চয়ন ভৌমিক - মায়াজম

Breaking

১৫ মার্চ, ২০১৫

চয়ন ভৌমিক



রঙ বিলাপ



পলাশ আর শিমূলের পাপড়িরা মাটি ছুঁয়ে দিলেই, ন্যাড়াপোড়ার আগুন জ্বলে ওঠে হু হু করে। বসন্ত বাতাসের ষড়যন্ত্রে, থইথই উষ্ণতা ঢেউ তেতলার জানলায় উঁকি দিলেই, বুকের আঁচল ঠিক করে নেয়, কোনো কোনো কিশোরী, চেপে রাখে, কাছে পাওয়া কিছু লাল। নারীরা কখনো সলজ্জ আয়নায় দেখে নেয়, অক্ষয় রইল নাকি লুকানো রঙ। উল্টোদিকে চিলেকোঠা, বা সন্ধ্যায় ফিরে আসা ছায়ানর তবুও জানে, কোথায় রঙের গভীরতা কত বাঁও। উদাস চিলেকোঠা আর আকাশী জানালার মাঝে একটা বাসন্তী সেতু, সাহসী পারাপারে সামান্য দোল খেলেই, উথালি পাথালি রক্ত নদীর বুক। পালঙ্কের তোষকও অকুল পাথার পূর্ণিমার আগাম আভাসে। ঋতুমতীরা লাল রঙ চেনে, শরীর পেতে দেয় রক্তিমের সব রকম ইশারার ডাকে। যেদিন যজ্ঞানল সাক্ষী ছিল, সেদিন থেকেই দোল খাওয়া তাদের শুরু, কিশোরীরাও জানে সে কথা, অপেক্ষা করে।

রঙ তাই মরশুমহীন। একবার প্রোথিত হলে, অনুচ্চার আবেশে, বুকের কোনো গহীন কোনে, বাসা বেঁধে নেয় সে। কখন গাড় হয়ে, গেঁথে যায়, চোখের তারায় অবুঝ প্রণয়ে, কোনো সমীকরণেই সমাধান হয়না। বর্ণালী ছোঁয়া, তাই খোঁজে সকলে, রঙ কৃষ্ণ হয়, রাধাও হয় অনন্ত গোপনে





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র