সমর্পিতা ঘটক

মায়াজম
10

       বিষ দাও শুধু বিষ, অমৃত চাই না




মন চরম উদাহরণটা বেশ জোরের সঙ্গে বলে ওঠার আনন্দটা পাওয়া হল না। ইস্‌ আপশোশ হয় প্রাজ্ঞ দার্শনিকের। মৃত্যুর থেকেও বেশি সে অনুতাপ। শুভ-অশুভর ফারাক এবং তার সঙ্গে এমন জহরিলা সংযোগ! সুন্দর ফুলের ভেতরে লুকনো দৈত্য। ছোট ছোট ফল কিন্তু জিভে পড়লেই জড়িয়ে যেতে পারে জিভ? কন্ঠনালী দিয়ে দৌড়ে যাবে শত সহস্র নেকড়ে! টুঁটি চেপে ধরবে? ফুলের মধুতে এত অন্ধকার! পাপড়ির তলায় জবরদস্ত মারণাস্ত্র! আকাশের দিকে তাকিয়ে এসব কথাই এতক্ষণ ভাবছিলেন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস। তারায় তারায় আকাশ ফুলেল। আজ আকশের দিকে তাকানোর অনুমতি পেয়েছেন। আর তর্কের ফোয়ারায় নেমেছে নিঝুম স্তব্ধতা। পৃথিবী যেন আজ স্থবির কোনও গ্রহ।

এত বিষয়ে তর্ক হল পণ্ডিতদের সঙ্গে... দেবতা এবং অপদেবতা নিয়ে সে কী ভীষণ হৈ হৈ! শুভ-অশুভ, দেবতা-অপদেবতা বিষয়ক তর্কগুলোয় মধু-হেমলকের উদাহরণটা দেওয়া হল না! যা ঘটে আসছে, যা দেখছি আকছার আপাতভাবে তাই ঠিক, তাই নিয়ন্ত্রক, তাই উপযোগী নয়। যা চকচক করে তাই সোনা নয়, এই ধরণের বহুলব্যবহৃত উদাহরণের পাশে আর একটি উদাহরণ থেকে যেত! কিংবা থেকে যাবে কালকের পর থেকে- সব মধু নয় অমৃতসমান।সে যতই আপাতসুন্দর, স্বাদু মনে হোক না কেন! কমলালেবুর ফুলে যে মধু হয় কিংবা ল্যাভেন্ডার, ম্যাপলফুলের মধুর অমৃত স্বাদ আর অন্যদিকে এই হেমলক! আরো কত বিষাক্ত ফুল আছে ভেকধারী! রাষ্ট্রনায়কদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির মতো। এভাবেই একনায়কতন্ত্রী রাষ্ট্র ঘাপটি মেরে থাকে ভালো সেজে। তারপর বিষময় রূপ ক্রমশ ফুঁড়ে বের হয়। মানুষ বুঝবে একথা। সেদিন মানুষের দুটি কথা মনে পড়বে- সব গাছের ফুল, ফল থেকে স্বাস্থ্যদায়ী মধু হয় না। আর সক্রেটিস নিজের যুক্তিতে অনড় ছিলেন, মরতে ভয় পাননি।

