অর্ঘ্য দত্ত - মায়াজম

Breaking

১৫ এপ্রি, ২০১৫

অর্ঘ্য দত্ত


রকবাজির সুরেলা অভিজ্ঞান



আরে গুরুর সামনে স্রেফ উড়ে গেছে , বুঝলি, উড়ে গেছে। দাঁড়াতেই পারে নি। হুঁ, কোথায় গুরু আর কোথায় তোদের আতা- কেলানে সৌমিত্র – এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলেই কানাইদা হাতের প্রায় নিবে যাওয়া চারমিনার সিগারেটে শেষ টান মেরে, আঙুলের ক্রুদ্ধ টোকায় নর্দমায় ছুঁড়ে দিল । নাণ্টুদা বললো – তুই বললেই তো আর হবে না । যখনই উত্তম – সৌমিত্র একসাথে একই বইয়ে অভিনয় করেছে , তখনই সৌমিত্র শুধু অভিনয়ের জোরে উত্তমকে কাত করে দিয়েছে ।ঝিন্দেরবন্দী দেখিসনি?

স্কুল থেকে ফেরার পথে আমি,দীপক আর মৃদুল মাঝে মধ্যে ওখানে একটু দাঁড়াতাম । আমাদের তখনো ঠেকে বসার বয়স হয়নি। পাল বাড়ির সবুজ রং করা কাঠের সদর দরজাটার দুপাশে টানা কোমর সমান উঁচু বারান্দাটার এক কোনে বিকেলের দিকে রামদেও কাকা ঝাঁকায় করে নানান রকম হজমি গুলি , আচার ,শুকনো কুল, আমলকী নিয়ে বসতো । আমরা দশ পয়সার আচার বা কুল কিনে ওখানে দাঁড়িয়ে টাকরায় রেখে তারিয়ে তারিয়ে খেতাম । মূল উদ্দেশ্য অবশ্য ছিল পাড়ার দাদাদের গুলতানির স্বাদ নেওয়া । সেদিন ও ঐরকম একটা আকর্ষণীয় বিষয়ে তর্ক শুনে দাঁড়িয়ে পরেছিলাম । মানিক-দা বললো- তুই যাই বল কানাই ,’স্ত্রী’ তে কিন্তু সৌমিত্র ফাটিয়ে অভিনয় করেছে। কানাই-দা মুখ ভেংচে বলল – যা যা, ফু: ! তোদের সৌমিত্র প্রেমের অভিনয় করতে জানে ! এমন মুখ করে প্রেমের ডায়লগ ডেলিভারি করে যেন নাকে পঁচা মাছের দুর্গন্ধ আসছে । কানাইদার বলার ভঙ্গিতে সবাই খ্যাঁকখ্যাঁক করে হেসে ওঠে । আমরাও । হঠাৎ ওরা সবাই একসাথে চুপ করে গেল । আর কানাই-দা বেসুরো গলায় গেয়ে উঠলো – “ তারও চেয়ে কালো কন্যা তোমার মাথার চুল , ম্যাঘ কালো আঁধার কালো” । ঐ দাদাদের দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখি সামনে দিয়ে হেটে আসছে পাঁচফুট ছ ইঞ্চির , সুন্দরী, কলেজে পড়া, বুকের সামনে দিয়ে হাঁটু ডিঙানো বিনুনি ঝুলনো আমারই পিসতুতো দিদি ,ঝম্পুদি । সৌমিত্র ভক্ত নাণ্টুদা, এই সুযোগে কানাইদাকে ছাপিয়ে গেয়ে উঠলো “হয়তো তোমার জন্য , হয়েছি প্রেমে বন্য , জানি তুমি অনন্য আশার হাত বাড়াই”। পাথরের মতো কঠিন মুখের ঝম্পুদি বাঁ হাত দিয়ে আমার কুলের ঠোঙা সহ ডান হাতটা খপ করে ধরে এক টান মেরে চাপা হিস্ হিস্ স্বরে বলে ছিল - বাড়ি চ । আজ মামাকে বলছি ।এখন থেকেই রকবাজদের সঙ্গে আড্ডা মারা শুরু হয়ে গেছে? ডান হাত দিয়ে এক ঝটকায় নিজের সাপের মতো বিনুনিটাকে ব্যর্থ আক্রোশে যেন পিঠের ওপরে ছুঁড়ে দিয়ে আমার হাত ধরে হনহন করে হাঁটতে থাকে ঝম্পুদি । আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম রকে বসা সবকটা মুখ আমাদের দিকে, সবকটা মুখে বত্রিশ অলআউড । এমনকি, আমার সহপাঠী দীপক এবং মৃদুলেরও ।

