চয়ন ভৌমিক - মায়াজম

Breaking

২০ সেপ, ২০১৫

চয়ন ভৌমিক

                                                        আবছা সিটিজেন










এইমাত্র আবেগ ডুবে গেল আঙরাভাসার ক্ষুধার্ত পেটে। প্রেম খোঁড়াতে খোঁড়াতে, অপরাহ্নের কনে দেখা আলো পেরিয়ে, ঢুকে পড়লো বেনাচিতির হুল্লোড়মাখা মোড় পেরিয়ে কোনো এক কানা গলিতে। সহমর্মিতা আর সহযোগিতা এখন সংবাদপত্রের নিরুদ্দেশ কলমে নিয়মিত। সামনেই নির্বাচন। ফর্মালিটির হয়ে মিছিলে পা মিলায় কর্ণ আর অভিমুন্য রোজ সন্ধ্যায়। মুখোশ পরা মুখে নানা রঙের শেড। মিছিলের কেন্দ্রে হাঁটছে ধ্বংসাবতার। কয়েকশ বছর পরেও তার মুখে ইনকিলাবের চোপা, তার সামনে পিছনে হাঁটা স্লেজের সঙ্গে যুতে দেওয়া বল্গাহরিণদের মুখে জিন্দাবাদের সরব সোচ্চার। ভয়ের সঙ্গে মানুষের দ্বৈরথ - কে জিতবে জেনেও খবরের কাগজের সমীক্ষায় কেটে যায় অনন্ত সময়। বেশ ভালো জাতের সানগ্লাস দেখি অনেকের চোখে, রোদ ঠিকরে এলেও চোখ পোড়েনা আর। ওই দেখো দুটি পাশাপাশি মঞ্চ। সুখ আর দুঃখের কলহরত স্বর ডেসিবেলের মাত্রা ছাড়িয়ে উড়ে যাচ্ছে মহাকাশের গর্ভে। আরো একটু এগিয়ে যাই। সমবায়সমিতির হাত থেকে হাসিমুখে ক্ষিদের চারা বিনামূল্যে বাড়ি নিয়ে গেল ভাগচাষীর দল। শপিংমলের ধারের খাতায় সই করে চলে গেল গৃহমুখি ছাপোষা সন্ন্যাসী। উত্তরমেরু আর দক্ষিণমেরুর মধ্যে একটা বাঁশের সাঁকো বানাচ্ছে গুহাবাসী মানুষ। যাদের অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে গেছে কয়েকজন্ম ধরে। কেউ আবার ভেসে গেছে আমাজনের কালো জলে। কুমিরের দাঁতে তাদের অবশিষ্ট পোষাক। সাঁকো তৈরী হলে, আমাকে বেরোতে হবে উত্তরের পথে। ওদিকের শরণার্থী শিবিরে সমস্ত শিশুদের জ্বর হয়েছে। আমি বিশল্যকরণী জঙ্গলে খুঁজে চলেছি মড়কের মহৌষধ। সাঁকোটা পার হওয়া জরুরি, যদিও ফিতের ফাঁসে গিঁট লেগে গেছে বহুদিন হল। সাঁকোর নিচে " ট্রাবল্ড ওয়াটার" চল পার হয়ে যাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র