আগামী কাল সুর্যাস্তের পর তিনি পান করবেন হেমলক। বাটি ভরে টলটলে তরল। তরল শোক চারপাশকে ভারী করে দেবে। কিন্তু তিনি একাকী একা হতে চান। যুক্তি তর্ক এত এত এত... এবার শান্ত হবে সব। মন বারবার পিছু হাঁটছে অতীতের দিকে। শৈশবস্মৃতি সেপিয়া রঙে সব মেদুর করে দিচ্ছে! আজ মায়ের কথা মনে পড়ছে। মা ধাত্রীবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন, কত কিছু জানতেন। মধু দিয়ে সারিয়ে দিতেন ক্ষত। ফুলের রস ঘসে দিতেন কেটে ছড়ে গেলে। বার্লির ওপর ছড়িয়ে দিতেন এক চামচ সোনালি মধু, অল্প চিজ। চমৎকার স্বাদ। কত বিষ হজম করেছেন এ যাবৎকাল, কত দোষারোপ। কুৎসিত চেহারা, তার্কিক, সংসারে মন নেই, স্পার্টাকে ভালোবাসেন এথেন্সের থেকে, বিষয়ী নন, উন্নাসিক, দেব-দ্বিজে ভক্তি নেই... একা একা এতটা পথ হাঁটতে হাঁটতে আজ মনে হচ্ছে মধুরেণ সমাপয়েৎ হবে আগামীকাল। মায়ের স্পর্শ টের পাচ্ছেন একেবারে ছোটোবেলার মতো। হেমলক, ওইটুকু আগাছা হারিয়ে দিতে পারে মায়ের আঙুলে লেগে থাকা মধুর স্বাদ? শুকনো ঠোঁট চেটে নেন সক্রেটিস। ভেসে ওঠে ছবি, মা কেঁদে ওঠা ভাইয়ের মুখে গুঁজে দিচ্ছে মধু-মাখানো চুষিকাঠি। জেনথিপিও দেয় কোলের বাচ্চাটাকে। কান্না থামিয়ে দিতে মধুর জুড়ি নেই। মহাকাল প্রমাণ করবে মধুর জয় হল নাকি হেমলকের...
টেবিলে মধু লেবু দিয়ে রাখা মিশ্রণ ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। হুঁশ নেই সক্রেটিসের। আর একটু ঠান্ডা হলেই আর খাওয়া যাবে না। তিতকুটে বিষ হয়ে যাবে। মন আজ সকাল থেকেই ব্রাজিল থেকে অনেক অনেক দূরে। এথেন্সের পথে। কালকে বইটা খুঁজে পেয়েছেন বইয়ের তাক ঘেঁটে। প্রথম ফাঁকা পাতায় লেখা আছে- ‘সক্রেটিসের জন্য সক্রেটিস’। বাবার হাতের লেখা! তারপরই পড়তে শুরু করা। পড়তে পড়তে কোথায় ডুবে গেছেন! কিংবা আবছা আলোকরেখা একটু একটু করে স্পষ্ট হচ্ছে। তিনি দেখতে পাচ্ছেন এথেন্সের পথে অনেক ভিড়। শ্রেষ্ঠ দার্শনিকের শেষযাত্রা শুরু হবে। বাটি করে মধু এনেছেন জেনথিপি, সক্রেটিসের স্ত্রী। সারাজীবন অম্ল-মধুর সম্পর্ক। ঝগড়া, অভিশম্পাত, কত কাকচিল উড়ে গেছে কার্নিশ থেকে, কপাল চাপড়েছেন... ‘এই লোকটা শেষ করে দিল জীবনটা! মরণও হয় না!’ হ্যাঁ, এমনও বলেছেন। আজ নীলকণ্ঠ সক্রেটিস শুয়ে আছেন। সোনালি বিকেল বড়ো ভালোবাসতেন। বিকেল রঙের মধু ঠোঁটে ছুঁইয়ে দিতে হবে। যাতে বিষের ওপারে পৌঁছে যেতে পারে অমৃত। কালান্তক রাত্রির পরে যেমন নেমে আসে ভোর।

মারা যাওয়ার পর সব মধুর করে দেওয়ার কী জবরদস্তি প্রচেষ্টা আমাদের! তেমন করে তার পড়া হয়নি তাঁর নেমসেক গ্রিক দার্শনিকের জীবন। আসলে যে তিন নায়ক সক্রেটিসের ভেতরে সাম্রাজ্য এঁকেছে তাঁরা হলেন- চে গেভারা, ফিদেল কাস্ত্রো আর জন লেনন। বাবা বেশি পড়তেন দর্শনের বই, তাই বোধহয় তাঁর নামকরণ মহান দার্শনিকের নামেই। অন্যান্য বইও ছিল। বাড়িতেই একটা ঘর ছোটো লাইব্রেরির আকার নিয়েছিল। কিন্তু ওইদিনের কথা ভাবলেই চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে সক্রেটিসের। বই লুকিয়ে ফেলতে হয়েছিল, কিছু নষ্ট করে ফেলতে হয়েছিল ব্রাজিল সরকারের চাপে। বলশেভিক আন্দোলনের বই পুড়িয়ে ফেলতে ফেলতে বাবার চোখ দুটো মনে পড়ে যায়। হাত দুটো কাঁপছিল। আগুনের সামনে জ্বলন্ত চোখ, আগুনেরই স্থির বিন্দু যেন!