রকবাজি-র পরিচিত ইতিহাস খুঁড়তে গিয়ে প্রথমেই প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর আগের এই ঘটনাটা মনে পড়ল।যদিও সেই হাঁটুর নীচ অবধি বিনুনির ঝম্পুদি এখন শহরতলির কোনো স্কুলের রাশভারী বব্চুলো হেডমিষ্ট্রেস। আর একতলা পাল-বাড়িটাও তার সবুজ রংয়ের কাঠের সদর দরজা এবং দু’দিকের উঁচু রকটা সমেত ভ্যানিস্ হয়ে গেছে।সেখানে এখন ‘পানকৌড়ি’ নামের এক পাঁচতলা আবাসন।যার নীচে লাইন দেওয়া ছটা দোকানের মধ্যে একটা আবার মেয়েদের চুল কাটার আধুনিক সেলুন । বাট্ নো রক। নো রকবাজ।

রকবাজ শব্দটা যেন স্মৃতির চিলেকোঠার ভেজানো পাল্লার ফাঁক দিয়ে গতজন্মে দেখা কিছু সাদা-কালো ছায়াছবির টুকরো ভাসিয়ে নিয়ে এলো এ জন্মের প্লাজমা পর্দায় । শুধু পাল-বাড়ির রকই নয়,আমাদের পাড়ার গণ্ডিতেই ছিল প্রায় চার-পাঁচটা রকের ঠেক । আর প্রতিটি রকের ছিল আলাদা চরিত্র । আড্ডাবাজদের শিক্ষা ও আর্থসামাজিক অবস্থার ছাপ পড়তো রকবাজদের আচরণে , তাদের পোষাকে এবং ভাষাতে।হ্যাঁ,ভাষা। কারণ,যে সব বৈশিষ্ট্যগুলো রকবাজির প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছিল সেগুলো হল, মেয়েদের পেছনে লাগা এবং তার ভাষা ও পোশাক।শব্দ ব্যবহারে কত যে নতুন সম্ভাবনা দেখিয়ে ছিল ঐ রক সংস্কৃতি । সৃষ্টি করে গেছে কত যে নতুন ইডিয়ম। মনে আছে ইলেভেনে পড়া আমার মুখে “ পাগলি খাবি কি,ঝাঁঝে উড়ে যাবি” , শুনে আমার ছোট কাকুন রূপোয় বাঁধানো গোমেদের আঙটি পড়া আঙুলে গাঁট্টা মেরে বলেছিল ‘রকের ভাষা বলা হচ্ছে’ । আর পোষাকে রকবাজের সবথেকে অব্যর্থ লক্ষণটি ছিল জামার বুকের বোতাম ওপর থেকে অন্তত: চার-পাঁচটি খুলে রাখা ।

