চাকা কিংবা জন্মান্তরের গল্প...
রাস্তায় বের হবার কিছু সময় পরই রাস্তা হারিয়ে ফেলি। কোথায় যাই? ডানে না বাঁ দিকে, না কি সোজাসুজি।
এ এক আদিঅন্ত সমস্যা। চাকারা ছুটেছুটে আসছে। আমি বিমূঢ়। কেবলই দৃশ্যের বদল হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ,
গণিকা ও লম্পট,প্রেমিকা এবং প্রেমিক যে যার মতো রাস্তা বদলের ইশারা দিচ্ছে। আমিই শুধু এক মধ্যযুগের
গাড়লের মত পথভ্রষ্ট।
এই যে ভাই, হ্যাঁ আপনাকেই বলছি! রাস্তাটা একটু বলে দেবেন। কি বললেন সময়ের টানাটানি!
তবে আবার দৃশ্য পাল্টাক। কোথাও কী পরিচিত বিড়ালকে খুঁজে পাবো ? যে ঘন ঘন রাস্তা কাটে।
ওহে চাকা ! নানা আকারের চাকা তোমরা এসো। এই যে আমি হতাশাগ্রস্থ পথহারানো এক ...এক...এক কী?
জানিনা। তবু তোমরা এসো। আমাকে পিষে ফেলো... আমি এখানেই থাকবো জন্মান্তর পর্যন্ত।
অথ মুখোশ কথা
বিড়াল এবং পাখিকে কবিতার বিষয় করায় আমার এক বান্ধবী ঈষৎ রেগে গিয়ে বললো কবিতা লেখার আর বিষয় পেলে না। আমি বললাম কেন এই তো বেশ। বিড়াল,পাখি,টিকটিকি সবই তো প্রতীকী আবার পরাবাস্তববাদও। একটা ফরাসী ফরাসী ফ্লেভারও আছে।বান্ধবী এবার কুপিত। রাখো তোমার ফ্লেভার!
কেন মানুষ নিয়ে লেখা যায় না? মানুষ কী দোষ করলো? এই যুগপৎ দু’টি প্রশ্নের সম্মুখে আমি হতবাক। মানুষ? মানুষ\ কোথায়? চোখের সামনে যাদের দেখি সবাইতো মুখোশ পরা। শুধু বর্ণ আর আকারটাই যা আলাদা।
বান্ধবীর মুখের দিকে তাকিয়ে এবার একটা শিরশির ভাব অনুভব করলাম।
সুন্দর,যৌন আবেদনময়ী মুখটিতে এক ভয়ংকর বাঘিনীর মুখোশ আঁটা,আমি ক্রমশ...
২০ সেপ, ২০১৫
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
পড়লাম এই পর্যন্ত ...........।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ, Subir Roy
উত্তরমুছুনদুটোই বেশ...
উত্তরমুছুন