অনেকদিন পর আজকের আকাশটা আলো ঝলমলে, নীল স্ট্রেচড ক্যানভাসে শান্ত ভাসছে মেঘের অয়েল পেন্টিং…যেন লার্জব্রিসল ব্রাশের আনাড়ী হাতের ছোট ছোট সফ্ট স্ট্রোক …
সামনের গাছটায় কচি সবুজ পাতাগুলো ছেলেবেলার ঘাড়নাড়া বুড়োটার মত মাথা নাড়ছে…
ওই গাছটার নাম আমি জানিনা…
ওক,মেপল,চেরী ব্লসমের মাঝে দলছাড়া মাঝারি একলা এক গাছ…
সারাদিন নিজের মনে বাতাসের সাথে খিলখিল হাসে,নাচে ,কখনও মনখারাপের ঢঙ্গে চেয়ে থাকে আকাশ পানে …
সকালের কাছে পেতে রাখে সূর্যস্তোত্রের মগ্নতা ,ওর বৃক্ষ শরীর মাখে ভোরের নরম আলো
সেই আলোয় ও আমাকে শেখায় মাটিলগ্ন হও…বলে শেখো বৃক্ষের সহিষ্ণুতা…তুমি তো
মাটিরই সন্তান তবে ভয় কি!
প্রতিটি ভোরে ও আমায় শেখায় ধ্যানের একাগ্রতা…বলে শুদ্ধ হও…ব্রিদ মেয়ে ব্রিদ …
পায়ের নখ থেকে প্রতিটি কোষে কোষে ছড়িয়ে দাও পবিত্র বাতাস…
উজ্জ্বল দুপুরগুলোয় গনগনে রোদ্দুরে মেলে রাখে নিষ্কম্প পাতা …যাদের ফুসফুস গ্রহন করে সভ্যতার বিষাক্ত বায়ু ,সবুজ কণারাসালোকসংস্লেষের বিনিময়ে ভাসিয়ে দেয় বিশুদ্ধ হাওয়ার
সতেজতা …ফুসফুসে জমে ওঠা জলকে বলে রোদ মাখো,বাষ্পের ডানা মেলে উড়ে যাও
মেঘেদের পানে…
শেষ বিকেলের সোনালী এক ফালি স্নিগ্ধতায় বিছিয়ে রাখে এক অধীর ফেরার প্রতীক্ষা…
যেখানে অপেক্ষায় এক মায়াময সংসার …বলে নির্মল হও…ব্যথার মলিনতা মোছ…ছায়া হয়ে ফিরে যাও জীবনকে ভালবেসে …
ও আমায় শেখায় প্রকৃত ছায়ার সংজ্ঞা …
আসলে বৃক্ষের কাছে কিছু চাইতে নেই…ওরা শুধু দেবার জন্যেই জন্মায় …
।
অসম্ভব সুন্দর লেখা!
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ
মুছুন