দীলিপ ফৌজদার

মায়াজম
0



১ ট্রেন


টনা গুলো সব ট্রেনের টানে চলে, ঘটনা মানে এক একটা মানুষ নয়, এক একটা আখ‌্যান নয়।

ঘটনা মানে ঐ মানুষদেরই একটা দল মাত্রও নয় - দল মানে তো ক্লোন মাথাদেরই এক একটা দঙ্গল


সকাল সকাল, প্রাত্যহিক ঘুম ভাঙ্গার আধ ঘন্টারো বেশি দেরি তখনও আর কেউ এসে দোরগোড়ায় ঘন্টা বাজিয়ে ঢুকে পড়ে, কালো একটা থলির ভেতর থেকে একে একে বের করে সিরিঞ্জ, রবারের দড়ি ও লেবেল আঁটা কাঁচের টিউব কয়েকটা আমার ভেতরের কথা জানার জন্য আবার খোলে যাদুগরি ঝোলা ও তা থেকে একটা কালো প্যাকেট থেকে বের হয় বর্জ্যমুখি সূচ তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে আমার বহমান ধমনী

আমি অপ্রিয় বিরক্তিতে বিমুখ  মূক দর্শকের ভূমিকা নিই 


দেখে দেখে অবাক হচ্ছি কেমন তরতর করে পেরোচ্ছে    লাগামছাড়া ঘুড়ির দিনগুলো 

ওপর নীচে ডাইনে বাঁয়ে কিন্তু এগোচ্ছে না এমন বেয়াড়া একটা খচ্চর ওকে মারলে পিটলে তুমি নিজেই ক্লান্ত হবে আর গালাগালি ওকে বিঁধবে না

: কতবার ট্রেনে চেপে বসেছি, আলস্যের মৌরসীপাট্টায় যখন চোখের ওপর পেরোচ্ছে আরেকটা ট্রেন উল্টো দিশায়, তার বিস্তার দিগন্তকে ছাড়িয়ে, ছাপিয়ে, যেতে চাইছে  সর্বক্ষণ, সর্বদিনমান 


ঘটনা বহুল এভাবে ই আলোর উত্তাপ কমতে কমতে সম্পূর্ণত  নিঃস্ব তার থেকেই একটি দুটি তারা ফোটে, আকাশে অন্ধকার আর অগুন্তি তারাদের আলো

: দিনের আলোয় যেগুলো ধরাতলে্র সংবাদ মালা রাতের ঘটনাচক্রে সেই তারাই শব্দখোয়া,তরঙ্গহীন কিন্তু কবিতার পোঁ ধরা




২ দিন অবসানের কবিতা

দিন শেষ হয়ে এলে পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে শুনতে যে প্রশান্তি জড়ো হয় সারাজীবনের হালখাতায়

দাঁড়াই

পিছনে তাকানর রোগটা কোন দিনই নেই, প্রয়োজনীয় মনে হয় নি

চলার সময় সবকিছু দেখে যেতে যেতে ভাবনাগুলির বৈচিত্র্যও 

ভাবায়

কেউ কোথাও অকষ্মাৎই চলে গেলে 
ফিরবে না জেনেও ভাবি না কোথায় গেলো?

সকলে ভাবে অবসান
দিন অবসানের পর যেমন 
রাত্রি 
তবুও, অপেক্ষা তো থেকেই যায় 
সকাল হওয়ার।

এই ছাড়তে না চাওয়ার জেদটা  তো তোমার আমারই
ওখানে তো সেই গণিতটা নেই! 

কোথায়ই বা এই অবসানের গণিত?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)