অমলেন্দু চন্দ - মায়াজম

Breaking

৫ জুন, ২০১৫

অমলেন্দু চন্দ


মুখোশের মুখ আমি দেখিয়াছি








মুখোশ বললেই আমার ''বাঘ বাহাদুর'' এর কথা মনে হয়। মুখোশের প্রযত্নে অ্যালিয়েনেশন আর বৃত্তি এতটাই অঙ্গাঙ্গী বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত এর এই সিনেমাটায়। ঘুনুরাম বিদেশে মজুরি খাটতে যায় আর যখন অবেরে সবেরে ফিরে আসে তাঁর গ্রামে পৈত্রিক পেশা তাকে টানে আর টানে রাধা। রাধার সাথে তাঁর প্রেম, সে বাঘের সাজে চমকে দেয় বাঘের নাচ দেখিয়ে। এই বাঘের নাচ দেখিয়ে সে রোজগার করে তাঁর শিল্পের দৌলতে করা রোজগারে সে বিয়ে করবে , তাদের ঘর বাধার স্বপ্নের কথা সে রাধাকে বলে। এমন অবস্থায় ভ্রাম্যমান সার্কাস তাঁর সব চেষ্টা মাটি করে দেয় আর কি । সার্কাসের জ্যান্ত বাঘ দেখতে লোকে চলে যায়, মুখোশধারী বাঘ টের পায় রাধাকেও টানছে সেই বাঘ নাচায় যে তাঁর টান । রোজগার শিল্পের সম্মান আর রাধা সব হারাতে বসা মানুষটার গল্পটা কি করে এগোয় তাঁর পাশাপাশি গল্পটা কি ভাবায় এটাও ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট। একটা প্রান্তিক মানুষ নিজেকে খুঁজতে নিজের আমিটাকে খুঁজতে এসে একটা মুখোশ কে তুলে নেয় বহুরূপীর মুখোশ, কিন্তু সেই মুখোশটাকে জড়িয়ে তাঁর শিল্প তাকে তাঁর আমিকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম নয় তাঁর ভালবাসার জন কেও সে ওই মুখোশ দিয়ে ভোলাতে পারে না তখন সে উপায়ান্তর না দেখে আসল বাঘের খাঁচায় ঢুকে পরে – আসল আর মুখোশের লড়াই, সে হয়ে যায় বাঘ বাহাদুর। আসলে এখানেই সেই মার্জিনালাইজেশনের গল্প, শিল্পে আমাদের অভিলাষের তাগিদের ছবি উঠে আসে – মুখোশ আর মুখ এক হয়ে গেছে, সার্ভাইভ্যালের তাগিদে, একটা লড়াই হচ্ছে, আমরা তৃপ্ত হই – ওই লড়াইটার নির্যাসে।

