সুবীর সরকার

মায়াজম
0

 অপেরা শিল্পীদের জন্য কয়েক লাইন







ব চিহ্ন মুছে যায়।শ্মশান পাহারায় পুরোন ছাতা।
হাতঘড়িহীন হাতে রোদ পড়লে 
হাডুডু ভুলে যাওয়া মাঠে বিকেল 
                                             নামে
আপনি চারমিনার খেতে থাকুন
আমি গজল শুনতে শুনতে গালিবের ছবি
                                                দেখি
ইজেল বেঁকে যাচ্ছে।
ভাঙা আয়নায় তার প্রতিফলন।
গুরুত্ব হারিয়ে ফেলা নদী নিয়ে এখন কত
                                             সেমিনার
তোমাকে তো চিরদিনের ভাবি!আর চিরতার জল
                                                           খাই।পশুলোমের জ্যাকেট চাপিয়ে
সটান নেমে আসি ভুল শহরের 
                                    রাস্তায়
তুলোর বালিশ ভিজতে থাকলে
        ‌‌       ব্যান্ডেজে মেঘ জড়াই
পাখি ও কিচিরমিচিরের মধ্যে গানের একটা
অবধারিত সম্পর্ক আছে।
বাগানের ভেতর শহর ঢুকে পড়ছে
ময়দানের মধ্যে রাস্তা ঢুকে পড়ছে
দূরে কোথাও বাজনা বাজতে থাকলে
অলি ও গলি থেকে 
সংগ্রহ করতে থাকি প্রসাধনী
                                        ক্রিম।
সেই কবেকার পুড়ে যাওয়া বাবলা গাছ
দিক ও দিগরের দিকে বয়স্ক দোলনা
ধারালো ব্লেড দিয়ে বিষাদের মুখোমুখি হই
গঞ্জ বলতে পারো।
বেলুন উড়িয়ে দিয়ে ঢুকে পড়তে পারো মরা 
                               বিকেলের কোন হাটে
এত এত মানুষের মুখ!
তারা ভরা আকাশের নিচে গুছিয়ে রাখা 
                                              নিরবতা
প্রস্তুতি একধরনের দীর্ঘ লাফ।
চোখের জল মিশে যেতে থাকে লাফাশাকের
                                                  খেতে
অপেরা শিল্পীরা জড়ো হচ্ছেন আদিঅন্ত ঘাসের মাঠে
উত্তরে মিলিটারি ব্যারাক।
দক্ষিণে পাখিরা শিবির পাতে।
আকাশ নেমে আসে জারি ধরলার উজানে
আঙুলে মোম মেখে তারা পুতুল নাচান
অপেরা শিল্পীরা কি জানেন
বেড়ালের থাবায় খুব শীত!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)