মাহেবুব অনিন্দ্য - মায়াজম

Breaking

১৮ মার্চ, ২০১৬

মাহেবুব অনিন্দ্য

                      
                                     'ধূসর' বিষয়ে, লোরকার সঙ্গে











ধূসর কথাটা ইদানিং এত বেশি মাথায় আসছে কেন? এ প্রশ্নে আমার দূরসম্পর্কের এক নৃবিজ্ঞানী-বন্ধুর না কি লোরকার গরুদের কথা মনে আসে! কবিতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের এতটা বাহাদুরি ফলানো ঠিক কি না এ-বিষয়ে এখনও আমি নিজের সাথেই মীমাংসা করতে পারি নি বিধায় চুপ করে তার কথা শুনতে থাকি আর মনে মনে সেই গরুর একটা ছবি আঁকার চেষ্টা করি। বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে আমি ও আমার গরু অতিমাত্রায় স্বাধীন ও স্বশাসিত, 'মনে মনে'-ব্যাপারটার সাথে যেমন রংতুলি বা কাগজের কোনো সম্পর্ক নেই, আমার আঁকা গরুও তেমনি দিগ্বিদিক ছুটতে চায়।
                                                                                        
আধোঘুমে বা আধোজাগরণে এরমধ্যে লোরকার সাথে কয়েকবার আমার কথা হয়েছে এবং প্রতিবারই আমি তাকে কারলো বলে সম্বোধন করেছি। লোকটা বেশ খ্যাপাটে হলেও আমার কথায় কিছু মনে করে নি বলেই মনে হয়। একটা জায়গায় তার সাথে আমার বেশ মিল! তার গরুরা বাতাসে পা ছড়িয়ে খুরের ধুলা উড়িয়ে উল্টা উল্টা গান গায় আর একসময় গরুদের শিং থেকে গজিয়ে ওঠে লম্বা লম্বা সাধনার গাছ--সেই গাছ থেকে জগতের ধূসর দেখা যায়, এছাড়া অশোকের বিম্বিসার, ডুবের ভাসান, স্বরলিপি খাতার গান প্রমুখও দেখা দিতে থাকে একেকবার নৃবিজ্ঞানী-বন্ধুর সাথে তর্ক জমে ওঠে; তার মতে, জগতের সবই না কি ডিসকোর্স!

কঠিন কথায় আমার কাজ চলে না, আমার দরকার উজ্জয়িনী, অন্তর্ঘাতক, অবিমিশ্র, অন্তর্জলি, উনত্রিশবায়ু এ জাতীয় শব্দের শুদ্ধ পাঠ ও সত্য প্রয়োগ। এ-ব্যাপারে কারলোর গরু, মানে, লম্বা গাছেদের সাহায্য চাইতে গেলে তারা আন্দালুসীয় ভাষায় গান শুরু করে। আমার বুঝতে বাকি থাকে না যে, সবই বন্ধুর ষড়যন্ত্র। কবিতার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে গোড়া থেকেই আমার ঘোরতর সংশয় ছিলো, তাই আমি সাধনার উল্টাগাছে চড়ে ঝড়বাদলে খানিকটা ছিন্নভিন্ন হতে চেয়েছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র