চাঁপাতলার ঘাট
গহন রাতে জল ছলছল চাঁপাতলা’র ঘাট
শিশির ঝরে পদ্মবিলের এপার ওপার জলে,
অন্ধকারে যায় না দেখা দূরের বালির চর -
শব্দ শুনি জল থইথই বটের ঝুড়ির তলে।
দিকবিদিকে ঘন আঁধার হালকা হাওয়া বয়
কারা যেন নূপুর পায়েই জল থইথই করে,
জল ছলকায়, ঘাটের পাশে সাঁতার কাটে কেউ
যায় না দেখা অন্ধকারে কার হাত ওঠে পড়ে – ।
ঘাটের ধারে ঢেউ এর ওপর জল চুঁইয়ে পড়া -
টুপটুপ টুপ জলের ফোঁটা কেমন করে ঝরে !
ভেজা শাড়ির পাড়ের নীচে জল জমে বিস্তর
দ্রুত পায়ে ঝমক ঝমক আওয়াজ দূরে সরে।
তারপরে’তে নিশুত রাতে হঠাৎ থামে হাওয়া
সব চুপচাপ, দূরের গাছে কোন সে পেঁচা ডাকে –
কোথায় গেল ঢেউগুলো সব, জলটা যেন স্থির
আবার শুনি নূপুর ধ্বনি - জলে নামতে থাকে।
আমার হাতে কার সে ছোঁয়া, জলের দিকেই টানে
পেছন থেকে শুনি অনেক, খলখলখল হাসি -
কারা যেন বললো আমায়, যাও না জলের মাঝে
ডাকলো আমায় মিষ্টি সুরে বললো, এসো ভাসি।
শুরু হলো বিলের জলেই জীবন মরণ খেলা ;
জলের নীচে যতই টানে তত’ই হারাই পাড়।
অবাক করে দুই হাতে সে আমায় ঘিরেই থাকে
দেখতে না পাই – অনুভবেই মুগ্ধ পারাপার।
অশরীরী’র খেলা নাহয় দেখবো জীবন ভোর,
শুস্তার জল বয়ে’ই চলুক মেহের আলির ডাকে –
ফণীভূষণ খুঁজতে থাকুক মণি’র ভালবাসা !
আমি তখন ডুব সাঁতারে, পদ্মবিলের বাঁকে।
১৮ মার্চ, ২০১৬
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন