মৌমিতা মিত্র

মায়াজম
4
সতী – বেশ্যার উপাখ্যান

সতী – বেশ্যার উপাখ্যান
একে…
চন্দ্র
দুইয়ে…
পক্ষ
তিনে…
নেত্র…
এই গণনাটাই যদি একটু বদলে দেওয়া যায়?
এক পতির প্রতি অনুগতা পতিব্রতা
একপত্নী…
স্বামী ছাড়া দ্বিতীয় পুরুষের প্রতি আসক্ত নারী –
কুলটা
তিন জনের প্রতি অনুরক্তা হলে
বৃষলী বা পুংশ্চলী
চার থেকে ছজনের প্রতি হলে বেশ্যা;
সাত আটে যুঙ্গী,
তদুর্ধ্বে মহাবেশ্যা …
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের এই বিচিত্র গণনাপন্থার উপর দৃষ্টিক্ষেপ করলেই নারীর সতী থেকে বেশ্যা হওয়ার যাত্রাটি আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়। না। বারাঙ্গনা বা গণিকাদের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন এই নিবন্ধের লক্ষ্য নয়; এই মহাশাস্ত্রীয় গোলকধাঁধায় এক পলকের পতনে নারীচরিত্রের পতন কীভাবে সংঘটিত হয়, সেই বিষয়ে ঝিলিক ঝলক নজর করাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা নারী বলতে বুঝব ঢে কুচকুচ খেলার সেই মধ্যেকার খুঁটিকে যার অবিরত টালমাটাল আস্তিত্বিক সঙ্কটের একদিকে সতীত্ব, আরেক দিকে চারিত্রিক অপযশ।
বৃহদারণ্যক উপনিষদের একটি শ্লোক ( ৬/ ৪/ ৭) এইরকম, “সে (স্ত্রী) সম্মত না হলে তাকে ক্রয় কর (উপহার সামগ্রী দিয়ে) এবং যদি সে তার পরেও অনমনীয় থাকে, তবে তাকে লাঠি দিয়ে বা হাত দিয়ে আঘাত কর এবং এগিয়ে যাও এই মন্ত্র উচ্চারণ করে, ‘আমি তোমার মর্যাদাহানি করি’ ইত্যাদি; তবেই তার শিক্ষা হবে।”
এই শ্লোকের শেষাংশে দাম্পত্য ধর্ষণের কথাটুকু যতই অবমাননাকর হোক, আপাতত অপ্রাসঙ্গিক বলে যদি সেটুকু দূরে সরিয়ে রাখি, তাহলে দেখব স্ত্রীকে উপহার সামগ্রী দিয়ে ক্রয় করার মধ্যেই তাকে গণিকা হিসেবে গণ্য করার বীজ প্রচ্ছন্ন আছে।
এবার একটা গপ্পো শোনা যাক। প্রজাপতি সোমদেবতাকে সৃষ্টি করে তাঁকে তিনটি বেদ প্রদান করলেন। সাবিত্রী সীতা সোমকে কামনা করেন। কিন্তু সোমের প্রিয়া ছিলেন শ্রদ্ধা। সীতা তখন ব্রহ্মার কাছে সোমের প্রতি আসক্তির কথা ব্যক্ত করলেন। সব কথা শুনে প্রজাপতি সাবিত্রীকে অলংকারে গন্ধ দ্রব্যে ভূষিত করে সোমের নিকট প্রেরণ করেন। সোম সাবিত্রীর রূপ দেখে আকৃষ্ট হন এবং তাকে নিকটে আহ্বান করেন। সীতা বলেন, ভোগের দান দাও। সোম তখন তাকে ত্রিবেদ দান করেন। তন্মাদ উ হ স্ত্রীয়ো ভোগমেব হারয়ন্তে। সেইজন্য আজও স্ত্রীলোক মিলনের পূর্বে স্বামীর নিকট ভোগ্য প্রার্থনা করে থাকে। আচ্ছা, তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণের এই উপাখ্যান কি বেশ্যাবৃত্তিকে মান্যতা দেওয়ার একটা অছিলা? আপাত দৃষ্টিতে আমরা এখানে সাবিত্রীকেই দেহদানের ক্ষেত্রে মূল্যপ্রাপ্তিতে উন্মুখ দেখছি এবং দেখছি সোমদেবতাকে কামপরবশ সুবোধের মতো মূল্য চুকিয়ে দিতে । একেবারে পিতৃতন্ত্রের সার্থক গল্পগুলো যেমন হয়, এই উপাখ্যানটিও তার কিছুমাত্র ব্যতিক্রম নয়। নারী অবিদ্যের দ্বার, মায়া, সে মোক্ষের পথে বাধা। তার প্রধান কাজই হল