মেয়েদের পেছনে লাগা মানে কিন্তু শুধু নিরীহ প্রেমের গান শোনানো বা কোনো মেয়ের প্রতি মুগ্ধতায় জরজর হয়ে পড়াই নয় ,বরং নিরীহ মেয়েদের বিচিত্র নামকরণ করেও তাদের অতিষ্ঠ করা হত । মনে আছে , ছোট করে চুলকাটা , টিকালো নাকের, বারো মাস কেটস্ জুতো পরা আমাদের পাশের বাড়ির পৃথাকে আওয়াজ দেওয়া হত ‘ইন্দিরা গান্ধী’বলে। আর লম্বা চওড়া মমতা-দি কমলা পার শাড়ি পরে যখন স্কুলে যেত, রক থেকে সমবেত আওয়াজ উঠত ‘টারজান’। কিন্তু সতীন সেন পল্লীর শান্তশিষ্ট সোমাদিকে যে কেন ‘পায়রা’ নাম দেওয়া হয়েছিল আজও তা বুঝতে পারিনি। রকবাজ ছোকরারা সবসময় নজর রাখতো পাড়ার দেখতে ভালো মেয়েদের যেন বেপাড়ার ছেলেরা তুলতে না পারে – তেমন ঘটলে সেটা তাদের পরাজয় বলেই মনে করত ।

তাই বলে, রজবাজি মানে কিন্তু কোনোকালেই শুধু মেয়েবাজি ছিল না। ঐ সব রকের আড্ডাতেই জমে উঠত নানান বিষয়ে আলোচনা এবং তর্কবিতর্কও। আলোচনার বিষয় নির্ভর করতো আড্ডাবাজদের বয়স এবং প্রোফাইলের ওপর। আর আলোচনার চেয়ে উতপ্ত তর্কই হত বেশি। এবং সবসময়ে ও প্রায় সব বিষয়েই যেন দুটি প্রতিপক্ষকে খাড়া করেই জমে উঠতো রকবাজদের তর্ক আড্ডা । উত্তম-সৌমিত্র , সন্ধ্যা-আরতি ,হেমন্ত-মান্না,ইস্টবেঙ্গল- মোহনবাগান,ঘটি - বাঙাল, কংগ্রেস -সিপিএম,সত্যজিৎ- মৃণাল সেন গাভাস্কার- কপিল থেকে লতা-আশা, রফি-কিশোর এমনকি হেমা-জিনাত আমান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তর্কের বিষয়। তবে তুলনায় সাহিত্য বা কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে তর্ক বা আলোচনা আমাদের পাড়ায় রকগুলোতে বিশেষ হতে শুনিনি ।ও সব ছিল পোংটা - আঁতেলদের বিষয়, এমনটাই ভাবা হত। তবে সুকান্ত বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথের চেয়ে বড় কবি হতেন এমন একটা প্রসঙ্গের উত্থান হতে শুনেছি দু একবার। কিন্তু কেন জানি না, এ নিয়ে তেমন ভাবে কোনো দিন তর্ক জমতে দেখিনি ।আমাদের পাড়ার রকে সাহিত্য নিয়ে আড্ডা না জমলেও, সাহিত্যে রকের আড্ডাকে অমর করে গেছেন সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় তার চার মূর্তিতে। তবে রকের আড্ডার সবথেকে জনপ্রিয় বিষয় ছিল রাজনীতি।মনে আছে,আমরা তখন সবে কলেজে ঢুকেছি , মানে রকে বসার ছাড়পত্র পেয়েছি, সে সময় এক একদিন বরুণ সেনগুপ্তের রাজ্য-রাজনীতি নিয়ে চলত উত্তপ্ত আলোচনা। সে আলোচনা, তর্কাতর্কিতে নির্বিবাদে রকবাজ বাবার সঙ্গে যোগ দিত রকবাজ ছেলে, বয়সের ভেদাভেদ মুছে যেত অবলীলায়। আমাদের রাজনৈতিক বোধ ও সচেতনতা পুষ্ট হয়েছে ঐ সব রক-আড্ডার মাধ্যমেই।

পাল-বাড়ির রকটা ছিল যেন মঞ্চের মতো। একই দিনে সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যেত রকবাজ কুশীলবরা। অন্যের বাগান থেকে ফুল চুরি করে, হরিণঘাটার দুধের বোতল নিয়ে দু চার পাক মর্নিং ওয়াক সেরে পাড়ার বৃদ্ধরা ওখানে জমা হতেন সেই সাতসকালে। বাজারের থলি বা খবরের কাগজ হাতে আরও দু-চার জন এসে ঐ প্রাতঃকালীন রকবাজি জমিয়ে তুলতেন। তারপর সকাল সাড়ে নটা-দশটা থেকে বারোটা-একটা পর্যন্ত চলতো চ্যাংড়া ছোকরাদের আড্ডা। তাদের মূল আকর্ষণ ছিল স্কুল মুখী রাস্তায় নেমে আসা লাল পেড়ে,সবুজ পেড়ে ,কমলা পেড়ে সব বলাকার সারি। দুপুর বেলায় ওখানেই তাস পেটাতে বসতো রিটায়ার্ড মেসো মশাইয়েরা। এবং,অবশ্যই ব্রিজ। এমনকি ক্যারামও ঐ রকে বসেই খলতে দেখেছি, যতক্ষণ দিনের আলো থাকতো । শুধু খেলোয়াড় পাল্টে যেত। দাবাও তাই। আবার বিকেল থেকে ঐ রকই চলে যেতো কানাইদাদের দখলে।সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়তে থাকলে ওখানেই কখনো কখনো হয়ে উঠতো নরক গুলজার ।আমরা যখন সাবালক হলাম , তখন ঐ রকেই হাত ফেরতা হয়ে আমাদের ঠোঁটে উঠেছিল চারমিনার বা কিষান বিড়ির কাউন্টার । কোনো এক সরস্বতীর পুজোর আগের রাতে ঐ রকেই প্রথম পাড়াতুতো দাদাদের প্রসাদ পেয়েছিলাম- নারকেল মালায় কোকোকোলার সাথে ‘ওল্ড মংক’রাম ।

পাড়ার পুজো পার্বণে ঐ রকবাজদের সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখেছি। দেখেছি তাদের চরিত্রের বৈপরীত্য। পুজোর চাঁদা তোলার সময় যাদের ব্যবহার ছিল দুর্বিনীত, কালীপূজোর সময় মেয়েদের আসতে দেখলেই যারা পথের মধ্যে চকলেট বোমা বা দোদমা বসাতো, আঠাত্তরের বন্যায় তাদেরকেই আবার কলাগাছের ভেলা বানিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিরলস সাহায্য করে বেড়াতে দেখেছি। পাড়ার বিয়ে বাড়িতে পরিবেশনের দায়িত্ব যারা স্বেচ্ছায় তুলে নিত, তারাই আবার পাড়ায় কোনো বিয়ে বাড়িতে নেমন্তন্ন না পেলে ক্রুদ্ধ হয়ে দল বেঁধে গিয়ে জবরদস্তি পেটপুরে খেয়েও আসত । বিপদে আপদে পাড়ার মানুষের পাশেও দাঁড়াত আবার মানুষকে বিপদে ফেলতেও এদের কিছুমাত্র দ্বিধা ছিলনা।