সত্যিকারের মা ভূমে কি মুখোশ এভাবে লড়াইয়ের জমিন গড়ে দেয়? একটা ক্রাইসিসের উথাল পাথালে অনেক সময়েই মুখোশ অঙ্গাঙ্গী হয়ে যায়। জীবনের নাটকে বিলংগিং এর তাগিদটা এতটাই সন্ত্রস্ত করে তোলে যে মুখোশ টাই পারসোনা হয়ে যায়। হয়ত এখান থেকেই স্প্লিট বা মাল্টি পারসোনালিটির প্রসঙ্গ এসে পড়ে। তাগিদটা দিন তারিখ সন গুনে আসে না। একটা অদ্ভুত শূন্যতার পৃথিবীতে ভুল ঠিকের ধস্তাধস্তিতে তৈরি হওয়া দূরত্ব, ভাল মন্দের আবেশী মোহের বন্যা, জটিল অনুভবের দুনিয়ায় ক্রমাগত নিজের সঙ্গে নিজে একার সঙ্গী হতে থাকার অ-মঙ্গলকাব্যের ফসল ওই স্প্লিট বা মাল্টিপল পারসোনা।
মাল্টিপল পারসোনা আবার অনেক রকমের হয়। ভিড়ের বাসে একজন উঠলেন সঙ্গে একটি আপাত দৃষ্টিতে সুন্দর গোল গাল ছোট একটি বাচ্চা, সে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে উঠে পড়েই একজনের কোলের ওপর ধপ করে বসে পড়ল, যার কোলের ওপর বসল তিনি সুবেশ বা সুবেশিনী এবং তিনি ইন্সটিঙ্কটিভলি বাচ্চা টিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ফেলে দেওয়ার মত তুলে দিলেন, বাচ্চাটা ধাক্কার চোটে প্রায় ছিটকে গিয়ে সঙ্গের জন কে আঁকড়ে ধরল অবাক বিস্ময়ে, সঙ্গী প্রায় ভিখিরির মত মাপ চাইলেন ও আসলে বোঝে না কিছু দেখতেই একটু বড় হয়েছে, আসলে ও না ..., তা সত্ত্বেও সেই সিটে বসা মানুষটি গর গর করেই চললেন কেন এদের নিয়ে বাসে ওঠেন এঁরা ইত্যাদি – এও কি একটা মুখোশের এফেক্টের দরুন স্প্লিট পারসোনালিটি নয়, ওই ভদ্রজন পাড়ার চায়ের আড্ডায় সেই বিখ্যাত শব্দকল্পদ্রুম সাজান “ডিফারেন্টলি এবল” দের নিয়ে – অনেক অনুভূতির পরিমার্জন দরকার আমাদের এসব বলেন টলেন। এখন এর মর‍্যাল ব্যাখ্যা করে ফেলা আর জজ হয়ে পড়া খুব সহজ। এই জজ সাজতে চাওয়ার প্যাশন টাও কি একটা মুখোশ নয়? মানুষ এখানে দেখ মানুষের সঙ্গ ছেড়ে কেবলি পালায় – অথচ মুখোমুখি হলেই ভাল আছি’র মুখোশ টা তুলে নিই অনায়াসে, এর জন্য খুব চেষ্টা লাগে না। তারপর কেউ হয়ত উত্তরে একটা মখমলের মত মসৃণ ধারালো হাঁসি দিয়ে বলে ওঠে – তাই বুঝি! আর তখন মুখোশ টা প্রহসন ছেড়ে দণ্ডবৎ হতে চেয়েও পারে না, তার অন্যান্য প্রায়োরিটি ঠেসে ধরে। কথা হচ্ছে ওই ধারালো মসৃণ ছুরিটাও কি মুখোশ ছিল? যেন ধার পরখ করার কাউকে পাওয়া গেছে তাই নিতান্তই ধারালো আমদানি, অথবা সাইকোলজিক্যাল অভিসন্ধি খুঁজলে আরও অনেক কিছু হয়ত আভাষে গোচর হতে পারে। কথা হচ্ছে কবুলনামা কেউ দেবে না, কারণ নিখাদ নিলাজ লজ্জাহীন আমি র খবর দেওয়ার মত নিরহঙ্কারী আর কয়জনা হয়, আর এইটাই হয়ত রিয়ালিজম – মুখোশ।

নিরহঙ্কার – বাউল কৃষ্টি। যে কৃষ্টি দাসের অনুরূপ দাস হয়ে উঠতে চায় অন্তরে বাইরে। একটা প্রেম। একটা সাধনা। একটা শ্রদ্ধার আন্তরিকতায় দীক্ষিত হয়ে যাওয়া। খুঁজিলে পাবি রে প্রেম রতনধন/ ডুব ডুব ডুব সাগরে আমার মন – একটা অন্বেষণ। নিবেদন যেখানে মনের মানুষ খুঁজছে। আজকাল বাউলের গান গেয়ে অনেকেই স্বাচ্ছল্যের মুখ দেখেছেন, দেশ বিদেশে যান তারা গান শোনাতে। এরকম একজন তাঁর ভাষায় দীক্ষিত বাউল যিনি বিখ্যাত হয়েছেন – নাম নেব না তাঁর, আমার নিজের চোখে দেখা কানে শোনা – একটা প্রোগ্রামের উইংসে তিনি সঞ্চালক আয়োজকদের সাথে তুমুল মেতেছেন – পাঁচ সাতটা গানের কথা ছিল আমি দশখানা গেয়ে ফেলেছি, আর হবে না – অর্থাৎ আরও শুনতে চান নজরানা বাড়াতে হবে। কে করবে দোষ গুনের বিচার – সঞ্চালক আয়োজকরাও তো টিকিট বিক্রি করেছিলেন। সেই বিখ্যাত বাউল কি তখন বাউলের মুখোশ টাকে নাবিয়ে মানুষ হয়েছিলেন? নাকি নিবেদিতপ্রাণ গাইয়ে মানুষ টা আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার একটা চলতি মানুষ হয়ে পড়েছিলেন। নাকি বাউল তত্ত্বের ভাষাতেই তিনি বাউল-শিল্পী, বাউল নন, সুতরাং তাঁর দায়বোধ টোধ আলাদা। আসলে কোনটা যে মুখ আর কোনটা মুখোশ এ মানুষ নিজেও চিনতে পারে না।

ইন্সটিটিউশন বরাবরই ফ্রি স্পিরিট কে ডমিনেট করতে চায়, আর ইন্সটিটিউশনের মুখোশের আড়ালে থাকে বহু মানুষ যারা ক্রিয়েটিভ স্পিরিট কে বাক্স বন্দী করে ফেলতে চায় তাদের নিজস্ব গণ্ডির সীমায় সম্মত করে তুলতে চাওয়ার চেষ্টায়। দেবব্রত বিশ্বাস – মাঠে ঘাটে গেয়ে বেড়ানো লোকটা ইপটা থেকে সি পি এম পার্টি থেকে সরে এল, তারপর শ খানেক রবীন্দ্র সঙ্গীতের জনপ্রিয়তার জোয়ারে বাধ ভেঙ্গে যায় যায় অবস্থায় বিশ্ব ভারতী ফতোয়া জারী করল – এ রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রিস্টিন পিউড়িটি কে ধ্বংস করছে, অতএব মার মার - লোকটা শেষমেশ গেয়ে চলে গেল – এরা কে গো আমারে গাইতে দিল না। মজার ব্যাপার হল লোকটা মারা যাওয়ার পর বিশ্ব ভারতীর খবরদারী শেষ হয়ে যাওয়ার পর আজ দেবব্রতর গানের সি ডি সংখ্যা বোধহয় হাজারের বেশী, বহু গান তিনি গেয়েছেন বন্ধু বান্ধবদের আসরে নিজেদের অন্তরঙ্গতায় আর সেই সব গান এখন সি ডি আর ইউ টিউব এর কালেকশনে – অন্তত একটা ইন্টারনেট কানেকশন শুধু দরকার আর কিছু না থাকলেও। বিশ্ব ভারতীর সেই সব রেজিমেন্টেড অশালীনতা এখন ইতিহাসের খেউর। মুখোশের আড়ালের সেই মানুষগুলোর প্রসঙ্গ অনেকটাই অবান্তর হয়ে গেছে। তাহলে কি শেষতক মানুষ জিতে যায়?

তাহলে কি শেষতক সেই মানুষ জেতে! মুখোশ নয়? বিশ্বখ্যাত অগুস্ত রদ্যাঁ তখনও রদ্যাঁ হয়ে ওঠেন নি। দরখাস্ত দিলেন তৎকালীন ফ্রান্সের আর্ট স্কুল লা একোল দ্য বিউ আর্টস এ ছাত্র হতে চেয়ে – সেই ইন্সটিটিউশনের মাথা তখন গ্যাব্রিয়েল অগাস্ট অ্যানসেলেট – একটি উনত্রিশ কি তিরিশ বছরের প্রতিভাবান আর্কিটেক্ট, আর তার অন্যতম পরিচয় তিনি ভিক্টর হিউগো র ষাঢু ভাই মানে ব্রাদার ইন ল। কথিত যে ভিক্টর হিউগো র অপছন্দের পাত্র হলে সে সব সময়ে লা একোলে দরজা বন্ধ থাকত , নিও ক্লাসিক্যাল মনোভাবনার এই বিশাল পুরুষ নাকি রোদ্যাঁ কে পছন্দ করেন নি আর তাই রোদ্যাঁ তিন বার দরখাস্ত দেওয়া সত্ত্বেও সুযোগ পান নি। সেটা ১৮৫৬ – ৫৭ বা ওইরকম সময়েই যখন রোদ্যা সতের আঠেরো বছরের ছেনি বাটালি হাতুড়ি চালানো শক্ত পোক্ত যুবক হওয়ার দিকে এগুচ্ছেন।

যে বিশাল ক্ষমতাবান শিল্পী লেখক লোকটা ১৮৬০ এর পর লা মিজারেব এর মত রচনা উপহার দিয়েছিল দুনিয়াকে, এটা কথিত যে সেই লেখার জন্য হিউগোর পাবলিশার সেই সময়ে ( ১৮৫৯ – ৬০ বোধহয়) অবিশ্বাস্য রকমের একটা অ্যামাউন্ট এক লক্ষ ফ্র্যা দিয়েছিলেন অ্যাডভান্স হিসেবে আর সেই অ্যাডভান্সের বদলে হিউগো দিয়েছিল লা মিজারাব একটা বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যকীর্তি – সেই লোকটার ব্যাপারে প্রশ্ন টা হল তাহলে কি শুধুই শৈল্পিক চিন্তা ভাবনার তারতম্যের দরুনই হিউগো রোদ্যাঁ কে পছন্দ করতে পারেন নি? এ নিয়ে কেউ কেউ বলেন হিউগো র অন্যতম প্রেমিকা এবং তৎকালীন ফ্রান্সের একজন হাই ফাই সোসাইটি তে ঘুরে ফিরে বেড়ানো জুলিয়েট ড্রু কিছুটা নাকি অজান্তেই দায়ী হয়েছিলেন। যদি কিছুটাও সত্যি থেকে থাকে তাহলে প্রশ্ন হল হিউগো র কটা মুখোশ ছিল? নাকি সবকটাই মানুষ হিউগো ছিল, যখন যেমন তখন তেমন।
এই জুলিয়েট এর সঙ্গে নাকি পরবর্তী জীবনে হিউগোর স্ত্রী আদেল এর বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাঁর নিজের মৃত্যুর কিছু আগে। হিউগো জুলিয়েট কিন্তু কোনোদিন বিয়ে করেন নি, যদিও আদেল এর মৃত্যুর পর তারা অনেক বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাদের সম্পর্ক নাকি জীবিত ছিল। এবং রোদ্যাঁ ততদিনে খ্যাতির সূর্য গগনে। এ কোন মানুষের মুখ আমরা দেখি! ইতিহাস হাসে। তাঁর তো আর কোনও মুখ মুখোশ এসব নিয়ে ভাবনার বিচারের দায় নেই।