পুরুষকে উন্মার্গগামী করে তোলা। পিতৃতন্ত্রে চিরকালই নষ্ট মেয়েরা নষ্ট , অথচ যারা তাদের নষ্ট করে, তারা হীরের আংটি। এ তো আমাদের জানা বয়ান। কিন্তু এই আখ্যানকেই যদি আমরা সাব অল্টার্ণ চশমায় বা প্রচলিত মূল্যবোধের বিপ্রতীপে দেখি, তাহলে কী এটাই প্রমাণ হয় না, কামে বশীভূত হলে ইপ্সিত নারীকে পাবার জন্য পুরুষ মূল্যদানে বা কার্পণ্য করে না? সেখানে তার কামনিবৃত্তিই মূল উদ্দেশ্য। প্রণয়িণী বা স্ত্রী’র বিদ্যুচ্চমকের গতিতে গণিকায় অবস্থানের রূপান্তরের কোন মূল্য তার মোহমদির চোখে রেখাপাত করে না।
আমরা মনু স্মৃতি ‘র পাতা ওলটালে দেখতে পাই,‘স্ত্রী যেমন পুরুষকে ভজনা করে তেমন পুত্র প্রসব করে। সুতরাং সন্তানের বিশুদ্ধির জন্য স্ত্রীলোককে সযত্নে রক্ষা করবে (৯/৯)। নারীদের স্বভাবই পুরুষদের দূষিত করা। অতএব পন্ডিতগণ স্ত্রীলোক সম্বন্ধে অনবহিত হন না। (২/২১৩)
এই শ্লোক দুটির মধ্যেই পিতৃতন্ত্রের আশয়টা স্পষ্ট হয়ে পড়ে আমাদের কাছে। মূলত যবে থেকেই গোষ্ঠী বা কৌম ভেঙ্গে পরিবারের ও ব্যক্তিগত মালিকানার উদ্ভব হল, তখন থেকেই একজন পুরুষের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী যেন তারই ঔরসজাত হয়, সে ব্যাপারে তার নিঃসন্দেহ হবার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হল। সেই নিশ্চয়তার মাশুল দিতেই নারীকে ‘সতী’ হতে হল। তাই আমরা দেখি, পুরুষরা একাধিক স্ত্রী , উপপত্নী, গণিকা’র সান্নিধ্য ভোগ করলেও ‘স্ত্রী জাতি সব সময় নিজেদের অনাচার ও অধর্ম বা পাপ থেকে দূরে রাখবে। কারণ স্ত্রী’র চরিত্র নষ্ট হলে সমাজ নষ্ট হবার উপক্রম হয়।’ (৯/৫)
তবে সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য শ্লোকটির ধূর্ত ও ধূসর পরিসর দেখলে অবাক হতে হয়। ‘যে স্ত্রী দুঃশীলতা হেতু নিজে আত্মরক্ষায় যত্নবতী না হয়, তাকে পুরুষগণ ঘরে আটকে রাখলেও সে ‘অরক্ষিতা’ থাকে। কিন্তু যারা সর্বদা আপনা-আপনি আত্মরক্ষায় তৎপর, তাদের কেউ রক্ষা না করলেও তারা ‘সুরক্ষিতা’ হয়ে থাকে। তাই স্ত্রীলোকদের আটকে রাখা নিষ্ফল। স্ত্রীজাতির নিরাপত্তা প্রধানত তাদের নিজস্ব সামর্থ্য ও মনোভাবের উপর নির্ভরশীল।’ (৯/১২)
লক্ষ্যণীয়, এই শ্লোকে কিন্তু সরাসরি উপদেশ নেই। চাবুকের মতো পিঠে কোন কঠোর বিধানও সপাত করে নেমে আসছে না। ভয় দেখিয়ে বা লোভ দেখিয়ে কার্যসিদ্ধি করিয়ে নেওয়ারও প্রচেষ্টা নেই। কিন্তু যা আছে, তা আরও ক্ষুরধার। স্ত্রীলোকের মনোবৃত্তির উপরই তাদের সতী বা অসতী হওয়ার দায়টা সূক্ষ্ম অথচ চূড়ান্তভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, আপনা – আপনি আত্মরক্ষা করা সুরক্ষিতা সতীরা পরিস্থিতির চাপে অরক্ষিতা হয়ে গেলেও সেখানে তাদের সামর্থ্য ও মনোভাব সমাজের কাছে কতখানি অনুভববেদ্য হয়ে ধরা পড়ে? দেখা যাক, দু একটা নমুনা। ।
