সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় - মায়াজম

Breaking

১৫ এপ্রি, ২০১৫

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

পঁচিশ বছর বয়েসে
মোড়ের ঠেক থেকে বাবুল হাঁক দেয়‚ হাসু- 
আমি গায়ে জামা দিই‚ পায়ে চপ্পল
তিরাশি সেকেন্ডে বাবুলের পোঁদে লাথ‚ অতো জোরে
চিল্লাস কেন‚ বোকাচোদা?
শীতের রোদ মেখে বিড়ি বেরোয়‚ দেশলাই‚ তাস
বামা তুলিদের বাড়ীর দিকে ঝাড়ি করে
বাবুল 'র' ইয়ার্কি করে‚ বামা অপ্রস্তুত
মিঠু ঝেড়ে হাসে‚ আমরাও হাসতে শুরু করি
দুপুরের চান খাওয়ায় একঘণ্টা‚ আবার বিড়ি‚ তাস
এবং শর্ট ক্রিকেট
প্রণবা  মর্নিং শিফট সেরে ফিরলো‚ বিকেলে মাঠে
গাছের ছায়ারা লম্বা হচ্ছে উদাসীনতা
সৌগত এলো এ-জোন থেকে সাইকেল ঠেলে
লগার স্বভাবসিদ্ধ হাসিতে অভ্যর্থনা
লগা এখন মান্না দে‚ সৌগত চুপ করে আছে
আমার সাথে আলাদা কিছু কথা ওর রোজ থাকে
শুভজিত নাগপুর থেকে  চিঠি দিয়েছিল‚ মুম্বাই পৌঁছে এখনো দেয়নি

প্রণবা  এসেই রেশনের সিগারেট বিলি‚ আধঘণ্টায় অ্যাপো
আমার হঠাৎই মনে হলো‚ আজ অন্যদিন
আজ কোনোদিন
…টিঙ্কু‚ ট্যান্ডন‚ ফাল্গুনী‚ রূপা …
বুকের বাঁদিক
চল আজ মদ খাই
গান‚ গলায় এসো

প্রণবা  অ্যাপো ভেস্তে যায়‚ আমার ট্যুইশানি
লগা-সৌগতর জরুরী কাজগুলোও
টেনেটুনে বাজেটে আধঘণ্টায় সম্রাট
গোনা সিগারেট‚ ঢালাও বিড়ি‚ স্যালাড ও জল সহযোগে
সময় কিঞ্চিত আগুপিছু মাত্রা
রাত্রে দুটো বাইক শহরটাকে বারবার চিরতে থাকে
গান গলায় বাঁধ মানতে চায়না
দিনের ঝকঝকে সবুজ দুর্গাপুর রাত্রে স্বপ্নিল মায়াময়
মেয়েগুলোর মুখ বুক কিচ্ছু মনে পড়ছে না
কোনো পর্দায় 'টিপ টিপ বরসা পানি'‚ সাদা শাড়ি
শরীর‚ শরীর‚ তোমার মন নাই কুসুম?
গলা দাড়ি-বুড়োর পেছনে লেগেছে -"সমীরণ বন্ধনহারা‚ উন্মন কোন বনগন্ধে‚ মোর "…
একটু পর "দিনের আলো যার ফুরালো‚ সাঁঝের আলো জ্বললোনা "…
আজ আর বাড়ী ফিরছি না
রাত তিনটে‚ দুটো বাইক‚ চারটে মাতাল
বি- জোন বয়েজ স্কুলের মাঠে ঘুমিয়ে পড়ছে
এই মাঠের প্রত্যেকটা ঘাসে আমাদের নাম লেখা আছে

(উপসংহার : পরের দিন‚ প্রণবা  ওর ডিউটিটা বেচে দ্যায়‚ আমরা প্রত্যেকে বাড়ীতে প্রচুর খিস্তি সহযোগে সকালের চা আর দুপুরের খাবার খাই  :) ) 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র