পিয়াংকী - মায়াজম

Breaking

২৫ সেপ, ২০২২

পিয়াংকী

 ইনটুইশন অথবা প্রাচীন নকশা

 



ভ্রমরের পাশে ঘাপটি মেরে বসে আছে একটা জরুল। বাদাম-খোসা রঙের ওপর সুতোর মতো চুলচুল কীসব, দেখে বোঝার উপায় নেই উল্লিখিত জিনিসটির বয়স হয়েছে, বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করে আসার পর যেভাবে বলিরেখায় ভাঁজ পড়ে ক্রয়বৃদ্ধির সূত্র,ঠিক সেভাবেই ওই এক চিমটে জরুল ঢেকে দিচ্ছে ভ্রমরীলজ্জা। দোহারা চেহারার যুবক একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে এসবের দিকে। ওদিকে বাবার চোখেমুখেও আকাঙ্খা, তীব্র নেশা। পালে বাঘ পড়লে যতই উপচে পড়ুক জল আদতে ঘোরতর জলবায়ু পরিবর্তন কি মুখের কথা?  বাবার আর ছেলের পিঠে ছোপছোপ দাগ। সেই দাগ জলের হতে পারে হতে পারে অপারগতার। তবু  এসব অনর্থক স্বীকারোক্তির পাশে দাঁড়াবার সময় এলে খুলে রাখতে হয় পায়ের ঘুঙুর।কপাট
খুলে সন্তর্পণে বিছিয়ে দিতে হয় সূক্ষ্ম জাল। মাকড়সার লালায় ধীরে ধীরে ভিজতে থাকে মোড়ানো রাংতা আর ভেতরে তখন ক্রমশ উঁকি  দিচ্ছে বুকের ধানীজমি। 

ইনটুইশন হয়ত একটি বালিশ, শিমূল তুলোর ভেতর চুপচাপ লুকিয়ে থাকা শ'য়ে শ'য়ে বীজ। প্রতিটি বীজেই কি পাখি আসে? দীর্ঘ  ওড়াউড়ির পর রেখে যায় পরাগায়ন? গাঢ় কফি রঙের নাবালক ঘরবাড়ি আঁকতে গিয়ে সাদা পৃষ্ঠাকে নির্দ্বিধায় বলে মহাবিশ্বসূত্র। অনাদি আদিভূত অথবা নিরাকার অবয়বের পাশে দু'চারটে মাছি  ঘুরপাক খায় নাটকের মহরার মতো 

ঘুলঘুলির ভেতর আলোর গিঁট পড়ে, ছায়ায়ও সেই গিঁট আর আঙুলের ফাঁকে কন্যারাশির জাতিকা। জন্মান্তরবাদ হয়ে সেই জাতিকা এসে পড়েছে গ্রহণঘরে। যতদূর চোখ, যতদূর ঘুম, যতদূর স্বপ্ন, যতদূর এই তীক্ষ্ণ সংযুক্তি...

আদিম কারুকার্য'র পাশেই আত্মমগ্ন বালক, বিস্ময় বালিকা, যুবক কিশোর  এবং মধ্যলগ্নের পুরুষ । বালির মতো যৌন আত্মীকরণ কিংবা মৃত্যু থেকে ঝরে পড়া সাদা  জুঁই। এরা  কি তোমার ছায়া নাকি ছায়ার বিনিময়মূল্যে তোমাকে হ্যালুসিনেট করার ইনটুইশন ? 

1 টি মন্তব্য:

Featured post

সোনালী মিত্র