃত্যু কামনা করছে। ঘরে ঢুকে পড়েছে ভীত মন্থরা । যদিও তাঁর মুখ ছিল উল্লাসে চকচক। এতদিনের আশা পূর্ণ। রাম সীতা লক্ষণ যাচ্ছে বনবাসে। ভরত হবে যুবরাজ। মন্থরার দিকে তাকিয়ে ঘৃণা উঠে আসছিল ভিতর থেকে। প্রাণপণে চোখ সরিয়ে দুই হাতে মুখ ঢেকে পড়ে রইলাম শয্যায়। 

      কর্ম   নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের ভাগ্য। প্রতিটি সূত্র যদি জুড়তে থাকি আমরা, দেখব কোথাও এতটুকু ভুল নেই। যেমনটি হবার ছিল, ঠিক তেমনটি হচ্ছে। রাজা দশরথ 
তাঁর থেকে কুড়ি বছরের ছোট রানীর প্রেমে এত উন্মত্ত হলেন, যে, ভুলে গেলেন রাজ কর্তব্য। ভুলে গেলেন পরিবারের প্রতি সমান ব্যাবহার। রাজ্য আর ঘর __দুই দিকের কোনায় কোণায় জমা হতে লাগল অসন্তোষ। রাজা না দেখার ভান করে পড়ে থেকেছেন আমার শয্যায়। মন্থরা ঠিক এই সুযোগটি কাজে লাগাল। রাজার চরিত্রের দুর্বলতার ছিদ্র দিয়ে ঢুকে পড়ল দুটি শর্ত। যার একটির ফলে রামচন্দ্রের বনবাস। অন্যটির ফল ভরতের রাজ্যলাভ।
     তোমরা বনবাস যাবার ঠিক পাঁচ দিন পরে রাজা দশরথ মারা গেলেন! বাঁচার কোনো ইচ্ছেই ছিল না তাঁর। যে রাজা, আমাকে চোখের আড়াল করতেন না এক মুহুর্ত, রাজ কার্যে অবহেলা করে শয়ন বসন আহার __সমস্ত কিছু তাঁর ছিল আমার হাতে, শেষ পাঁচ দিন সেই প্রিয়তমা পত্নীর ছায়াটুকু হয়ে উঠল বিষ। উন্মাদের মত আছড়ে পড়লেন কৌশল্যার পায়ে। তাপিত প্রাণ আশ্রয় চাইছিল আর এক তাপিত প্রাণের কাছে! হায় দুর্ভাগা রাজা! অভিমানী কৌশল্যা মুখ ফিরিয়ে নিল।  ফিরিয়ে দিল সুমিত্রা। দূর থেকে দেখলাম তিনি গোল গোল ঘুরতে ঘুরতে উদ্যানের গাছ তলায় চুপ করে বসে প্রাসাদের দরজার দিকে চেয়ে রইলেন। যেখান থেকে চলে গেছে তাঁর প্রিয় রাম। বুক ফেটে এলেও কাছে যাবার সাহস হল না। ওই ভাবে পড়ে থাকতে থাকতে পাঁচ দিনের দিন গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হল। কেউ ছিল না কাছে। সম্পূর্ণ একলা। জানালায় বসে তাকিয়ে থাকতাম আমি। শত দুঃখেও ঘুম যেন মায়ের মত কাছে আসে। হাতের উপর মাথা রেখে কখন যেন তন্দ্রা এসেছে বুঝতেও পারিনি। হঠাৎ কি মনে হতে চমকে তাকিয়ে দেখি মাথা ঢলে পড়ছে এক পাশে। ছুটে যাব, মন্থরা বারণ করল
__" শান্তিতে যেতে দাও রানী। উনি এখন মুখ দেখতে চান না তোমার! 
একলা। সম্পূর্ণ একলা অসহায় ভাবে মারা গেলেন অযোধ্যার প্রতাপশালী রাজা দশরথ। মৃত্যুর পরেও চোখ দুটি ছিল তাকিয়ে ছিল প্রাসাদের  মূল পথের দিকে। মৃত্যুর পরেও চোখে ছিল জল। ছিল আশা। যদি ফেরে রাম। যদি আবার এসে গলা জড়িয়ে ধরে। 

       প্রাসাদ জুড়ে আবার উঠেছে ধিক্কার ধ্বনি। পুত্র ভরত আমাকে ছেড়ে চলে গেছে মামার বাড়ি। ওখানে বসে রাজ্য শাসন করবে সে। অপেক্ষা করবে শ্রীরামের জন্য। 
আমার বিলাস বহুল মহল এখন আর নেই। উদ্যানের পাশে ছোট এক ঘরে স্থান এখন আমার আর মন্থরার।
          অভিশাপ কখনো কখনো জীবন্ত মানুষের রূপ
ধরে সামনে আসে। 

   মন্থরা হল মানুষ রূপী অভিশাপ। কোনো ছেলেবেলা থেকে এই অভিশাপের সঙ্গে আছি আমি! কালো কালো জ্বালাময় ঈর্ষা আর অধিকার বোধ যেন সরু সরু পোকার মত আমার শরীর জুড়ে ছড়িয়ে দিত মন্থরা। ছোট্ট আমি, পালাতে চাইতাম। সুস্থ জীবন চাইতাম। হারিয়ে যাওয়া মা কে ডাকতাম__খল খল হেসে অভিশাপ চেপে ধরত আমায়। ভয়। ভয়। ভয়__ভয়ের চাপে থাকতে থাকতে হয়ে উঠলাম দুর্বিনীত, জেদী, রাগী , অভিমানী। 
   
        সীতা, চোদ্দ বছর অপেক্ষা করব আমি।  তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আমার। প্রতিদিন প্রতিরাত একলা একলা নিজেকে নিজে শেষ করেও বেঁচে থাকব__শুধু প্রকৃত বিচারের আশায়।  কেন জানি না, মনে হয়,  পৃথিবী ভুল বুঝলেও, তুমি বুঝবে আমাকে __বিশ্বাস করবে 
  আমি ভালোবাসার জন্য এসেছিলাম অযোধ্যায়। তোমাদের বনবাসে পাঠানোর জন্য আমি দায়ী নই সীতা। 
  ভালোবাসার আকন্ঠ পিপাসা মিটেছিল অযোধ্যায়। তাকে নষ্ট করে জীবনকে আবার বানিয়ে ফেলব মরুভূমি? এমন অদ্ভুত বোধ চেতনায় আসার আগেই যেন মৃত্যু হয় আমার!

 দুই।।
_____
সারা পৃথিবীর কাছে আমি ঘাতক। নৃশংস রমণী।
   যার মুখ দেখলে পাপ হয়। 
 হে সীতা । আজ প্রশ্ন করি দোষ সত্যি আমার? 
জেদী, অহঙ্কারী, অভিমানী , অধিকারবোধ __এই চরিত্র গড়ে ওঠার পিছনে দায়ী নয় আমার বিপন্ন শৈশব? কে না জানে বহু অপরাধী চরিত্রের ভিত প্রোথিত থাকে, তার অবহেলিত শৈশবের মধ্যে দিয়ে! 
  পালিতা কন্যা হলেও পিতা  রাজা জনকের চোখের মণি। তুমি কোনদিন জানো কাকে বলে একাকীত্ব? ছোট বালিকা হঠাৎ সকালে উঠে যদি জানতে পারে তার মা চলে গেছে। তাড়িয়ে দিয়েছে তার বাবা__সে কি করবে তখন? মায়ের অপরাধ ছিল। তিনি জানতে চেয়েছিলেন বাবা পাখির কথা শুনে হাসছে কেন? 
বাবা বললেন:
  বলব না রানী। আমি পাখির ভাষা বুঝি। কিন্তু কি বুঝি সে কথা বললে আমার মৃত্যু অনিবার্য। 
মা তবু জিদ করলেন। বাবার কথায় গুরুত্ব দিলেন না। জিদ করলেন । করতেই থাকলেন। বাবার রাগ বাড়তে থাকল। বাড়তেই থাকল। দুজনের মাঝে বইতে লাগল ক্রোধের নদী। অভিমানী দাম্ভিক রূপসী মা চলে গেলেন প্রাসাদ ছেড়ে। বাবা ক্রোধে মায়ের নাম উচ্চারণ বন্ধ করে দিলেন। অসহায় আমি দৌড়ে গেলাম বাবার কাছে। তিনি বললেন __চুপ করো।
তিনি বললেন:
এত দাস দাসী। এত ঐশ্বর্য। এত প্রতিপত্তি। 
ভোগ করো। সব তোমার। ভুলে যাও ঐ দুর্বিনীত মায়ের কথা। স্বামীর প্রাণের চাইতে বড় হল কৌতূহল? এমন নারী ঘৃণার যোগ্য। "
 অসহায় ভীরু চোখ দুটি মেলে দিলাম নিষ্ঠুর পৃথিবীর দিকে। কি করে বোঝাই__মায়ের বিকল্প দাসী হয় না কখনো। অর্থ প্রতিপত্তি দিয়ে মাতৃত্ব কেনা যায় না। 

পত্র পাঠালাম মায়ের কাছে এই ভেবে তিনি বুঝবেন। অভিমান ফেলে চলে আসবেন। অন্যায় তাঁরা করেছেন। আমার দোষ কোথায়? আমি কেন কষ্ট পাব? পত্রের উত্তর এলো না। মনে আছে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলাম পত্রের উত্তরের আশায়। 
যুধাজিত, আমার বড় ভাই__সে ব্যঙ্গ করে আমাকে বলল:
     " মা কখনোই আসবে না। মা হোক কন্যা হোক__নারী স্বভাবতই নির্বোধ!"
  
নরম পেলব সুন্দর সুগন্ধী মাতৃ কোলের পরিবর্তে ঠাঁই পেলাম কর্কশ খসখস নিষ্ঠুর শূদ্র দাসী মন্থরার কোলে। আমি তাঁকে ভয় পেতাম। তার ভালোবাসাকে ঘৃণা করতাম। একলা থেকে একলা জীবন বহন করার কষ্ট তুমি কোনদিন জানবে না সীতা। বাইরে চাকচিক্য ভিতর ঘুন ধরা আমার শরীর বড় হতে লাগল আপন নিয়ম মেনে। মন রয়ে গেল কাঁচা। অপরিনত। 

তিন।। 
  স্বয়ম্বর সভায় পুরুষদের চোখ দেখেছ কোনদিন? মাকড়সার জালের মত আঠাল। পিচ্ছিল। চ্যাট চ্যাট। 
বিবাহে মত ছিল না আমার। কিন্তু পিতার আদেশ অমান্য করার সাহস নেই। কেকয় রাজ অশ্বপতি, যা বলবেন সেটাই শেষ কথা । ক্রোধ অহঙ্কারের সে পাঁচিল ডিঙিয়ে যাবার ক্ষমতা কারোর ছিল না। 
 ছেড়ে চলে গেলেও মায়ের রূপ আমার শরীর জুড়ে বেড়ে উঠছিল নতুন করে। দেশ বিদেশ থেকে বহু যুবক রাজা ছুটে এসেছিল বিবাহের আশায়। তার মধ্যে বেমানান বসে ছিলেন প্রৌঢ় রাজা দশরথ। অপলক দুটি চোখে দেখছিলেন আমাকে। চোখ দুটি জুড়ে ছিল মায়ার সরোবর। 
   আমি তাঁকেই বরণ করলাম। মন দিয়ে , প্রাণ দিয়ে, শরীর দিয়ে বরণ করলাম তাঁকে। তিনি আমাকে গ্রহণ করলেন ভালোবেসে। সে ভালোবাসা তরুণ প্রেমিকের না, পিতার মত কিছুটা। প্রশয় মেশান প্রেম। 
আমি আকঁড়ে ধরলাম তাঁকে। এক মুহূর্তের জন্য ছাড়তে চাইতাম না। ভয় হত, ছাড়লেই বুঝি আবার আমি একলা হয়ে যাব। একাকীত্বের কুয়াশা ঘিরে ধরবে আমাকে। ভাবলেই দম বন্ধ হয়ে আসত। 
     দশরথের পক্ষপাতিত্ব অযোধ্যার পরিবারে সৃষ্টি করছিল চাপা ক্রোধের।  বুঝতাম এ অন্যায়। তবু শিশুর মত তাঁকে রেখে দিতাম ঘরে। পুত্র ভরত পর্যন্ত বিরক্ত হত। কিন্তু আমি নিরূপায়। মনের গভীর গোপন অন্ধকারে পিতা মাতা উপেক্ষিত শিশু কৈকেয়ী   ভীষণ ভীত। শঙ্কিত। সে আর হারাতে চায়না। শরীরের ক্ষত লোক দেখে। মন দেখে কয়জন? তার উপরে মন্থরা! সে আমাকে ছাড়ল কই? বিয়ের পরে ছায়ার মত সে ও এলো অযোধ্যা। যেটুকু শুভ ভাবনা ভিতরে বেঁচে ছিল, সে টুকু সরিয়ে দিতে থাকল সে।  তাঁর লকলক লোভ এতটুকু ছাড়তে রাজি নয় আর কারো জন্য। সে কাউকে সহ্য করতে পারে না। রাম , লক্ষণ, কৌশল্যা সুমিত্রা কাউকে না। বড় বড় চোখ, ঝুঁকে পড়া শরীর নিয়ে প্রাসাদ চষে বেড়িয়ে তাঁর লোভী হাত চায় সমস্ত গ্রাস করতে। 
       সীতা! আজ তোমাকে সব বলতে মন চায়। পতি ভক্তির জন্য ভারতবর্ষে আদর্শ তুমি। লোক তোমার পূজা করে। সতী বলতে তোমাকেই বোঝে। যদি বলি, পতিভক্তি আমার কিছু কম ছিল না। হেসে উঠবে ইতিহাস। 
   সত্য হল, প্রাণ দিয়ে ভালবাসতাম রাজাকে। শম্বর অসুরের সঙ্গে যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট ক্ষত মুখের পুঁজ রক্ত নিজের মুখে টেনে টেনে সুস্থ করে তুললাম তাঁকে। তার ফলে পেলাম দুই বর। যা চাই, সব দেবেন রাজা আমাকে। যা চাই __যা খুশি চাই__কিন্তু রামের বনবাস ! না। এ আমি চাইনি। বার বার মন্থরাকে বলেছিলাম __
   রামের পরিবর্তে ভরত সিংহাসনে কেন বসবে? রামচন্দ্র আমার নিজের সন্তানের মত। কত যত্ন করে সে আমাকে। 
কেন বঞ্চিত হবে সে? 
    
    মন্থরা বিষ দৃষ্টিতে দেখছিল আমাকে। ক্রমশ ঝুঁকে এলো আমার শরীরের উপর। কালো ছায়া দিয়ে ঢেকে দিতে থাকল শুভ বুদ্ধি। সাপের ফনার মত দুলতে থাকল ওই কুব্জা। ফিস ফিস গানের সুর ভেসে ভেসে বেড়াতে লাগল সারা ঘরে। ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকল আমার চিন্তার ক্ষমতা। বিকারগ্রস্থ পশুর চিৎকার বেরিয়ে এলো গলা থেকে, ছুঁড়ে ফেললাম অলংকার, বস্ত্র। ক্ষতবিক্ষত করলাম নিজেকে। মাটিতে শুয়ে কাঁদতে লাগলাম হুহু করে। সাপের মত নিঃশব্দে সরে গেল মন্থরা।
      রাজ্য জুড়ে খুশির উৎসব। রামচন্দ্রের রাজ্য অভিষেক। দান ধ্যান যাগ যজ্ঞে মুখরিত রাজসভা। হাসি আনন্দে ভরে আছে অন্দর মহল।  
এমন সময় খবর গেল , রানী কৈকেয়ী অসুস্থ। দৌড়ে এলেন রাজা দশরথ। সময় স্তব্ধ হল। ইতিহাস বদলে গেল। শ্রীরামের রাজ অভিষেক বন্ধ হল। 


    ইতিহাস বদলাতে পারে নারী। যুগ সে কথাই বলে। সীতা! আজ এত দুঃখের মাঝেও ভাবছি, আমি বদলে দিলাম সময়ের চাকা? না কি মন্থরা? না কি আমার মধ্যেই বাস করত মন্থরা? প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বাস করে শুভ __অশুভ। সাদা _ কালো। ভালো _মন্দ। বিকৃত শৈশব জন্ম দিয়েছিল মন্থরাকে আমার মধ্যে? আমি ই কি একাধারে মন্থরা আর কৈকেয়ী? 

২টি মন্তব্য:

  1. কি ভাল কৈকেয়ী চরিত্র বিশ্লেষণ

    উত্তরমুছুন
  2. অনবদ্য!!!...মুগ্ধ হলাম বিশ্লেষণে...বিশেষত শেষ অংশটুকু যেন
    মানব চরিত্রের অমোঘ বৈশিষ্ট্যের কথা বলে দিল!!!

    উত্তরমুছুন

Featured post

সোনালী মিত্র