ইউরোপ ভ্রমণে মাস্ট সির মধ্যে পরে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম, পিসার হেলান মিনার। অবশ্য হেলান মিনার ছাড়াও পিসাতে আরো অনেক কিছু দেখার আছে, জানার আছে।রোম সাম্রাজ্যের ইতিহাস এত বর্ণময় এবং ইতালির সর্বত্র শিল্পকলায় এত সমৃদ্ধ যে, পিসা শহরেও রয়েছে সেই প্রাচীন অনুপম শিল্পকলার স্বাক্ষর।
পিসার কথাই বলি- খ্রিষ্ট পূর্ব ১৮০-২৭ বিসি থেকে এটি ছিল রোমের অঙ্গরাজ্য। আবার পিসার গৌরব আরো বৃদ্ধি পায় ১০০০ থেকে ১৪০৬ সাল অবধি, যখন পিসা নিজেই ছিল এক স্বাধীন দেশ।আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ১৮০৭ থেকে ১৮১৫, এই ৮ বছর পিসা কিন্তু ছিল ফ্রান্সের এক অঙ্গপ্রদেশ ।
হেলান টাওয়ার বাদ দিলেও পিসা বিশ্ববিখ্যাত আরো অনেক কারণেই। অন্যতম কারণ হচ্ছে পিসা বিশ্ববিদ্যালয়। এর প্রতিষ্ঠা দিবস শুনবেন- ৩ সেপ্টেম্বর, ১৩৪৩ সাল।ওইটুকু তো শহর, তবুও জন্ম দিয়েছে কত অসাধারণ ব্যক্তিত্বের।পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয়ী এনরিকো ফার্মি এবং কার্লো রুবিয়া, সাহিত্যের নোবেলজয়ী কাউচ্চি। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পিসার অবদান চলেছে কোন সে সুদূর দিন থেকে। যেমন ধরুন জিওর্ডানো দা পিসা, নাম শোনেন নি তো ! ১২৮৬ সালে কাঁচ ঘষে চশমার গ্লাস তৈরি করেন ইনি, আরো মজার হচ্ছে এই কাঁচের সঙ্গে ডান্ডা লাগিয়ে আধুনিক চশমার নকশাও তৈরি করেন এক ইতালিয়ান- গিরলামো স্যাডোনারল, সেও হয়ে গেল প্রায় ৩০০ বছর।
আর সবার উপরে পিসাকে আলোকিত করে রয়েছেন, পিসার মধ্যমনি, এখানকার ভূমিপুত্র- গ্যালিলিও গ্যালিলি।
সুন্দরীর সঙ্গে প্রথম দেখা
সুন্দরীর সঙ্গে প্রথম দেখা
পিসা শহরের মধ্যে বইছে সুন্দরী আর্নো নদী এবং সামান্য দূরে গিয়ে মিশেছে লিগুড়িয়ান সাগরে। এ দুটির যোগফলে পিসা চিরকালই ছিল উন্নত বন্দর নগরী। অসংখ্য ঐতিহাসিক চার্চ, প্রচুর মিউজিয়াম এবং ক্যাথিড্রাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শহর জুড়ে।
ফ্লোরেন্স থেকে বাসে রওয়ানা হয়ে ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে পৌঁছে গেলাম পিসা। এই জার্নিটা ট্রেনেও করতে পারেন, সময় লাগে প্রায় ঐরকমই। ট্রেনে খরচা কম পরে কিন্তু হ্যাপা বেশি। বাস আমাদের একটি চত্বরে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল। বুঝতেই পারছিনা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি- পিসা না কলকাতার ধর্মতলায় ! চতুর্দিকে শুধু বাংলার মুখ। শুদ্ধ পশ্চিমবঙ্গের ভাষায় বাংলাদেশের হকারেরা আমাদের ডাকা ডাকি করছেন, মা-মাসি-দিদি-দাদা সম্বোধনের বান ডেকেছে।আলপিন টু এলিফ্যান্ট, কি নেই তাঁদের দোকানে। দশ বছর আগে যখন এসেছিলাম তখন স্থানীয় পুলিশদের সঙ্গে এদের সর্বদা চোর পুলিশ খেলতে দেখেছি। এখন পুলিশ রণেভঙ্গ দিয়েছে। কি করে যেন সবাই সিটিজেনশিপ জোগাড় করে ফেলে , গ্যাট হয়ে বসেছে।নিউ মার্কেটের রাস্তার মতন সারি সারি তাঁবু খাটান দোকান, নেহাৎ রাস্তা চওড়া বলে চলা যাচ্ছে।কিছু আফ্রিকান হকারও আছে, তবে তাঁরা নিতান্তই সংখ্যালঘু বাংলাদেশীদের কাছে। জয় বাংলা!
চলে গেছি ছোটবেলায়। স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে দুভাবে আসতো এই মিনারের কথা, ছবিসহ। এক- সাধারণ জ্ঞানের চর্চায়, দুই- গ্যালিলিওর বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র -" বায়ুশূন্য অবস্থায় পতনশীল বিভিন্ন ভরের সমস্ত বস্তুর গতিবেগ সমান," এর আলোচনা সূত্রে।গ্যালিলিও খণ্ডন করেছিলেন বৈজ্ঞানিক এরিস্টটলের বক্তব্যের। এরিস্টটলের ব্যাখ্যা ছিল "পড়ন্ত বস্তুর গতিবেগ তার ভরের ওপর নির্ভরশীল"।
গ্যালিলিও তাঁর বক্তব্য কে প্রমান করতে নাকি দুটি আলাদা আলাদা ভরের কামানের গোলা নিয়ে এই মিনারের উপরে উঠে একসঙ্গে দুটিকে মাটিতে নিক্ষেপ করেন।এই পরীক্ষার কথা মিনারের ফলকেও লেখা আছে।ভেবে দেখুন তো- সে কি আজকের কথা। গ্যালিলিও জন্মেছেন সেই কবে ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ১৫৬৪ সালে।একদিকে তিনি দূরবীন দিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানের দরজা খুলে দিচ্ছেন, আবার অন্যদিকে পিসার মিনারে এই যুগান্তকারী পরীক্ষা চালাচ্ছেন।
চলেছি Piazza dei Miracoli বা মিরাকুলাস স্কোয়ার বা ক্যাথিড্রাল স্কোয়ারে।ওইখানেই আছে স্থাপত্য শিল্পের এক বড় ভুল যা পরবর্তী সময়ে এক কালজয়ী সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম সেরা আশ্চর্যে পরিণত হয়েছে।
ওই তো তিনি দাঁড়িয়ে আছেন, ঝুঁকে পড়ে আমাদের দেখছেন। চর্মচক্ষুতে দেখেও যেন সাধ মিটছেনা।আমরা যাকে পিসার হেলান মিনার বলছি, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সেটি টৌরে পেন্ডেনটা দি পিসা নামে পরিচিত।
এই অসাধারণ স্থ্যাপত্যটি তৈরি শুরু হয় ১১৭৩ সালে এবং সম্পূর্ণ হতে সময় লাগে ২০০ বছর। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয় ১৩৭২ সালে। সম্পূর্ণ ইতালিয়ান মার্বেলে নির্মিত এই সৌধটির
উচ্চতা ৫৫.৮৬ মিটার বা ১৮৩.৩ ফুট। এটি কিন্ত যে দিকটা মাটিতে বসে গেছে সেই দিকের উচ্চতা। অন্যদিকে উল্টোদিকের দেওয়াল কিছুটা উঠে গেছে বলে এদিকের উচ্চতা ৫৬.৬৭ মিটার বা ১৮৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। এই মাপ ঝোক , লেসার স্ক্যান করে মাপা। এই মিনারটি আদতে তৈরি করা হয়েছিল ক্যাথিড্রালের ঘন্টা বা বেলটিকে ঝোলাবার জন্য। চোখের সামনে যে মিনারটি দেখছি, গুনে দেখছি এতে আটটি তলা আছে। আপনি যদি গ্যালিলিও হতে চান তবে ২৫১ টি প্যাঁচান সিঁড়ি বেয়ে(এটা এন্ট্রি টিকিটের ওয়েব সাইটে লেখা) আপনাকে ওপরে উঠতে হবে।
পিসার রাস্তা তো নয়, যেন ধর্মতলার ফুটপাথ।
এই মিনারের স্থপতি কে, এ নিয়ে মতভেদ আছে। অনেক দিন ধরে প্রচলিত ছিল যে পিসা ডুওমোর স্থপতি বোনানো পিসানো এই সৌধের নকশাকার। কিন্তু ২০০১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে ধরা হচ্ছে যে জনৈক দিওতিসালভি , সম্ভবত মুখ্য স্থপতিকার ছিলেন।তবে স্থপতি বোনানো পিসানোও এই সম্পূর্ণ স্কোয়ারের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এখন কথা হচ্ছে এই মিনারটি কেন হেলে পড়েছিল ? মিনারের নকশায় কিছু ভুল থাকলেও এর হেলে পড়ার মূল কারণ কিন্তু ছিল এর উচ্চতা এবং ভিতের মধ্যে সাযুজ্য না থাকা। ১১৭৮ সালে তিনতলা অবধি গাঁথার পরই ধরা পড়ে যে এটি হেলতে শুরু করেছে।আসলে আর্নো নদীর অববাহিকায় অবস্থিত পিসা শহরের মাটি খুব নরম, তার মধ্যে ১৮৫ ফুট উঁচু টাওয়ারের ভিত করা হয়েছিল মাত্র ৩ মিটার গভীরে। এইটি ছিল হেলে যাবার আসল কারণ। যাইহোক হেলে পড়েছে বলে প্রায় ১০০ বছর এর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে। শত বছর পরে আরেক স্থপতি জিওভানি দি সিমোনে শুরু করলেন এই থেমে থাকা কাজ। বিজ্ঞান সম্মত ভাবে তিনি চেষ্টা করেন দেওয়াল গাঁথার সঙ্গে সঙ্গে বাঁকা অংশকে সিধে করার। কিন্তু আধুনিক সিমেন্ট মর্টারের অভাবে তাঁর চেষ্টাও বৃথা যায়।তবে এই অবস্থায় ও তিনি ছয় তলা অবধি মিনার তৈরি করেছিলেন।এর পর বহাল হন টমাস পিসানো যিনি এটির সপ্তম তল এবং বেল চেম্বারের কাজ সম্পূর্ণ করেন ১৩১৯ সালে।এরপর অষ্টম তল এবং কাজ সম্পূর্ণ হয় ১৩৭২ সালে।
এই অসাধারণ ইতালিয়ান মার্বেল পাথরের মিনার
কত সুন্দর সেটা লিখে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।অসংখ্য পিলার শোভিত খোদাই করা সুক্ষ কাজ এর সর্বাঙ্গে। এই বিশেষ ধরনের স্থাপত্যের নাম যদিও রোমানেস্কি স্টাইল, কিন্তু ক্যাথিড্রাল স্কোয়ারের এই অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীগুলিকে আলাদা ভাবে বলা হয় পিসান রোমানেস্কি আর্কিটেকচার । শুধু হেলান মিনারই নয়, এই ক্যাথিড্রাল স্কোয়ারে আছে সর্বমোট চার চারটি অসাধারন সৌধ। গাঢ় সবুজ মখমলি ঘাসের কার্পেটের ওপর দাঁড়িয়ে আছে চার সুন্দরী। দেল ডুওমো বা ক্যাথিড্রাল হল, কাম্পো স্যান্ত, ব্যাপিষ্ট্রি হল, এবং সুন্দরী শ্রেষ্ট্রা হেলান মিনারটি । আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, এই সম্পূর্ণ চত্বরটিই ১৯৮৭ সাল থেকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষিত।
হাজার বছরের প্রাচীন কাজ
এই আশ্চর্য মিনারটি শুরুতে তার ভর কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৩ ফুট হেলে ছিল ।এই অবস্থায় যে কি করে এই মিনারটি গাঁথা হয়েছিল- অবিশ্বাস্য ! নমস্য সেই সব স্থপতি এবং অনামি মজদুররা। ভুললে চলবেনা যে এই মিনারটির ওজন প্রায় ১৪৫০০ টন। বহু চেষ্টা করে অবশেষে একেবারে হাল আমলে এটির পতন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ২১ বছরের ঐকান্তিক চেষ্টার পরে মিনারটি বর্তমানে ৩.৯ ডিগ্রী কোণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে আগে এটি ৫.৫ ডিগ্রী কোণে হেলে ছিল। ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ সালে এক বিজ্ঞপ্তিতে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে কম করে আগামী ৩০০ বছর অবধি এই মিনারের আরো হেলে পড়া বন্ধ করা গেছে।অতিশয় সু- সংবাদ সন্দেহ নেই।
টাওয়ারের উপরে উঠতে গেলে কাউন্টারে টিকিট পাবেন ,মাথাপিছু ১৮ ইউরো লাগে। তবে বিশাল লাইন যদি এড়াতে চান তবে নেট বুকিং করতে পারেন। যদিও নেটে বুকিং করলে খরচা বেশি লাগে, মাথাপিছু ২৮ ইউরো।টাওয়ার খোলা থাকে ইউরোপের গ্রীষ্মে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা অবধি, অবশ্য রাত ৮ টা তেও সূর্যের আলোয় ভেসে যাবেন।১৭ ই জুন থেকে ৩১ শে আগস্ট অবধি তো রাত ১০ টা অবধি মিনার খোলা।অন্যদিকে শীতকালে সকাল ৯ টায় খুলে ৫ টায় বন্ধ হয়ে যায়। টিকিট কিন্তু সীমিত বিক্রি হয়, একবারে মাত্র ২০/২৫ জনকে মিনিট ২০র জন্য উঠতে দেওয়া হয় টাওয়ারে।
এবার চলুন যাই, সম্পূর্ণ স্কোয়ারটিকে ঘুরে দেখি। টাওয়ারের ঠিক পাশেই দেখতে পাচ্ছি, রোম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রম্যুলাস, উনার ভাই রেমুস এবং তাঁদের পালক নেকড়ে মাতার মূর্তি। ঐতিহাসিক এই মূর্তিটির নাম ক্যাপিটলিন সি উলফ, যদিও এর আদি মূর্তিটি আছে রোমে।
এখান থেকে গেলাম ডুওমো দি শান্তা মারিয়া আসুনটা বা ক্যাথিড্রালে।দেখে বিশ্বাস করা শক্ত যে এটিও হাজার বছরের প্রাচীন। ১০৬৩ সালে এই অপরূপা সৌধের কাজ শুরু হয় , প্রায় ২৯ বছর লাগে এটির কাজ সমাপ্ত হতে। ১০৯২ সালে এই অসাধারণ নির্মাণটি সমাপ্ত হয়। গাইডের কাছে জানা গেল যে ১৫৯৫ সালে এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরে এই সৌধ স্থ্যাপত্যটিতে অনেক কিছু সংযোজন এবং বিয়োজন করা হয়েছে। রোমান এবং বাইজেন্টাইন স্থ্যপত্যের উৎকৃষ্ট সংমিশ্রণ ঘটেছে এই ক্যাথিড্রালের সৌন্দর্যে। আর্চ বিশপ অফ পিসা হচ্ছেন এখানকার ধৰ্ম গুরু।
পিসা ক্যাথিড্রাল
পিসা ক্যাথিড্রাল
পরবর্তী গন্তব্য ব্যাপিষ্ট্রি বা খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করার স্থান। এটি তৈরি করা শুরু হয় ১১৫৩ সালে। রোমান, ইসলামিক এবং আর্মেনিয়ান স্থ্যপত্যের মিশ্রনে গড়ে তোলা হয়েছে ইউরোপের সর্ব বৃহৎ এই ব্যাপিষ্ট্রি কে। এটিরও স্থপতি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন দিওতিসালভে। প্রায় ২০০ বছর লেগেছিল এই সৌধটি সম্পূর্ণ হতে। এর ভিতরে প্রবেশ করলে অনেকটা মসজিদের মতন মনে হবে। গোলকুন্ডা দুর্গের মতন এখানেও শব্দ বিজ্ঞানের প্রয়োগ করে এমন ভাবে ভিতরটি তৈরি করা হয়েছে যে, প্রতিটি শব্দ একটি অদ্ভুত সুরে অনুরণিত হয়।
