প্রতিভা সরকার'এর গ্রন্থ আলোচনা

মায়াজম
0

 

হাজার হাজার কুরুক্ষেত্র আর মেয়েদের কথা


ইয়ের শিরোনামটি দেখে একেবারে নিরীহ মনে হতে পারে। ব্রতকথা। রূপকথা। উপকথা। এমন সব নাম মাথায় নথিবদ্ধ হয়ে আছে যে শিশুকাল থেকে। ঘর সংসার, সেলাই রিফু, রান্না, বাগান এসবই তো মেয়েদের কথা? কিন্তু হায়! কবেই বা মেয়েদের কথা এরকম সাদামাটা, নিরীহ কিংবা সামান্য হয়েছে? ঘরসংসার, রান্না, বাগানের মধ্যেই চাপা থাকে অন্য এক মহাজীবন। আর প্রান্তিক মেয়েদের জীবন! ওহ! সে যেন মহাভারতের থেকেও ভারী আর দীর্ঘ। গল্পকার, প্রাবন্ধিক, সমাজকর্মী প্রতিভা সরকার তেমন মেয়েদের কথাই লিখেছেন। লিখে থাকেন তিনি প্রবন্ধে এবং অতীব আশ্চর্য সব গল্পে। যারা তাঁর গল্পগ্রন্থ ‘সদাবাহার’ পড়েছেন তারা জানেন। প্রতিভা সরকারকে পড়তে পড়তে মনে হবে আমরা তাঁকে আবিষ্কার করতে করতে পথ হাঁটছিআর অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে দেখছি বিরাট ভারতবর্ষের কোনা ঘুপচি থেকে বেরিয়ে আসছে এক একটি ভস্ম-চাপা আগ্নেয়গিরি। 

পশু আবাসের সামনের মাঠে দাঁড়িয়ে ছিল পস্তু(পোস্ত) বালা কর্মকার। ২০১৮ সালের লালন পুরস্কারে ভূষিত পুরুলিয়া জেলার বিখ্যাত নাচনি।

“-লালাবাবুর সংসার ছাড়ে ছুড়ে দিবার মতো বুকের ভেতর সে ডাক এসে না পৌঁছলে লাছনী হয়ে ওঠা হয় না গ্য। সংসার হল গ্যে রীতিনীতির গুলাম! তাতে কীটস্য কীট মানুষ, আর বিটিছেলা হলে তো কথাই নেই! তার বুকের পাটা এমনিতেই কাঁপে, কন সাহসে সে এমনটা করবেক বলো দিকি! উ কি কেবল ঐ রসিকের জন্য করবেক? রসিকের সংসারে সেই মানমর্য্যাদা সে কি পায়! উঁহু লয় গো লয়, তা লয়।”

কোন মহত্তর ডাকের কথা বলেন নাচনি পোস্তবালা? যে ডাক আমরাও শুনি কবিতা লেখার ঠিক আগে? যে ডাক শুনে পথে বেরিয়ে পড়ে বাউল-দরবেশ? কিংবা যে ডাক শুনে না গেয়ে থাকতে পারতেন না আখতারি বাঈ ফৈজাবাদি? লেখকের অভিজ্ঞতা হল এই ডাকের কথা নাকি বেশিরভাগ নাচনিরাই বলে থাকেন, পরমাত্মার ডাক। তারপরের জীবন? এই প্রবন্ধটি পড়লে আঁচ পাওয়া যাবে নাচনির জীবন-সংগ্রাম কাকে বলে! প্রসঙ্গত নান্দীকারের নাচনি নাটকটির কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। রসিকের সংসারে ব্রাত্য, সমাজচ্যুত, অস্পৃশ্য নাচনিদের মৃত্যুর পরও তারা কাঁধ পায় না, স্পর্শ পায় না, আগুনও না। পশুদের মতো পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে গিয়ে ফেলে আসা হয় ভাগাড়ে। পুরস্কার, খ্যাতি, সংগ্রাম, প্রতিষ্ঠা কিছুই বদলে দেয় না নাচনিদের জীবন। ‘সংসারটা জুয়াল বটে। গরুর মতো বাধ্য হঁয়ে ঘাড়টা গতাতে হয়, খুলবার জো নেই একটুকু’। 

অনেকেই নাক সিঁটকে বলেন, মেয়েদের নিয়ে লেখাগুলো বড়ো একপেশে হয়ে যায়। এসব শুনে আমার হাসি পায় খুবমেয়েদের জীবনটাকে তো একটি কক্ষপথে ধরে বেঁধে রেখে দিতে চেয়েছে পুং কাঠামোয় গড়ে ওঠা সমাজ! অকারণ হেনস্থার কথা উল্লেখ করেন লেখিকা। নাম, গায়ের রঙ, চেহারা নিয়ে মজা, কাজ নিয়ে টিপ্পনী এসব আমাদের জীবনের অঙ্গবুলবুল, ঝুমা, শীলা, চামেলি... হিন্দি চটুল গানে মেয়েদের নাম যতবার এসেছে ততবার নিষ্ঠুর রসিকতা, অশোভন ঠাট্টায় মেয়ে-জীবন জেরবার করে দেওয়াটা ছেলেদের কাছে নিছক মজা হিসেবেই থেকে গেছে। নামের বিড়ম্বনায় হস্টেলের দেওয়ালে লিখিত লাভ মেসেজ দেখে ক্লাস সেভেনের পাঁচটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছিল কারণ তারা ভেবেছিল সবাই তাদেরই খারাপ ভাববে! এই তো সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, নমুনা সংবেদনের! ধ্বংসকারী ঝড়ের নামগুলো বেশিরভাগ মেয়েদের নামেই। এমনকি ব্যক্তি স্বাধীনতার দেশ আমেরিকাও এই একপেশে নামকরণে সামিল ছিল। প্রতিবাদের ফলে ঢুকেছে পুরুষনাম কিন্তু নাম ও চেহারা নিয়ে মিম, কুৎসিত ইয়ার্কি কমেছে কি? 

তবু মেয়েরা বেশি বাঁচে। না বাঁচার মত পরিবেশেও পুরুষদের থেকে বেশি দিন টিকে যায় মেয়েরা। কেবল করোনা সব হিসেব গুলিয়ে দিল।এই বইয়ের ‘করোনা সতী’ প্রবন্ধে তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে লেখিকা উল্লেখ করেছেন তফাত- ভারতে করোনায় ৪০-৪৯ বয়সী মৃত মেয়ে ৩.২% আর  মৃত পুরুষ ২.১৫%। ৫-১৯ বছর বয়সী কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে কেবল মেয়েরাই। অবাক করা তথ্য। কিংবা অবাক করা নয়। পুষ্টি, পরিষেবা, পথ্য, প্রতিবেশ, পারিবারিক প্রচেষ্টায় হয়তো খামতি আছে। সমাজবিজ্ঞানীরা বলতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়। প্লেগের সময়ও মেয়েরাই আক্রান্ত হত ঘরের মানুষের নিঃস্বার্থ সেবা-শুশ্রুষা করতে গিয়ে। মেয়েদের প্রতি অবহেলা ঘরে বাইরে সর্বত্র, আজন্মকাল মন ও শরীরের দিকে খেয়াল না রেখে নিজেদের জীবন বাজি রাখার খেলায় মেয়েরা জেতে তাই ‘করোনা সতী’ হয়ে ওঠার প্রবণতা যে কোনো দিন দেখা যেতে পারে। অস্বভাবিক নয় মোটেই।

প্রতিভা সরকার দুর্বার ও আপনে আপ প্রভৃতি সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন তাই তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অঢেল। লোক আদালতের বিচারক ছিলেন তিনি তাই নাচনি, নাচানিয়া, যৌন কর্মী থেকে সাধারণ গৃহবধূর খোরপোষের কাহিনি... বিরাট বিস্তৃতি।  তাঁর দেখা আছে যৌন কর্মীদের জীবন, তাদের মাতৃত্বের প্রতি আকাঙ্খা, হাজার বাধা, প্রতিকূলতা সহ্য করেও সন্তানকে সুস্থ পরিবেশ দেওয়া এবং মায়ের সঙ্গে সন্তানের স্বাভাবিক বন্ধন রক্ষার জন্য তারা প্রাণপাত করে দিতে পারেনমাতৃত্বে তাদের মুক্তি, মানসিক শান্তি ও স্বাধীনতা মেলে। নাচানিয়া হিয়ার উত্তরণ থেকে যৌনকর্মী হীরা্র মুক্তোর মতো হাতের লেখায় রোজনামচা লেখিকার মনে স্থায়ী রেখাপাত করে যায়। দুর্বার আর ডাক্তারবাবুর কথা পড়ে ভাবি মানুষ এখনও তেমন পালটে যায়নি আসলে। আন্দোলন ও রাজনীতিতে যৌনকর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বেঙ্গল রিলিফ সোসাইটতে যখন তারা কাপড়চোপড়, পয়সা, গয়না দান করতে এসেছিলেন ‘মা লক্ষ্মী’ বলে সম্বোধন করেছিলেন স্বয়ং আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। একবার নয় দেশের কাজে তাদের অবদান, নির্ভীক পদক্ষেপ, আড়ালে থেকেও অদমনীয় মনোভাব স্মরণযোগ্য। অরাজনৈতিক তকমা এঁটে নিজের পিঠ বাঁচানো শিক্ষিত মহিলাদের মতো এরা নন এনআরসি, জিএসটি, নোটবন্দি সব একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে হাজারো সমস্যায় জর্জরিত এই তথাকথিত সমাজচ্যচুত মেয়ের দল। সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টার মধ্যেও তারা একজোট এখনও লড়াইয়ে, মিছিলে, নিজেদের শ্রমিক-মর্যাদা পাওয়ার প্রখর দাবি নিয়েও। 

মেয়েদের দাবির পথ বন্ধ করে দেওয়ার ইতিহাস তো বহু পুরনো। সংখ্যালঘু, রূপান্তরকামী, দলিত মেয়েদের সমানিধাকারের দাবি রাষ্ট্রের কাছে আজও অপ্রাসঙ্গিক, অপাংক্তেয়। এই বইয়ে উল্লিখিত হয়েছে হাজারো উদাহরণ ও সত্যি ঘটনা। এনআরসি লাগু হলে যৌনকর্মী, রূপান্তরকামী, সংখ্যালঘু মহিলাদের কী ভবিতব্য হবে! সংখ্যাগুরুরা যে পার পাবেন না সে কথা আসামে এনএরসি লাগু হওয়ার পর সবাই জানেন। পীড়ন, অত্যাচার, অস্বীকৃতির উদাহরণ প্রচুর তাই লেখিকার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলতে ইচ্ছে করে এ দেশের সংখ্যালঘুদের ধৈর্য ও সহনশক্তি ঈর্ষণীয়। এনআরসি এবং সিএএ বিরুদ্ধে মুসলমানদের আন্দোলনেও পুরোধার ভূমিকায় মেয়েরা। স্বাধীনতার আন্দোলনের পর এই আন্দোলনে মেয়েদের যোগদান সর্বাধিক। ধর্মীয় ও দলীয় চিহ্ন বাদ দিয়ে তাদের মুখে শুধুই বাঁচার, খাদ্যের, কর্মের অধিকারের কথা। রাস্তা আটকে রাখার প্রশ্নে শাহিনবাগের মেয়েরা চোখে চোখ রেখে জবাব দেয়, সরকার আমাদের সম্মান, স্বাধীনতা সব জিম্মি রেখেছে, তার বেলা? সারা বছর অমিত শাহের বাড়ির সামনে যে ব্যারিকেড থাকে তাতেও তো মানুষের ভোগান্তি হয়। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এক প্রান্ত থেকে অন্যত্র। শাহিনবাগের দাদিরা দেশের আইকন হয়ে ওঠেন। রানি লক্ষ্মীবাই কিংবা রানি ভেলুর পরম্পরা কাঁধে তুলে নেন নির্ভীক চিত্তে। এঁদের সঙ্গেই উঠে আসে আর্যা রাজেন্দ্রন, রেশমা মরিয়ম রায়, অমৃথা সি, আনন রেশমা স্টেফি, শ্রুথি পি, আনন্দভেল্লির নাম। জানেন এরা কারা? এরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে রাজনীতির আঙ্গিনায় পা রেখেছে, কেরালায়হিন্দুত্ববাদী নারীবিরোধী গো-বলীয় ভাবমূর্তির বিপরীতে জ্বলজ্বল করছে এদের মুখ। কেরালা্র মতো রাজ্যেও এমন অন্ধজযুগীয় ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা টিকিয়ে রাখা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রত্যক্ষ মদতে। মন্দিরে প্রবেশের প্রশ্নেও ঋতুমতী মেয়েদের ওপর ধর্মীয় খাঁড়া মাথার ওপরে উদ্যত। আইনি অধিকার, রাজ্য সরকারের সহায়তা সত্ত্বেও দুটি মেয়ের প্রবেশ আটকানো হয়, সে ছবি, মনুবাদী নির্যাতনের খবর আমরা জানি। ‘মেয়েদের কথা’ মনে করিয়ে দেয় লড়াইয়ের শেষে জয়ের ইতিহাস। পঞ্চায়েত অফিসের দলিত ঝাড়ুদারনি আনন্দভেল্লির ব্লক পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার কাহিনি গোঁড়া খাপ পঞ্চায়েতি জুলুমের বিপ্রতীপে দাঁড়ানো এক উলট পুরাণ

কাশ্মীর, সিরিয়া, আফগানিস্তানে নারীদের অবস্থা নিয়ে একটাই কথা বলা যায় যে কি ছিল আর কি হইল! সব ভালো ছিল কিংবা সব খারাপ নয়। যুদ্ধ, হামলা, ক্ষমতা পরিবর্তন, শোষণ, রাষ্ট্রীয় নীতি, দমনের মাত্রা বাড়ছে প্রতিদিন আর সবথেকে বেশি ভুগেছে নারী। ‘ভালো তালিবান ও শরিয়তসম্মত নারীস্বাধীনতা প্রবন্ধে’ লেখিকার কথাই তুলে ধরলাম, “আফগানিস্তানে যতবার ব্যাপক যুদ্ধবিগ্রহ হয়েছে, বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে মসনদটি দখল করা বা মসনদ থেকে হটিয়ে দেওয়া, যাইই হোক না কেন ততবারই এই নারী স্বাধীনতার ব্যাপারটা বেশ সুস্বাদু ভোজ্যের মতো লোকের পাতে দেওয়া গেছে এবং লোকে সেটা খেয়েওছে।” আর তালিবানি জামানায় নারী জীবন বেড়ায়, বোরখায়, নিষেধাজ্ঞায়, নির্যাতনে জর্জরিত। শরিয়তসম্মত স্বাধীনতার নামান্তরে চূড়ান্ত পরাধীন করে রাখাই আসল উদ্দেশ্য সে আমরা সবাই বুঝি। সিরিয়ার কথাও সবারই জানা কিন্তু এই দেশেই যে রোজাভা ব্যতিক্রম। লিঙ্গসাম্য প্রতিষ্ঠা করার কাজে রোজাভাতে কুর্দ জাতির মেয়েদের অবদান অসীম। বামপন্থীরা লড়ছে তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।

এ রাজ্যের বামপন্থী আন্দোলনে বাঙালি মেয়েদের সক্রিয় ভূমিকা এবং তাদের অবদানকে যথার্থ স্বীকৃতি না দেওয়ায় যে ক্ষত বুকে জমাছে তাও আলোচিত হয়েছে এই বইয়ে। লেখিকা মনে করেন পশ্চিমবঙ্গে যে অসাম্প্রদায়িক আবহাওয়া টিকে ছিল বহুযুগ ধরে তা নারী কমিউনিস্টদের জন্যই। পিতৃতন্ত্রের ক্ষমতায়ন, অবৈজ্ঞানিক আচার বিচারের বিরুদ্ধে তারাই লড়েছেন ঘরেবাইরে এবং সফল হয়েছেন। জাত, পাত, ধর্ম নির্বিশেষে মেয়েরা বামপন্থী আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন, এ পরম্পরা তো আজকের নয়। সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনেও নারীদের ভূমিকা কতখানি জোরদার তা কে না জানে! নওদীপ, দিশা রবি, নিকিতা জ্যাকব সব উজ্জ্বল নাম এই পরম্পরাই তো বয়ে নিয়ে যাচ্ছেএকপেশে হিন্দুত্ববাদী বেচাকেনার রাজনীতিতে এইসব সৎ, অকুতোভয় মেয়েদের ভয় পায় শাসক। পাঞ্জাবে বিজেপির ধরাশায়ী অবস্থার মূল কারণ হল কৃষক বিদ্রোহে সাফল্য এবং উজ্জ্বল এক ঝাঁক মেয়ের উত্থান

ঝরঝরে ভাষায় এই বইয়ের প্রতিটি প্রবন্ধ সচ্চা বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। মেয়েরা লড়ছে... হয়তো সব জঙ্গ জেতা হয় না তবু এই বই প্রমাণ করে হাজার হাজার কুরুক্ষেত্রে মেয়েরা লড়ছে প্রতিদিন নিজেদের মতো করে। 

‘নবজাতক’ প্রকাশনার ‘মেয়েদের কথা’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২২-এর বইমেলায়। কুড়িটি প্রবন্ধের এই বইয়ে দুই একটি জায়গায় তথ্যের পুনরাবৃত্তি বা বানানের হেরফের ঘটেছে। সে সামান্য। তৌসিফ হকের প্রচ্ছদ মনোগ্রাহী।






মেয়েদের কথা

প্রতিভা সরকার

নবজাতক প্রকাশন

মূল্য ২০০ টাকা

লিখলেন -সমর্পিতা ঘটক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)