কৌশিক সেন - মায়াজম

Breaking

২৬ জানু, ২০২৪

কৌশিক সেন

 

মাংসাশী


রণ্যে রয়েছে পথ, শাল্মলি কদাকার গুণে
পাখিদের নিধুবনে পালক ভাসায় অবধুত
রূপোর রেকাবি ভাসে সরোবরে, কতটা আগুনে
কিছুটা শরীরবাস, কিছু কিছু আপোষ নিখুঁত।
উপচায় পর্বত, দাসখতে লিখে রাখা দেহ
শিরা ও ধমনী চলে নদীপথে, জিভের বাতাসে
টাকরায় সংরাগ, নাদে নাদে বাড়ে সন্দেহ
মাটির দেবতা গড়া শ্বাপদের ঘন প্রশ্বাসে।।


ধাতব
প্রতি আলোকবর্ষে একটি করে ঈশ্বর আসেন
রৌদ্রকঙ্কালে সাজিয়ে রাখেন অষ্টধাতুর মূর্তি
সামান্য আয়োজন। পুড়ে যাওয়া সলতেয়
দু’এক ফোঁটা অশ্রু রেখে যান। দু’এক ফোঁটা...
শুধু দু’এক ফোঁটায় প্রস্রবণের দেশ। হংসিনি
উপকূল থেকে উড়ে আসে পালাবদলের গান
গোলাপি ঠোঁটে তুলে আনা মৎস্যসঞ্চয়। প্রতি
আলোকবর্ষে এক একটি ঈশ্বরী দাঁড়ান অগ্নিপরিক্ষায়...


শ্মশানযাত্রী
কলসে গুছিয়ে রাখি ছাই
কাদায় লেপ্টে যাওয়া চাঁপাকলা,
তিলাঞ্জলী, সশব্দ সূর্যাস্তের পর
বহুবার নাম ধরে ডেকেছে আমায়...
সাড়া দিইনি। নিঃশব্দে ঝরে গেছে
পাঁচালির পদ। রুদালির কান্নাও;
প্রশ্নবোধক চিহ্নরা ফিরে গেলে
আমিও হাঁমুখে আগুন জ্বালাই!


ফুলমান্ডি
আরামে ছিলাম তবু। ভিখারির মত
মনিটারে টুপ্টাপ। স্নানের পরব
টিউকল, টাইমের জল; থরেথরে
গাঁদাফুল ভেসে যাওয়া ব্যাস্তবাজার।
দু’হাত পেতেছি আজ। হারামের মাল
সামলে চলেছি যত তাপ অভিশাপ
মেঘে মেঘে জলের দোকান দেখি
রূপহীন সমতলে ভেসে গেছে নদী...


কাচঘরে...
পালঙ্ক পেতেছি এই দক্ষিণ জানালায়
পতপত পর্দায় কেঁপে ওঠে পতাকা
হাঁ করা সাপ যেন! দাবিয়ে রেখেছে উপগ্রহ
নিভৃত হেঁশেলে - নোড়া পানকুটুনি, রামদা
স্পর্শ করো, কাঁদনের পথ ধরে দুর্যোধন
মর্ষকাম হও। বাঁধনের পথে যশোধরা
বীণা রেখে আসি দিনান্তে। সরস্বতীর নয়
মিনাকারী আকাশে উল্টে যায় কমণ্ডলু!
ব্রহ্মার নয়। প্রজাপতি ওড়ে দীঘল কুণ্ডলিনীতে
পালঙ্ক পেতেছি শিশমহলে। নাচঘরে...
--- 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র