কর্পূর
গাছের কথা বলি, ঘর বাড়ির আকাশ। নদীর কথাও।
বলি খিদের কথাও। পিপাসা, সাংসারিক তেষ্টাজল!
রোদের জারিজুরি! মেঘকণা। কেউ বাদ যায় না।
সংসার,শ্রেষ্ঠ ধ্যান!
সন্ন্যাস, ধ্যান শ্রেষ্ঠ!
এই সব অনিত্য জ্ঞান নিত্য দর্শনও বলাবলি করি।
যে কথা কখনোই বলা হয় না, তার নাম কর্পূর!
প্রথমে টিমটিম !তারপর
ফালাফালা!
তারপর বাতাসের ফেনা! ওড়াউড়ি।
সম্পর্ক
যেভাবে পথ এগোয় পথিকের
দিকে
যেভাবে সমুদ্র এগোয় মৎস্যকন্যার দিকে
যেভাবে আকাশ,পাখির। পাখি,প্রজাপতির
যেভাবে রুমাল বাতাসের। ফুঁ, ঠোঁটের ।
যেভাবে প্রাণায়াম, প্রাণের। সরস্বতী, জ্ঞানের!
যেভাবে আমি তুমি, বরণের আর স্মরণের!
চিঠি
যেদিকে তাকাই তোমার হাস্নুহানা, ঘ্রাণ। যেদিকে শুনি, তোমার ঢেউরেখা।
নোঙরের পাতাল ফুঁড়ে লাজবন্তী জাহাজকন্যা! গুপ্তপ্রেমের তীব্র
স্বাদ নিয়ে
গির্জামঠের সুর, স্বর!
যতদূর পৌছয় না আমার ডাকঘর, রানারের পোশাকপরা ঘড়ি! ততোদূর
বিস্তৃত তোমার অজাতশত্রু কুঠিবাড়ি। অলৌকিক বটবৃক্ষের ছায়া, মৃদুহাসি।
আমাকে তোমার অন্দরে চিঠি জানায় রূপকথার পুঞ্জমেঘ বিদ্যুৎবর্ণ
প্রহরী।
তৃতীয় নয়ন
একটার পর একটা আকাশ যখন নেভে, তখন ভ্রূ-মধ্যে জেগে ওঠেন তিনি।
চোখের মতো রহস্যতনু। পলকহীন। পাতা আছে, বৃক্ষ নেই। আপাত অনুজ্জ্বল!
একমাত্র ঘোর সংকটকালে এই জ্ঞানী ধীরস্বরে জাগ্রত হন। তাঁহার
তর্জনী ছুঁয়ে
বোহেমিয়ান আলোকবর্ষতীরে
নিভে যাওয়া নীলাচল সেদিন ষোলোকলাপূর্ণ কাশফুলের অভিসার।
সুচিন্তিত মতামত দিন