দেবাশিস ঘোষ - মায়াজম

Breaking

২৬ জানু, ২০২৪

দেবাশিস ঘোষ

 





দুটি কবিতা

ঘোড়া ও ইনফিনিটি ~
মৃদু মুদ্রা তুলে রাখো হাতে
তুলে রাখো লুপ্ত পদাবলী
তুলে রাখো আঁজলাভরা জল
তুলে রাখো ব্যথার হেয়ালি
সব পথ দিকদর্শী নয়
ঘোড়া নয় অস্ত্র সমীচীন
শুধু জল অপেক্ষার মতো
চিনে নেয় তৃষ্ণার ঋণ
আপাতত জ্যোৎস্না সম্ভার
শোওয়ানো রয়েছে সব পাপ
শুয়ে আছে ঝাঁকঝাঁক তারা
মহাশূন্যে মৃদু স্বরালাপ
এভাবে পেরিয়ে যায় ঘর
পার হয় মায়া সংসার
রাত্রির চারিদিকে জল
সব পথ তোমার আমার
ভুলে যেও পথের ঠিকানা
কেননা ঠিকানা মানে দাঁড়ি
থেমে যেতে আসেনি তো কেউ
ঝোরা-জল দুরন্ত পাহাড়ি
রাত শেষে অপেক্ষা ঘোড়া
তুমি মানে ইনফিনিটিও
রাত্তিরে ঘুমোনোর আগে
ঘোড়াটিকে বেঁধে রেখে দিও



________________

না-লেখা অন্ধকার ~
অথচ অন্ধকার লেখার কেউ নেই
শরীরের সমস্ত ঘর্মগ্রন্থি হয়ে শিরা ধমনী রক্তে
পৌঁছে যায় অন্ধকার বিলাপ
রাত মানে সাবানের ফেনা
বাথটাবে ভরে উঠছে, ক্রমশঃ ছাদ ছুঁয়ে আকাশ
কে লেখে অন্ধকার যখন সব হাতে হীরের বিচ্ছুরণ!
আমি তো বিপন্ন এক গাছ,
হারিয়েছি ছায়া আর কুঁকড়ে থাকা রুক্ষ বাকল
রাত শুধু জলজ পরিক্রমা, পিচ্ছিলতা আর ঘন বনের রুদ্ধতা
অথচ স্বপ্নের মতো, স্বচ্ছতার মতো এক একটা সকাল বিকেল
উঠোনে বাঁধা থাকত তখন
লেজ নেড়ে দুধ খেত মাঝে মাঝে ঢুঁষ দিয়ে
অথচ অন্ধকার লিখে রাখে না কেউ
যেন কোনওদিনই ঘরের চারপাশে দোকান বাজারে
অন্ধকার বলতে কিছুই ছিল না
বেজে ওঠো অন্ধকার আকাশের ঝুলন্ত থালায়
মেঘ থেকে মেঘে মেঘে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র