অশোকবনে বন্দিনী জনক নন্দিনী সীতা অপেক্ষা করছেন তার স্বামীর। রাবণকে বধ করার অব্যবহিত পরেই তিনি সীতাকে দেখতে ছুটে আসেননি। , বিভীষণকে লঙ্কার সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করে , যথাবিধি কর্তব্য সমাপ্ত করে রাম সীতার কাছে এলেন। এসেই বললেন, ‘যুদ্ধ করে যে জয়লাভ করেছি, সে তোমার জন্য নয়, নিজের বিখ্যাত বংশের কলঙ্কমোচনের জন্য করেছি। (৬/১১৫/১৬) তোমার চরিত্রে (আমার) সন্দেহ, আমার সামনে তুমি আছ এতে আমি (তোমার প্রতি) প্রতিকূল বোধ করছি যেমন চোখের রোগীর সামনে দীপ থাকলে (তার কষ্ট) হয়। অতএব এই দশদিকের যেখানে ইচ্ছা তুমি যাও, তোমাকে অনুমতি দিচ্ছি, তোমাতে আর আমার কোনও প্রয়োজন নেই। সদবংশজাত কোন তেজস্বী পুরুষ, পরগৃহে বাস করেছে এমন নারীকে বন্ধুত্বের লোভে পুনর্বার গ্রহণ করবে? তুমি সচ্চরিত্রই হও বা দুশ্চরিত্রই হও মৈথিলি, তোমাকে আমি আজ ভোগ করতে পারি না।... তুমি এখন সেই ঘিয়ের মতো যা কুকুরে লেহন করেছে। ( মহাভারত ৩/২৭৫/১০-১৩) আজ সুবুদ্ধিপ্রণোদিত হয়ে তোমাকে বলে দিলাম, হে ভদ্রে,লক্ষ্মণ অথবা ভরত যাতে তোমার সুখ হয় তাকেই বরণ কোরো।’
অপমানে কষ্টে দুঃখে আগুনে আত্মাহুতি দিতে চেয়েছিলেন সীতা। কিন্তু আগুন তাকে স্পর্শ করল না। নিজের সতীত্বের প্রমাণ দিয়েছিলেন অযোধ্যায় আসার আগেই। এখন প্রশ্ন হল রামগতপ্রাণা ‘সুরক্ষিতা’ সীতাকে শেষপর্যন্ত ধরণী মা’র কোলে আশ্রয় নিতে হল কেন?
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ, কৌরবদের তার প্রতি চূড়ান্ত অপমান এ নিয়ে যত কথা হয়েছে সমুদ্রেও বুঝি তত ঢেউ নেই। কিন্তু অবাক লাগে তার সখা কৃষ্ণের আচরণে। যুদ্ধের ঠিক আগে পান্ডবপক্ষে আনার জন্য তিনি কর্ণকে নানা প্রলোভনে ভুলিয়ে ছিলেন, তার মধ্যে একটা ছিল, ষষ্ঠে ত্বাং চ তথা কালে দ্রৌপদী উপগমিষ্যতি –দিনের ষষ্ঠ ভাগে যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে, ত্রিভুবন সেরা সুন্দরী দ্রৌপদী প্রেমঘন নয়নে দেখা করবে তোমার সঙ্গে, হে মহাবীর কর্ণ। তার অর্থ যদি কর্ণ পান্ডবপক্ষে আসতেন, তাহলে দ্রৌপদীকে একবছর বাধ্যতামূলকভাবে তাঁরও শয্যাসঙ্গিনী হতে হোত। বীর্যশুল্কে তাকে যিনি জয় করেছিলেন, সেই অর্জুনের প্রতিই যে তার প্রেমাসক্তি থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবু চার ভাইয়ের মধ্যে যেন অনবদ্যাঙ্গী দৃপ্তব্যক্তিত্বশালিনী দ্রৌপদীকে নিয়ে লড়াই না বাঁধে,তাই বাকি চারজনকেও স্বামী হিসেবে তিনি মেনে নিয়েছিলেন। সেইসময়ে চার ভাইয়ের মধ্যে ঐক্যবজায় রাখাটা পূর্বভারতীয় জরাসন্ধজোট বিরোধী উত্তরভারতীয় রাজনৈতিক মেরুকরণকে শক্তিশালী করবার ক্ষেত্রে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে বৃষলী, পুংশ্চলী বা বেশ্যা’র সংজ্ঞা নির্দেশক আপ্তবাক্যকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আবর্জনার বাক্সে ফেলে দিয়েছিলেন সমাজপতিরা । মেনে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চপতিকে মনেও নিয়েছিলেন পাঞ্চালী। সেই ‘সতী’র সতীত্বের মূল্যে কৃষ্ণ কর্ণকে পান্ডপপক্ষে আনতে চেয়েছিলেন। একবার কল্পনা করি, কর্ণ পান্ডব পক্ষে যোগ দিয়েছেন। দিনের ষষ্ঠ ভাগে সুন্দরী দ্রৌপদী কর্ণের সামনে এসে দাঁড়ালেন। তার মনে পড়ে গেল এই লোকটা কিছুবছর আগে কৌরব রাজসভায় তাকে কী নারকীয় যন্ত্রনা ও অপমানে দগ্ধ করেছে। সেই কথা স্মরণ করে তিনি যদি জ্যেষ্ঠ স্বামী কর্ণের শয্যায় উপগত না হয়ে রাগে দুঃখে প্রস্থান করতেন, তাহলে তার সেদিনের ‘সামর্থ্য ও মনোভাব’ কি দুঃশীল অরক্ষিতা’র মতো হোত?