শেষ গন্তব্য ক্যাম্পসান্তা । আসলে এটি একটি চমৎকার সমাধিস্থল। বস্তুতপক্ষে এমন সুন্দর সমাধি সৌধ দেশে এবং বিদেশে কোথাও চোখে পড়েনি। গাইডের কাছে শুনলাম- তৃতীয় ক্রুসেডের যুদ্ধের সময় পিসার আর্চ বিশপ একটি পবিত্র সমাধিস্থল নির্মাণের উদ্দেশ্যে , পবিত্র জেরুজালেম এর গলগাথা পর্বতের (খ্রিষ্ট কে এখানেই ক্রুশবিদ্ধ করা হয়) মাটি জাহাজে করে নিয়ে আসেন।এর পর এই অসাধারণ স্থ্যপত্যের কাজ শুরু হয় ১২৭৮ সালে জিওভানি দা সিমোনের হাতে, শেষ হয় ১৪৬৪ সালে।অসাধারণ আর্চ এবং মনোমুগ্ধকর ফ্রেস্কোর সমন্বয়ে এটি দর্শনে মন ভরে যাবে।
লোককথা অনুসারে এখানে কবর দেওয়া শরীর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধূলিকণায় পরিণত হয়।
সামনে ব্যাপ্টিস্টি , মাঝখানে ডুওমো, একদম পিছনে পিসার হেলান মিনার
সামনে ব্যাপ্টিস্টি , মাঝখানে ডুওমো, একদম পিছনে পিসার হেলান মিনার
এটি আগে দেখতে নাকি আরো সুন্দর দেখতে ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির বোমার আঘাতে এই সৌধের ভীষণ ক্ষতি হয়েছিল।
হেলানো মিনার নিয়ে মানুষের পাগলামো এবং ক্রেজের গল্প শুনুন। আবুধাবিতে একটি টাওয়ার তৈরি হয়েছে, পিসার টাওয়ারের চার গুনেরও বেশি, ১৮ ডিগ্রি কোণ করে।এটির নাম ক্যাপিটাল গেট টাওয়ার। এখানেই থেমে না থেকে লিনিং টাওয়ার অফ ওয়ানাকা তৈরি হয়েছে নিউজিল্যান্ডে , ৫৩ ডিগ্রি কোণে। এখনও বাকি আছে খালি ৯০° র একটা টাওয়ার বানানো।
সমস্ত ছবি লেখকের তোলা:-
ছবি:- ১) 9366.jpg
২)।9369.jpg
৩) । 9372.jpg
৪)।9381.jpg
৫) সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য- পিসার হেলান মিনার।070417.jpg
৬) ।9384.jpg
৭)কবেকার করা পাথর কুঁদে মূর্তি ও জাফরীর অসাধারণ কাজ।9390.jpg
৮)রোম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রম্যুলাস, উনার ভাই রেমুস এবং পালক নেকড়ে মাতা।9392.jpg
পিসায় থাকার জায়গা:-
প্রচুর থাকার জায়গা আছে যেমন :-গ্র্যান্ড হোটেল ডুয়োমো। Via Santa Maria 94, 56126, Pisa. ভাড়া মোটামুটি ৮০০০/- প্রতিদিন।মেক মাই ট্রিপ থেকেও বুকিং হয়।
শহর জুড়ে অসংখ্য B & B আছে, দুজনের জন্য ৪০০০/৫০০০ টাকা প্রতিদিন।
হোস্টেল পিসা( ইউথ হোস্টেল):- Via Corridoni, 29 Pisa, নেট বুকিং হয়।
ফ্লোরেন্স এবং পিসা তে ইসকনের মন্দির আছে।
ভারতীয় খাবারের জন্য:-
১) Namaste India Ristorante- 003905040604
২)India Ristorante - 003905048513
৩)Tanduri India Restaurant- 00390500300.
পিসার ইতিহাস ভূগোলের খোঁজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে গাইডের সাহায্য নিতে হবে।ইংরেজি বলা গাইডের জন্য Bellaltalia Tour এর সাহায্য নিতে পারেন। গ্রূপ বড় হলে মাথা পিছু ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় হাজার টাকার মতন পরে।
[ তথ্যসূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Leaning_Tower_of_Pisa
সুচিন্তিত মতামত দিন