ইস্‌, কী বিচ্ছিরি স্বাদ আজকের মধু-লেবু জলের! তেঁতো বিষ! ‘ব্রাজিলের মধু তেঁতোও তো হয়। হ্যাঁ তাই তো ! রেইন ফরেস্টের কত রকম মধু আমাদের!’ বিড়বিড় করে বলে ওঠেন। সক্রেটিস আজ একটা সুতোর সঙ্গে আর একটা সুতো জুড়ে দিতে চাইছেন। ‘আর সব মধু মিষ্টি নয় এইটা বুঝিয়ে দিতে হবে ওদেরকে। সঙ্গে মৌমাছির হুল! শ্রমিক মৌমাছিরা ঘুরিয়ে দিতে পারে চিত্রনাট্য’। জীববিদ্যায় পারদর্শী তিনি। পাশ করা ডাক্তার। এবং অবশ্যই ব্রাজিলের অন্যতম কৃতী ফুটবলার। সক্রেটিস জানেন। টিম গেম। শ্রমিকদের খেলা ফুটবল। আর ফুটবল যদি হয় মাধ্যম! মানুষকে একজোট করতেই হবে। ডাক্তারি হোক বা ফুটবল ম্যাচ কিংবা বড়ো কোনো আন্দোলন... আসল হল প্রস্তুতি... ডিসেকশন। কীভাবে, কখন, কোথায়?
“...When your hearts are lit
Drop your survival kit
Then you never have to
Run or split...”
লেননের গান রোজ শোনেন সক্রেটিস। বিটলসের গানও। প্রেমের, বিরুদ্ধতার, বিরহের গান উদ্বুদ্ধ করে তাঁকে। এক্ষুনি যেমন লেননের শেষ অ্যালবাম ‘মিল্ক অ্যান্ড হানি’র এই প্রেমের গান বাজছে ঘরের ভেতরে... আর হৃদয়তন্ত্রীতে অন্য দোলা দিচ্ছে... ‘ডোন্ট বি স্কেয়ারড’... আজ এই গান অদ্ভুত মাদকতা বয়ে আনছে। খেলা শুরুর আগে যেমন হয় বুকের ভেতরে। আউড়ে যাচ্ছেন লাইনগুলো ‘Then you never have to run or split’। খুন হয়ে যান লেনন ১৯৮০ সালে। খুন হয়ে যান চে গেভারা, তাঁর আর এক প্রিয় নায়ক। আর কত জন খুন হবেন? একগাদা শরণার্থী কেবল দুধ আর মধুর দেশে পালিয়ে যেতে চাইছে... আমেরিকা... আমেরিকা... সেই যেন পাখির চোখ । বিগ ব্রাদারের অপ্রতিরোধ্য সাম্রাজ্য। ১৯৬৪ সালের কালো ভয়ঙ্কর রাত আছড়ে পড়ছে কেন বারবার আজকে! Golpe de estado no Brasil বলেই জানে তো সকলে । বাবার ছোটো লাইব্রেরি সামরিক শাসকের চোখ রাঙানির আগুনে পুড়ল। বাবা তছনছ করে দিলেন বইগুলো। দশ বছরের বালক বুঝতে পারল, যা হল খুব খারাপ হল। স্বেচ্ছাচারী সামরিক শাসক আসলে ভিলেন। মস্ত এক ভিলেন। এমন পেনাল্টির মাফ হয় না। লাল কার্ড দেখানো ছাড়া গত্যন্তর নেই। লাল নিশান উড়ছে শয়ে শয়ে, তিনি আজ বাস্তব থেকে কল্পনার দুনিয়ায়। উত্তর পেয়ে গেছেন। “Democracia” এর একমাত্র জবাব। জিততে হবে শুধু ফুটবলে নয়। ফুটবলের থেকেও বড়ো মাঠে। দুধ আর মধুর ভাগ সবাই পাবে, প্রিয় লেনন। তাঁর শ্রমিক মৌমাছির দলকে প্রস্তুত করতে হবে। শাসকের সব প্রস্তাব, খেলায় ছড়ি ঘোরানো আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আর এই অবদমন কেবল ৯০ মিনিটের নয়, জীবনের প্রশ্ন। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ কেন থাকবে ওদের হাতে? ঠান্ডা বিস্বাদ হয়ে যাওয়া মধু জল ফেলে দিলেন। সিগারেটের ধোঁয়ায় আজ আজব কুণ্ডলী। ধীরে ধীরে ওপরে উঠছে আর তৈরি করছে মালা। করেন্থিয়ান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সময় আগত। টি শার্টে লেখা থাকবে বার্তা। হেড ব্যান্ডে থাকুক ছোটো ছোটো রিমাইন্ডার। জাগাতে হবে মানুষকে। এ তাঁর বহুদিনের ইচ্ছে। দক্ষিণপন্থীদের অত্যাচারের শেষ দেখে ছাড়বেন। লাগামহারা নিয়ন্ত্রণ খতম হোক।

ডেমোক্রাসিয়া কোরিন্থিয়ানা জার্সি পরেই মাঠে নামল দল। তাঁর নিজের কোরিন্থিয়ানা। তাঁর নির্দেশমতো সাদা কালো জার্সিতে লেখা হল ‘১৫ তারিখ ভোট’। মানুষ কুর্নিশ জানাল এমন সাহসকে। খেলোয়াড়রা সবাই এককাট্টা। জয় এল। ট্রফিও। তার আর তর সয় না। গণতন্ত্রের বার্তা শুধুমাত্র ফুটবল প্রশাসকদের জন্য নয়।ক্লাবের দাবিদাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক আন্দোলনের কথা ভাবতে হবে। সমগ্র ব্রাজিলকে এক হয়ে লড়তে হবে। তবেই তো সবটুকু মধুর হবে। দানা বাঁধছে মৌচাক। মানুষ জাগছে। সব স্তরের মানুষ এক্কাট্টা হচ্ছে। পেরনাম্বুকো, গোইয়াস, গোইয়ান্যিয়া, সাও পাওলো সব শহরগুলোতেই ছড়িয়ে পড়ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলন- Diretas Já- গণতান্ত্রিক নির্বাচন হোক। ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলার দিন শেষ। ফুটবলের থেকে জীবন বড়ো। ফুটবল হল শিল্প আর শিল্পই হল প্রতিবাদের মাধ্যম।
সাও পাওলোর ক্যাথেড্রাল স্কোয়ারে গোটা ব্রাজিলই যেন জড়ো হয়েছে... মাছি গলার জায়গা নেই। রাজনৈতিক বক্তব্য রাখবেন তাদের আদরের সক্রেটিস। দেড় মিলিয়ন মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নির্ভীক স্বরে বলে দেন, “ ব্রাজিলে যদি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয় তাহলে আমি এইবার ইতালিতে খেলতে যাব না।” কী হই হই... চিৎকার... চে গেভারার স্লোগান বলে ওঠে অনেকেই। ‘আস্তা লা ভিক্তোরিয়া সিয়েম্প্রে’- জয় না আসা পর্যন্ত! লড়াই আর লড়াই।

রাস্তা মোটেই মসৃণ নয় জানেন মিডফল্ডার, যাকে মজা করে বন্ধুরা ডাকে মাগরাও( প্যাংলা)। হাতে হয়তো প্রশাসন ধরিয়ে দেবে হেমলক ভর্তি বাটি। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস সুযোগ পেয়েছিলেন পালাবার, পালিয়ে যাননি। ব্রাজিলের মহান তারকা মিডফিল্ডার, বামপন্থী চিন্তক, ডাক্তার সক্রেটিস কী করবেন? পালাবেন মাঝ মাঠ ছেড়ে? মধু আর দুধের দেশে? রানি মৌমাছির সঙ্গে এলাহি ব্যাপার! হাসি পায় সক্রেটিসের। হা হা হা করে হেসে ওঠেন।অট্টহাস্য অনেক দিন পরে। সিগারেট ধরাতে ধরাতেই নিজেকে ধমক দেন। বড্ড বেশি হয়ে যাচ্ছে সিগারেট আর মদ। মধু আর জল কতবার ক্ষত সারাবে? ডিটক্স করতে হবে দেশের মতো শরীরটাকেও। অনেক লড়াই বাকি। এবার যদি বিফল হন, ইতালিতে যেতে হবে কিন্তু ফিরবেন তিনি। ফিরবেনই। মধু আর দুধের দেশে থাকুক তারা, যাদের জীবন নিশ্চিন্ত। যারা বলেন, অরাজনৈতিক হয়ে বাঁচা যায় বেশ। তাদের জন্য করুণা হয় সক্রেটিসের। আজকের দিনটা বড়ো সুন্দর। সভা শেষ, কত লোক এখনো রাস্তায়। ধীরে চলছে গাড়ি, বাড়িয়ে দিলেন গানের ভল্যুম... বিটলস বলছে অন্য মধুর গল্প--
A taste of honey
Tasting much sweeter
Than wine
(Doo-doo-d'n doo)
(Doo-doo-d'n doo)
I dream of your
First kiss and then
I feel upon
My lips again
A taste of honey
(A taste of honey)
Tasting much sweeter
Than wine
Oh, I will return
Yes, I will return
I'll come back
For the honey and you
(Doo-doo-d'n doo)
(Doo-doo-d'n doo)
Yours was the kiss
That awoke my heart
There lingers still
Though we're far apart
That taste of honey
(A taste of honey)
Tasting much sweeter
Than wine
Oh, I will return
Yes, I will return
I'll come back
(He'll come back)
For the honey
(For the honey)
And you
*দ্বিতীয় সক্রেটিস বিখ্যাত ব্রাজিল মিডফিল্ডার, ডাক্তার, রাজনৈতিকভাবে সচেতন এক জনপ্রিয় তারকা, পুরো নাম - Sócrates Brasileiro Sampaio de Souza Vieira de Oliveira। তাঁর বর্ণময় জীবনকাল- ১৯৫৪- ২০১১।
*ইতিহাস ও কল্পনা মিশিয়ে লেখা হয়েছে এই গদ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

10মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

  1. দুই সক্রেটিস কে নিয়ে অসাধারণ সমাপতন ! ইতিহাসের অমর চরিত্র সক্রেটিসের বিচার নিয়ে কয়েকটি নাটক রচিত হয়েছে। মোহিত চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন "সোক্রাতেস" এবং শ্যামল ঘোষের নির্মাণে "নক্ষত্র" প্রযোজনা করেছেন। বহরমপুরের ছান্দিক নাট্যসংস্থা শক্তিনাথ ভট্টাচার্যের লেখা এবং কিশলয় সেনগুপ্তের পরিচালনায় "সক্রেতিস" নাট্য প্রযোজনা করেছিল এবং সেই নাট্যে সক্রেতিসের ভূমিকায় অভিনয় করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সেই সুবাদে আমার প্রিয় চরিত্র সক্রেতিস। হেমলক নিয়ে এতো সুন্দর লেখনী আমার প্রাপ্তি। ভালো থাকবেন।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সমর্পিতা ঘটকবুধবার, জুন ২৮, ২০২৩

      হ্যাঁ এই নাটকগুলো বিখ্যাত। আমি দেখিনি কিন্তু বাবার মুখে শুনেছি। শ্যামল ঘোষের নির্মাণটির কথা বিশেষ করে। আপনি সক্রেটিসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শুনেই আমার ভীষণ ভালো লাগছে। এবারে এই পত্রিকার সংখ্যার বিষয় ছিল মধু। মধু আর হেমলক এই নিয়ে ভাবতে গিয়েই এই লেখাটি তৈরি হল। তারপর দ্বিতীয় সক্রেটিসের অবতারণা। আপনার মন্তব্য আমার প্রাপ্তি হয়ে রইল। আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল। খুব ভালো থাকবেন।

      মুছুন
  2. লেখাটি দুই সক্রেটিস কে নিয়ে হলেও তার মধ্যে বিজ্ঞান,দার্শনিক ভাবনা, রাজনীতি, দাম্পত্য সব কিছুর ছোঁয়া রয়েছে একই সঙ্গে।
    খুব সুন্দর হয়েছে লেখা।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সমর্পিতা ঘটকবুধবার, জুন ২৮, ২০২৩

      ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানাই। হ্যাঁ সমাজ, দর্শন, রাজনীতি নিয়েই এই গদ্য, বাকিটুকু এসেছে লেখার অনুষঙ্গ হিসেবে। খুব ভালো লাগল প্রতিক্রিয়া পেয়ে।

      মুছুন
  3. উত্তরগুলি
    1. সমর্পিতা ঘটকবুধবার, জুন ২৮, ২০২৩

      ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানালাম।

      মুছুন
  4. এ তো মালা নয় গো, এ যে তোমার তরবারি।
    জ্বলে ওঠে আগুন যেন বজ্র হেন ভারী

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সমর্পিতা ঘটকবুধবার, জুন ২৮, ২০২৩

      তাই তো আমি ভাবি বসে
      এ কী তোমার দান।
      কোথায় এরে লুকিয়ে রাখি
      নাই যে হেন স্থান।

      ওগো, এ কী তোমার দান।
      শক্তিহীনা মরি লাজে,
      এ ভূষণ কি আমায় সাজে।

      মুছুন
  5. এমন ভাষ্যগঠন যে বারবার পড়ার মতো। খুব ভালো লাগল সমর্পিতা।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সমর্পিতা ঘটকবুধবার, জুন ২৮, ২০২৩

      দাদা, খুব আনন্দ হল আমার। প্রাপ্তি।

      মুছুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন