ঝুরোকবিতা সিরিজ
(২৪)
জল থেকে উঠে এলো জলপরী
ঝুলনযাত্রায় ঝুলন সান্ত্রা বড়ই একা আজ
মনপাখি ওরে মনপাখি আমার
ঠ্যালাঠেলি গায়ে ঠারাঠারি পায়ে
খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে তারপর কী যে হলো
দুর্বিপাকের কথা আর নাই বা বললে ছোটমুখে
যে যায় লঙ্কায় সেই হয় লঙ্কার রাজা
লঙ্কা বাছতে গিয়ে একী গন্ডগোল
চোখে মুখে জল
(২৫)
জিমি জিমি জিমি আ-যা আ-যা আ-যা
রঙ এবার বলো লাগাব কি তোমার মাথায়
জন্মসূত্রে লম্বা যারা বেশি কর্মসূত্রে তাদের হাতে লাঠি
দিন চলে না রে ভাইয়া আর শ্রাবণ বন্যায়
পাতকুয়োয় পুঁতে রাখা হয় না হীরে মোতির হার
আহা আমাদের ছেলেবেলা বাঁধা ছিল মায়ের আঁচলে
মা তুমি আজ হারালে কোথায় এই সাঁঝের বেলায়
(২৬)
সেবার মোহনমেলায় পান্তাভাতের স্টল ছিল আমাদের
পান্তাভাত কাঁচা পেঁয়াজ আর পেঁয়াজের বড়া
মেয়ের নাম রাখা হয়েছিল ময়ূরাক্ষী
দানা খেয়ে বাড়ি গেছিল রাজহাঁস
বুঝলে কালীদা এভাবেই মেরেকেটে আমাদের কাঁচা যৌবন
টরটরে ছেলেটার হাতে ছিল একটা পেন্সিল
ঘুড়ি আঁকতে বসে এঁকেছিল এক বুড়ির থোবড়া
কাট্টিস কাট্টিস কাট্টিস তোর সঙ্গে কথা বলব না আর
(২৭)
যখন যা লাগবে বলবেন দাদা দয়া করে
ছুরি কাঁচি আয়না পাউডার মায়ের দুধ
কুড়ির সঙ্গে কুড়ি যোগ করলেই তাহলে চল্লিশ
হাততালি হাততালি ফুটবল মাঠে বাবার নামে হাততালি
আমি কিন্তু কিছুতেই দেব না আমার পক্ষীরাজ
সাইকেলের হাতল বাইকের পাদানি নীলকান্তমণি
আগামী বছর থেকে মলমাসে বাতিল হোক মলত্যাগ
ছায়া বেয়ে বেয়ে উঠে যাচ্ছে বিস্তর ছায়াবাজি
আকাশপ্রদীপ সারারাত মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখে তারাবাজি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0মন্তব্যসমূহ
3/related/default
সুচিন্তিত মতামত দিন