আজকাল যেন রকের সাথে সাথে ,পাড়ার ছেলেপুলেদের সেই রকবাজ চরিত্রটাও হারিয়ে গেছে।এখন তো স্কুল কলেজ খেদানোদের কাছেও দেখি মোটরবাইক, হাতে দামী মোবাইল, কানে ঠাসা ইয়ার ফোন। স্কুল কলেজ মুখী মেয়েদের পেছনে লাগাটা বন্ধ হয়নি যদিও, কিন্তু তার ধরন গেছে পাল্টে। এখন আমাদের উত্তর কলকাতার পাড়াগুলোতেও ভার্টিকাল বিস্তৃতি শুরু হওয়াতে ,প্রতিটি আবাসনেই থাকে অনেকগুলি উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে। ছ ফুটের ব্যবধানে গড়ে ওঠা দুটি আবাসনের জানালা ,ব্যালকানি বা ছাত থেকে যে ইশারা বিনিময় হয় ,সে ইশারার ভাষাও গেছে বদলে ।ইটের টুকরোয় মুড়ে হাতে লেখা প্রেমপত্র রক থেকে ছুঁড়ে দেওয়ার সংস্কৃতি লুপ্ত হয়েছে । এখন তার বদলে ছাত থেকে ছাত বা ব্যালকনি থেকে ব্যালকনিতে চলে এস এম এস বা হোয়াটস-অ্যাপ আলাপন । চার পাঁচটা ছেলেকে একসাথে কোনো মোড়ের মাথায় বা পার্কের রেলিঙে বসে থাকতে দেখলেও,বেশির ভাগ সময়েই তাদের প্রত্যেকের চোখ আটকে থাকে যার যার মোবাইলের পর্দায় । হঠাৎ চোখ তুলে কোন ‘মাল’ বা ‘আইটেম’ দেখলে পরস্পরকে কনুইয়ের গুঁতোয় সজাগ করে দেয়। হয়তো চোখ মটকে বলে ওঠে ‘হাই বেবি’ বা এমনই অন্য কিছু এবং তারপরেই আবার ডুবে যায় যার যার ভার্চুয়াল কুহকে। সেল্ফি তুলতে ব্যস্ত এই প্রজন্মের ছেলেদের মেয়ে পটানোর পদ্ধতিও গেছে পাল্টে। এরা এখন অনেক সাহসী , খোলামেলা। মেয়েরাও তাই। কোনো মেয়েকে দেখে রকে বসে দল বেঁধে গান গেয়ে ওঠার কথা বোধ হয় ভাবতেই পারে না এরা । এরা কল্পনাও করতে পারে না এদের বাবা ,জ্যাঠা এমনকি হয়তো অনেকের দাদুরাও তাদের অল্পবয়সে কলকাতা থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ঐ সব রকে বসে একসময় ষোলো পেরোলেই শাড়ি ধরা ,সে সময়ের সবুজ সবুজ লাজুক মেয়েদের দেখে,যাদের অনেকেই আজ তাদের মা, জ্যাঠাইমা, দিদিমা বা ঠাকুমা, গেয়ে উঠতো- ‘ঐ মেয়েটির নয়ন দুটি পাগল করেছে’ বা ‘রূপসী দোহাই তোমায় তোমার ঐ চোখের পাতায় আমাকে কাজল লতার কালি কর’ কিংবা ‘কে তুমি নন্দিনী আগে তো দেখিনি ............’
আজ কখনো কোথাও হঠাৎ করে এই সব মন কেমন করা সুর কানে ভেসে এলেই মনে হয় এই গানগুলোই যেন বিলুপ্ত সেই রকবাজির একমাত্র মায়া মেদুর অভিজ্ঞান ।


২টি মন্তব্য:

  1. ''বিপদে আপদে পাড়ার মানুষদের পাশেও দাঁড়াত আবার মানুষকে বিপদে ফেলতেও এদের কিছুমাত্র দ্বিধা ছিলনা।'.... রক সংস্কৃতি সম্পর্কে এই বাক্যটিই মনেহয় সার্থক বাক্য। গানের অনুসংগ টেনে এনে রকবাজির স্মৃতিচারণ এক অনবদ্য মাত্রা পেয়েছে। প্রিয় লেখক অর্ঘ্য দত্তের লেখা অন্যত্র পড়ার সুযোগ হয়েছে বলেই, বলতে দ্বিধা নেই লেখক এখানেও নিজের কলমের প্রতি সুবিচার করেছেন।ভবিষ্যতেও কখনো রকবাজি নিয়ে আলোচনার অবকাশ এলে নিশ্চিতভাবে এ লেখাটির কথা মনে পড়বে। অশেষ ধন্যবাদ- লেখককে এই অসাধারণ লেখাটির জন্য।

    উত্তরমুছুন

Featured post

সোনালী মিত্র