সেই রোদ্যাঁ র জীবনে কামিল ক্লদেল এসে পড়েন যখন রোদ্যাঁর বয়েস চল্লিশ পেরিয়ে পঞ্চাশের দিকে ঝুঁকেছে। দশ বছরের একটা নাকি ঝড়ের মত সম্পর্ক একটা উনিশ কুড়ি বছরের মেয়ের সাথে। একটা আর্ট প্যাশন আর সেলফ ডেস্ট্রাকশনের গল্প কামিল কে ঠেলে দেয় অ্যাসাইলামের নিঃসঙ্গতায়, সেখানে মেয়েটি নাকি তাঁর জীবনের শেষ তিরিশ বছর এভাবেই কাটিয়ে মরে যায়। ততদিনে রোদ্যাঁ ও মারা গেছেন। বিদ্বৎজনেরা বলেন রোদ্যাঁর রোদ্যাঁ হয়ে ওঠার পেছনে কামিলের অবদান মেজার করা সম্ভব নয়, এতটাই দেওয়া নেওয়ার ছিল সেই দশ বছরের সম্পর্ক। আজকের ইতিহাসবিদেরা বলেন রোদ্যা নাকি কামিলের অনেক আর্কিটেকচারের আইডিয়া ঝেড়ে দিয়েছিলেন। কামিল কে রোদ্যাঁ বৈবাহিক স্বীকৃতি দেন নি কারণ নাকি রোজ ব্যুরে – আর এক অশিক্ষিতা মহিলা যিনি সারাজীবন নেপথ্যে থেকে রোদ্যাঁর ঘর সামলালেন, অথচ রোদ্যাঁ তাকে বিবাহের স্বীকৃতি দেন নি । দিলেন একেবারে শেষ বয়েসে এসে যখন রোজ সত্তরার্ধ এক প্রাচীনা – রোদ্যাঁ নিজেও বৃদ্ধ। বিয়ের দু সপ্তাহের মধ্যেই রোজ মারা যান। কি অদ্ভুত না – যে স্বীকৃতি অন্তরে চেয়ে না পেয়ে রোজ কি অসঙ্কোচে কাটিয়ে গেলেন সারা জীবন, সেই মহিলা স্বীকৃতি পাওয়ার দু সপ্তাহের মধ্যেই চলে গেলেন, যেন দম ফুরিয়ে গেল তাঁর। রদ্যা সেই বছরেই কয়েক মাস পরে মারা যান। কার মুখ কিসের মুখোশ সমস্ত অহংকার নির্বাসনে পাঠিয়ে মানুষ হতে পারার দায়ের কাছে হাঁটু মুড়ে অগুস্ত রোদ্যা বলছে সত্তোরার্ধ প্রাচীনাকে - “আলেয-ভ্যু মে মারিয়ে আভেচ মন এমুর - উইল ইউ ম্যারি মি মাই লাভ!” যে রুদ্ধবাক স্বপ্নকে অতি সঙ্গোপনে লালন করে রেখেছিলেন রোজ সেই স্বপ্ন মূর্ত হয়ে ওঠার কাছে তাঁর জীবনী শক্তি হেরে গেল। ইতিহাস কি কেঁদেছিল – একটুখানিও? একটা মুখোশের মুখ হয়ে যাওয়ার পালায়!

বাউল তত্ত্ব বলে চৈতন্যদেব নাকি অন্তরঙ্গে ছিলে কৃষ্ণ ভাবের মুরতি আর বহিরঙ্গে রাধার লীলায়িত প্রেম। সেই প্রেম তত্ত্বের ধাক্কায় শঙ্কিত ব্রহ্মণ্যধর্ম একটা মুখোশ চাপিয়ে তাদের বিকৃত ইন্সটিটিউশনাল অমানুষদের তাগিদ কে ধর্মাচরণ রহিত সামাজিক অবক্ষয়ের রূপ দিয়ে দিল। রাজন্যধর্মের পৃষ্ঠপোষক রা হেই সামালো গেয়েছিল। ধর্মের দোহাই দেওয়া মুখোশ মানুষের মানুষী তত্ত্ব কে ছাপিয়ে আজও রক্ত বইয়ে চলেছে। ইতিহাস কি হাসছে! না তাঁর তো কোনও দায় নেই – দায় সবটুকুই মানুষের!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র