কুমারেশ তেওয়ারী

মায়াজম
0

                                  অরবিট




জানলার পাল্লা খুলে যেই বসেছি হাওয়া
এসে খবর দিয়ে গেল পাতাবাহার গেছে
গান শিখতে কোন নীহারিকায়
সুতরাং লেবু পাতার অভিমান ভাঙ্গাতে
আঙুল থেকে খুলে ফেলে সোনার আঙটি
দাঁড়াতেই হবে মহামান্য আদালতের কাঠগড়ায়
##
নাভিদেশে রাত থেকে একটি রক্তমুখি সাপ
গিলে চলেছে রঙিন প্রজাপতিদের
আর প্রসব করছে থিকথিকে ডিম অগুনতি
##
আর মাইকেলঞ্জেলো নই পাথর কেটে বানিয়ে ফেলব
হিমঝরা সন্ধ্যায় জ্যোৎস্নার কারুশিল্প
অথবা অনার্য ডাকাতের বেশে মাধবীর বন থেকে
তুলে নিয়ে আসব লুঠ করা আলো
##
সুতরাং হে জ্যোতিষী যদিও বিশ্বাস রাখিনা
তবু হাতের রেখায় দেখ অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের
কোনখানে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে কক্ষপথ
######



দাও নিয়মিত প্রতিফলন

এভাবে থেকে যাওয়াকে যদি বলো নির্মোক যাপন
তবে তোমার দিকে ছুঁড়ে মারতেই পারি মিউজিক সিস্টেম
##
যদি মনে কর ইস্পাতকে আড়ালে রেখে দেওয়ায়
প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ
তবে ব্যান্ডপার্টি নিয়ে নান্দীপাঠ দুয়ারে দাঁড়ালে
নিয়মিত প্রতিফলনকে আড়ালে রাখবে কিভাবে
##
রাজাভাতখাওয়ার ফরেস্ট বাংলোর কাছে
নুন চাটতে এসেছে যে ডোরাকাটা
তারও দাবি মেপল পাতার মসৃণতা নয়
বরঞ্চ চায় রুদ্রবীণা বেজে উঠুক তোমারই হাতে
##
সুতরাং পুইপাতার বড়া আর লাউশাক ভাজা খাওয়া
শরীরের আলো আলোকবর্ষের পথে রওনা দেবার আগে
শুধু একবার এসে দাঁড়াও ত্রিভুজের শীর্ষ চুড়াই
##
দেখো স্কিপিং-এর দড়ি বদলে সাপ হয়ে যাওয়া সাপের
ফণা ও লেজ ধরে স্কিপিং করছে দামাল কিশোরী
######



নদীকে ছলাৎ বলোনা

নদীকে ছলাৎ বলোনা কখনও
তাহলেই আম্রপালী সাজে নাচতে নাচতে এসে
হাতে ধরে নিয়ে যাবে বৌদ্ধগুম্ফায়
সে তুমি যতই কালপুরুষই হও মহানিমগাছ
ধরে রাখতে চাইবে না তোমার ছায়া
নদী-রোষ অনায়াসে পুড়িয়ে দেয় বাকল
টলমল পরাজয় ধরে রায়দের বাগানে হয়তো
এসে বসলে
আর ওখানেও দেখলে গাছেরা নিজেদের মধ্যে
শুরু করেছে অশ্লীল চ্যাটিং এ ওকে পাঠচ্ছে
নীল ছবির ভিডিও ক্লিপিংস
আর তুমি ফিরে যেতে চাইছ শৈশবে
অথচ কানে ভেসে আসছে শুধু চারদিকে
খাটের দুলুনি ক্যাচক্যাচ
আর যখন সবপথ বন্ধ তোমাকে তো ফিরে যেতেই হবে
সেই নদীরই কোলে দেদ্যুলদোলে
শুধু যা করতে পার তাহলো নদীকে খুব নরম স্বরে বলতে
তার লোফালুফির খেলা যেন তৃণভোজী ধর্মী হয়
—————————~~~~———————

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)