শ্রীময়ী চক্রবর্ত্তী

মায়াজম
0
        সে কি কেবলই যাতনাময়? 
 



       রাত্রি প্রথম প্রহর... মহারাণী শুচিস্মিতা সর্বাঙ্গে চন্দনের শীতল লেপ লাগিয়ে গোলাপ জলে স্নান করলেন ।আজ তিনি সব সহচরী এবং দাসীদের অবসর দিয়েছেন ।তাঁর কাছে শুধু তাঁর প্রিয় সখী, বাল্যবান্ধবী হিরণ্ময়ী রয়েছে।স্নানান্তে মৃগনাভির তেল হাল্কা করে মেখে রেশমের ক্ষুদ্র  বস্ত্রখণ্ড গায়ে জড়িয়ে বিশাল রৌপ্য দর্পণের সামনে এসে বসলেন ছোট রাণী ।পূর্ণ শিখা স্বর্ণ- দীপদণ্ড তাঁর তপ্ত কাঞ্চন বর্ণের সামনে যেন ম্লান হয়ে গেলো।শুচিস্মিতার চোখের কোণের সামান্য কালিমা তাঁর রূপকে আরো মোহময় করে তুলেছে যেন পূর্ণ চন্দ্রের উপর জলভারাক্রান্ত মেঘের স্নিগ্ধ স্পর্শ।হিরণ্ময়ী তাঁর কোমর ছাপানো চুল ধুপের ধোঁয়ায় শুকিয়ে দিলো,পা রাঙিয়ে দিলো গাঢ় লাল আলতায়।তারপর অতি মৃদুস্বরে রাণীর কর্ণমূলে ওষ্ঠ স্থাপন করে বললো
 "কুমারী কুরঙ্গাক্ষী সেনাপতি আদিক এ রূপ দেখে প্রাণে বাঁচলে হয়"।
শুচিস্মিতার বিবাহের পূর্বে নাম ছিলো কুরঙ্গাক্ষী ।তিনি অহমের এক ক্ষুদ্র রাজ্য নিশাতপুরের রাজকন্যা।তাঁর বুকে আজ ফেলে আসা মাতৃভূমির আদিম উপজাতির দ্রিমি দ্রিমি মাদলের ধ্বনি ।রক্তে বুড়হা লুইতের জোয়ারের টান।আজ বিশ বৎসর বর্ষীয়া কুরঙ্গাক্ষী অভিসারে যাবেন ।
           কুরঙ্গাক্ষী আজ চুল বাঁধলেন না,আলগা একটা হাত খোঁপা করে নিলেন।পরণে একটি কৃষ্ণাভ নীল, রাতের আকাশ রঙা শাড়ি।অলঙ্কারে বড় শব্দ হয় তাই সব অলঙ্কার ত্যাগ করে তিনি পুষ্পসজ্জা করেছেন ।গলায় স্বর্ণচম্পার মোটা গোড়ের মালা,হাতে নিশিগন্ধার বাজুবন্ধ,কেশে শোভিত যূথী মাল্য। তাঁর নবীন তনু ঘিরে আছে এক অপার্থিব সৌন্দর্য । কুরঙ্গাক্ষীকে দেখে স্বয়ং কন্দর্পও আজ ধনুর্বাণ রেখে নতজানু হবেন ।
     প্রথম প্রহরের অন্তে রাণী শুচিস্মিতা এবং হিরণ্ময়ী রাজ অবরোধের পেছন দিকের একটি গুপ্ত দ্বার দিয়ে দীপ হাতে প্রায় সিকি ক্রোশ দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পেরিয়ে রাজপ্রাসাদের বাইরে এলেন। নরম ঠাণ্ডা একটা হাওয়া বইছে । সামনেই রাখি নদী।নদীর বুকে রাজপ্রাসাদের গাঢ় অন্ধকার ছায়ায় গা মিলিয়ে একটা ডিঙ্গি ভাসছে। এ সুড়ঙ্গ শুধুমাত্র বর্হিশত্রুর আক্রমণের সময়ই ব্যবহৃত হওয়ার কথা কিন্তু বছর দুয়েক আগে রাজ অবরোধে আজন্ম পালিতা এক বৃদ্ধা দাসীর কাছে এ পথের সন্ধান পায় চতুরা হিরণ্ময়ী ।আজ বড় ভয়ঙ্কর দিনে এই সুড়ঙ্গ পথ ব্যবহার করলেন মহারাণী শুচিস্মিতা ।হিরণ্ময়ীর মুখ নিঃসৃত রাত চরা পাখির আর্তনাদ অন্ধকার চিরে নদীর দিকে মিলিয়ে গেল ।ডিঙি নৌকাটি সংকেতের অপেক্ষায় ছিল, এবার ধীরে ধীরে ঘাটের দিকে নিঃশব্দে এগিয়ে এলো।দাঁড় বাইছে হিরণ্ময়ীর স্বামী ধূর্জটি ।
            মহারাণী কুরঙ্গাক্ষী যাচ্ছেন প্রধান সেনাপতি আদিক সিং দেওর সাথে দেখা করতে ।আদিকের  প্রাসাদে কিন্তু তাঁদের দেখা  হবে না । একটি বাগান বাড়িতে সবার চোখের আড়ালে দীর্ঘ বিরহের পর দুই বাল্য প্রণয়ীর মিলন হবে ।আদিকের  প্রিয় সহচর ধূর্জটি এবং তার স্ত্রী হিরণ্ময়ী ছাড়া এ পরিকল্পনার কথা কাক পক্ষীও জানেনা।
                আদিক এবং রাজকুমারী কুরঙ্গাক্ষী একসাথে এক রাজপ্রাসাদে ছোট থেকে বেড়ে উঠেছেন । কৈশোরে কুরঙ্গাক্ষী মোটেও শান্ত বালিকা ছিলেন না ।অশ্বারোহণ এবং তলোয়ার খেলায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার ।অদিক তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়, একই গুরুর কাছে তাঁরা শাস্ত্র এবং শস্ত্র শিক্ষা প্রাপ্ত হন।আদিক তাঁর থেকে ছয় বছরের বড় কিন্ত্তু তাও তাঁরা ছিলেন প্রাণের বন্ধু ।
            কুমারী কুরঙ্গাক্ষীর যখন বারো বছর বয়স তখন কলিঙ্গের রাজা  মহারাজ জয়সূর্য্য বঙ্গের একের পর এক রাজাকে যুদ্ধে হারিয়ে নিশাতপুর অবরোধ করেন ।কুরঙ্গাক্ষীর পিতা হরিদেবের ক্ষমতা ছিলনা অমিতবিক্রম জয়সূর্য্যকে প্রতিহত করবার ।তিনি সন্ধির শর্ত হিসাবে প্রৌঢ় রাজার সাথে মধ্যম রাণীর কন্যা রাজকন্যা কুরঙ্গাক্ষীর বিবাহ প্রস্তাব এবং উপঢৌকন স্বরূপ বহু ধনরত্ন পাঠালেন ।
                    জয়সূর্য্যর সৈন্যরা দীর্ঘ পথশ্রমে ক্লান্ত ছিল, রাজা মিত্রতার প্রস্তাব স্বীকার করে নিলেন ।যুদ্ধের দামামা বিয়ের শানাই হয়ে বেজে উঠলো ।সবাই সুখী, শুধু কুরঙ্গাক্ষীর মা জাহ্নবী চোখের জলে ভাসতে লাগলেন আর আদিক  নীরব ক্রোধের আগুনে দগ্ধ হতে লাগলো । বুদ্ধিমতী কুরঙ্গাক্ষী সেই বালিকা বয়সেই বুঝতে পেরেছিলেন  তার সৎ  মা পাট রাণী দেবকী দেবীর প্ররোচনাতেই তাকে এই রাজনৈতিক বিবাহে বলির পশু বানানো হচ্ছে ।দেওতা অর্থাৎ তার পিতা রাজা হরিদেব পর্যন্ত তাকে আশীর্বাদ করে মাতৃভূমির প্রতি তার কর্তব্যবোধের প্রশংসা করেন,কিন্ত তার পিঠোপিঠি দিদি দেবকীর কন্যা অরুণাকে কেন বিবাহের জন্য মনোনীত করা হয়নি সে প্রশ্ন নিরুত্তর থেকে যায়।
              রাজকুমারী কুরঙ্গাক্ষীর দেহরক্ষী একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের প্রধান হিসাবে আদিক সিং ও মহারাজ জয়সূর্য্যর সেনাবাহিনীতে যোগদান করল।ফেরার সময় দীর্ঘ বিপদসঙ্কুল যাত্রাপথে মৃগয়াপ্রিয় মহারাজকে বাঘের মুখে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে অদিক জয়সূর্য্যর প্রধান পার্শ্বচর, দেহরক্ষী এবং পরম বিশ্বাসভাজন হয়ে ওঠে। সে যেমন অসম সাহসী বীর তেমন তীক্ষ্ণধী ও মধুরভাষী।এই আট বছরে রাজ্যের সব অমাত্যকে হেলায় পেছনে ফেলে সে রাজ্যের প্রধান সেনাপতির আসনে আরোহণ করেছে ।মহারাজ তার চোখ দিয়েই দেখেন, তার কান দিয়েই শোনেন।
             রাজকুমারী কুরঙ্গাক্ষীর বিবাহের পর নতুন নাম হলো শুচিস্মিতা, মহারাণী শুচিস্মিতা।তার সাথে আট দাসী এবং প্রিয় সখী হিরণ্ময়ী কলিঙ্গে এসেছে ।হিরণ্ময়ী আদিকের বয়স্য ধূর্জটির স্ত্রী ।সে রাত্রে প্রাসাদে থাকেনা ফিরে যায় নিজের স্বামীর ঘরে।
              কুরঙ্গাক্ষী অবরোধে প্রবেশ করে দেখলেন তাঁর তিনটি সপত্নী ।শুধু মধ্যম রাণীর গর্ভে একটি পুত্র যুবরাজ অনন্তসূর্য।সাত রাজকন্যার অনেকেই বিবাহিতা এবং সন্তানবতী।যুবরাজ অনন্তসূর্য ও তাঁর থেকে দুই বছরের বড়।
            বরের কূলপ্রথা অনুসারে রাণী রজস্বলা না হলে স্বামী তার কক্ষে আসবেন না ।দুই বৎসর পরে কুরঙ্গাক্ষী যখন স্বামী সমাগমের উপযুক্ত হলেন জয়সূর্য্য তখন মধুমেহ রোগে পৌরুষ হারিয়ে স্ত্রী সহবাসে অক্ষম। পুজার্চনা, শাস্ত্রপাঠে কালাতিপাত করেন তিনি ।কুরঙ্গাক্ষীর প্রতি তাঁর ব্যবহার মধুর এবং স্নিগ্ধ ,কিন্ত স্বামী স্ত্রীর স্বাভাবিক দাম্পত্য সম্পর্ক তাঁদের মধ্যে কখনোই স্থাপিত হলো না ।
            বাল্যবান্ধবী কুরঙ্গাক্ষীর দাম্পত্য জীবন যদি ছকে বাঁধা গতে চলতো আদিকের প্রণয় হয়তো ক্রমে সময়ের সাথে সাথে স্নেহে রূপান্তরিত হতো।কিন্তু আদিক, হিরণ্ময়ী এবং বিরিঞ্চি মারফত কুরঙ্গাক্ষীর জীবনের অপ্রাপ্তি এবং মানসিক যন্ত্রণার কথা পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে  জ্ঞাত হতে লাগলো ।তার  মনে হলো প্রৌঢ় রাজা কুরঙ্গাক্ষীকে বিবাহ করে প্রতারণা করেছেন .... আদিকের ভালোবাসা ক্রমশ কামনার আগুন হয়ে তাকে দহন করা শুরু করল ।
        গত দুই বৎসর যাবৎ আদিক ভেতরে ভেতরে অতি সংগোপনে এক ভয়ঙ্কর  ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছে।মহারাজ জয়সূর্য্যর পুত্র যুবরাজ অনন্তসূর্য স্বয়ম্বর সভায় যোগ দিতে নিকটবর্তী একটি রাজ্যে যাচ্ছিলেন, আজ অতি প্রত্যূষে দূত মারফত খবর আসে কুমার অসুস্থঃ তাঁর রক্তবমি হচ্ছে ।মহারাজ একমাত্র পুত্রের অসুস্থতার খবর পেয়ে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি। পরম বিশ্বাসভাজন আদিকের হাতে তাঁর অনুপস্থিতিতে রাজ্য রক্ষার ভার দিয়ে রাজ বৈদ্য এবং কিছু দেহরক্ষী সৈন্য নিয়ে স্বয়ং দ্রুতগামী অশ্বে রওনা হয়েছেন।কিন্তু কুমারের অসুস্থতা ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র। অনন্তসূর্যের অগোচরে স্বল্প মাত্রার বিষ তাঁর আসবে মিশিয়ে দেয় তাঁর এক চাটুকার সভাসদ ।আগামী কাল মহারাজা যুবরাজের শিবিরে পৌঁছবেন। খবর বহন কারী ধূসর একটি পারাবত সেনাপতি আদিকের বিশেষ সাঙ্কেতিক বার্তা বহন করে  কালান্তক যমের মতো সেই অর্থ লোভী নিচ  ষড়যন্ত্রকারী সভাসদের হাতে পৌঁছাবে , এবং গভীর রাতে মহারাজের  রক্ষীদলের মধ্যে মিশে থাকা গুপ্ত ঘাতকের হাতে রাজা এবং যুবরাজ নিহত হবেন । মহারাজ জয়সূর্য্য এবং যুবরাজ অনন্তসূর্যের মৃত্যুর  খবর পৌঁছানো মাত্র আদিক সিংহাসনারুঢ় হবে। মহারাজের অনুগত মন্ত্রীদের কারাগারে নিক্ষেপ করবে এবং রাণী শুচিস্মিতার পাণিগ্রহণ করবে। কুরঙ্গাক্ষী এই চক্রান্তের খবর মহারাজ রওনা হয়ে যাওয়ার পর প্রিয় সখী হিরণ্ময়ীর কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন। খবর শুনে ক্ষণকাল স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলেন তিনি, তারপর  আদিককে খবর পাঠিয়েছেন আজ রাত্রি দ্বিপ্রহরে তিনি আদিকের দর্শনাভিলাষী।কুরঙ্গাক্ষীর ইচ্ছা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বা ইচ্ছা কোনটাই আদিকের নেই ।সে নৌকার ব্যবস্থা করে  বাগান বাড়িতে একা প্রিয়তমা কুরঙ্গাক্ষীর প্রতীক্ষার প্রহর গুণতে লাগলো ।
       বড় একটা কালো চাদরে সর্বাঙ্গ ঢেকে কুরঙ্গাক্ষী অভিসার কক্ষে প্রবেশ করলেন।কত বছর বাদে দুই বাল্য প্রণয়ীর দেখা হলো।একটি মৃগচর্মাসনে বসে আছে কুরঙ্গাক্ষীর বাল্যকালের খেলার সাথী আদিক।সে আজ আর তরুণ নয় অসীম বলশালী এক পরম রূপবান  যুবক ।কুরঙ্গাক্ষী চাদরটা খুলে ফেললেন ।ঘন নীল বিস্রস্ত শাড়ি,পিঠে ভেঙে পড়া আলুলায়িত কুন্তলে অভিসারিকা রাণী যেন জয়দেবের শ্রীরাধিকা ।আদিকের চোখ বুঝি বাল্যসখীর এ মোহময় রূপে ধাঁধিয়ে গেল ।সে কিছু না ভেবে হাত ধরে কুরঙ্গাক্ষীকে নিজের দিকে আকর্ষণ করলো।কুরঙ্গাক্ষী বিনা বাধায় রহস্যময় বিষাদ মধুর হাস্যে আদিকের বাহুবন্ধনে আত্মসমর্পণ করলেন ।দীর্ঘ লালিত আকাঙ্ক্ষার প্রবল নিষ্পেষণে কুরঙ্গাক্ষীর গলার ফুলের মালার পাপড়ি গুলো ঝরে গেল ।আদিক মুহূর্তের জন্য বুকে একটি তীব্র তীক্ষ্ণ দংশন অনুভব করলো।মহারাণী কুরঙ্গাক্ষী কখন যেন বস্ত্রাঞ্চলের ভেতর থেকে একটি অতি ধারালো দুমুখো ছুরিকা তাদের দুজনের মাঝখানে স্থাপিত করেছেন ।প্রবল উত্তেজনায় আদিক কিছুই খেয়াল করেনি।এই ছুরিতে মাখানো আছে তীব্র বিষ , যার এক বিন্দু শরীরে প্রবেশ করলেও মৃত্যু নিশ্চিত ।আদিক দেখলো তার বক্ষলগ্না  প্রিয় নারীর শরীরের সাথে তার শরীর একটি ধাতব শলাকার দ্বারা যুক্ত ।সে মৃত্যু যন্ত্রণায় বিকৃত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলো 
"রাক্ষসী এ তুই কেন করলি?তুই কি আমায় ভালোবাসিস না!!!!"
শেষেরদিকে হাহাকারের মতো শোনায় তার গলা
কুরঙ্গাক্ষী দয়িতের বুকে মাথা রাখলেন, আদিতের বুকের রক্তে মাখামাখি হয়ে গেলো তাঁর সিঁথিমূল।আরো নিবিড় ভাবে আদিককে জড়িয়ে ধরে কোমল স্তিমিত কণ্ঠে তিনি বললেন 
"কুমার তুমি বিশ্বাসঘাতক তাই তোমার শাস্তি মৃত্যু,আর আমি অন্যের স্ত্রী হয়ে সারাজীবন এক বিশ্বাসঘাতককে কামনা করে গেছি তাই আমারো নিয়তি মৃত্যু।"
              মহারাজ জয়সূর্য এবং যুবরাজ অনন্তসূর্য নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা পেয়ে নবজীবন লাভ করলেন ।
     কঠিন মাটিতে পরস্পর সংযুক্ত প্রেমিক  যুগলের নিথর  দেহ পড়ে রইলো ....  একজন বিশ্বাসঘাতক , আরেকজন কলঙ্কিনী ।তাদের আত্মা বুঝি সেই অমৃতলোকে যাত্রা করলো যেখানে পাপ পুণ্য,ন্যায় অন্যায়, উচিত অনুচিত নেই ..... ভালোবাসা যেখানে একমাত্র ধর্ম ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)