বেহুলাও একদিন গাঙুরের জলে ভেলা নিয়ে...
কৃষ্ণা দ্বাদশীর জ্যোৎস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চড়ায়-
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থবট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিল, - একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তাঁর কেঁদেছিল পায়।
বেহুলা সুন্দরী। ছিন্ন খঞ্জনার মতো ইন্দ্রের সভায় নেচে স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিলেন। পুনর্জীবনপ্রাপ্ত লখিন্দর চোখ মেলেই স্ত্রীকে পরপুরুষের হাটে নাচতে দেখে তাকে তিরষ্কার করেছিলেন। দেবতার কথায় স্বামী যদি বা ক্ষোভ শান্ত করলেন। কিন্তু তার শ্বশুর চাঁদ সওদাগর-
যাবুধিয়া সধাগর বুদ্ধি তার ছার
যামি অসতী হেন জ্ঞান হইল তার।।
সাত পরিক্ষা আমি লইল একে একে।
সেস পরিক্ষায় আমি উটিলাম যন্তরিক্ষে।।
সাপের মাথার মণি খুবলে আনতে বলেছেন শ্বশুরমশায়, এনেছেন। চার হাত পা বেঁধে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বেহুলা ভেসে থেকেছেন। জৌঘরে ঢুকিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, আগুন তাকে ছুঁতে পারেনি। কিন্তু শেষ পরীক্ষাটা ইচ্ছে করেই দেননি। তার আগেই অন্তরীক্ষে অবলুপ্ত হয়েছেন।
সীতা নামলেন পাতালে। বেহুলা উঠলেন আকাশে। তারা পৃথিবীতে টিকতে পারলেন না। দ্রৌপদী লুটিয়ে পড়লেন হরি পর্বতের মর্ত্য মাটিতে। অর্জুনের প্রতি প্রেমাধিক্যের কারণে তার সশরীরে স্বর্গে যাওয়া হল না। আসলে যারা সতী-বেশ্যা, তাদের জন্য স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল – সবজায়গাই অকুস্থল। কোনখানেই তাদের আশ্রয় জোটে না শেষ পর্যন্ত।
তথ্যসূত্রঃ প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য ও বাঙালীর উত্তরাধিকার- জাহ্নবীকুমার চক্রবর্তী
প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য – সুকুমারী ভট্টাচার্য
কৃষ্ণা কুন্তী ও কৌন্তেয়- নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
প্রাচ্যে পুরাতন নারী- পূরবী বসু
মনসামঙ্গল
                                                         

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

  1. রাবণ বধের পর সীতার প্রতি রামের যে উক্তি, সেটি মহাভারতের নয়, খাস বাল্মীকি রামায়ণের। প্লিজ, সংশোধন করুন

    উত্তরমুছুন
  2. অসম্ভব ভালো লেখা। এর বেশি লেখা ঠিক হবেনা। ভবিষ্যতের অপেক্ষায় রইলাম।

    উত্তরমুছুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন