সহেলী রায় - মায়াজম

Breaking

৫ জুন, ২০১৫

সহেলী রায়

মুখ ও হুঁশ 









প্রেমের ও অনেক জন্ম থাকে। গত জন্মের প্রেম, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ জন্মের প্রেম। গত জন্মের প্রেম মুখোশ চেনায়, বর্তমান মুখ হয়ে বাঁচে, ভবিষ্যৎ? কে জানে?
যেখানে খেলাঘর বাঁধা যায় না, সেখানে আরও বেশি খেলায় উন্মত্ত হয় নাগরিক মন। আয় খেলা ছুঁড়ে দি একে অপরের কাঁধে, ঠোঁটে, গলায়, কানে, সাদা চাদরের গভীরে, তারপর যখন তোর বুক টনটন, তখন আমি বহুদূর। মুখোশ টেনে আঁচড়ে, কামড়ে, ছিঁড়েও তুই ক্ষান্ত নস। তোর গলায় যে ঘণ্টি বাঁধা, আর আমি পুজো পুজো গন্ধ মাখা মুখোশ, অতলান্তে মিশে যায়।
পৃথিবী শান্ত হলেও ঝড় শুধু বুকেই বাঁচে। খাঁচা থেকে ভোর হওয়া দেখে। অজান্তে রিংটোন বদলে যায় পাখির। সমুদ্রের ঢেউ, জাহাজের সাইরেন, জড়ানো গলায় সকাল চেনায় তারপর ব্যস্ততায় বা অবসরে দূরের কোন অকষ্ট কল্পনা যাতায়াত করে অনায়াসে। আবার অকুতোভয় এক শিকড় পলি ধরে রাখে যত্নে। খোলসবিহীন একমুখ সন্তানের হাত ধরে ঈশ্বরের মত কলম তুলে দেয়। সে কলমে যেদিন ঝর্ণা এল সেদিন আরেক নিঃসাড় মুখোশ জন্ম নিলো। নাভি থেকে নখের কণা পর্যন্ত শুধু দেখা দাও দেখা দাও ধ্বনি। মরুভূমিতে তৃষ্ণার্তের মত হাহাকার কর, দেখা পেতে পার, পলি জমানো শিকড় উপড়ে ফেল, দেখা পেতে পার। অলক্ষ্যে ঈশ্বর হাসেন, মুখোশের আবার অবয়ব হয় নাকি? সে তো জলের মত, যে মুখে পড়ে তার আকার ধারণ করে। কি অদ্ভুত মাদকতা সেসব মুখে। দেবতাও আড়াল খোঁজে ভুল বিচারের রোষে। এবার শৈশব আঁকড়ানোর পালা। সামনের পথ বন্ধুর হলেই মানুষ ফিরে যেতে চায় স্বভাবগত কারণে। ফ্রক পরা রাস্তা, সাইকেলের ঘণ্টা, ব্যাঙের ব্যবচ্ছেদের চ্যাপটার ঠোঁটের কোণে এক টুকরো আকাশ ঝুলিয়ে দেয়। খুঁজতে খুঁজতে সেই আরেকটা ফিরতে চাওয়া মন হাত বাড়িয়ে দেয়। পৃথিবী এখানেই থামবে বলে মুখোশের জাগতিক খেলায় সামিল করেছিল। পালাতে পালাতে এবার বিশ্রামের পালা। চোখ বুজে আসে নিশ্চিন্তের বালিশে । বিশ্রামাগার থেকে কৌতূহলের স্টেশনে ছুটে গেল পুরনো সময়। খুশীর হাওয়া কানে কানে আনমনে বলে, এমনটা ছিল না কেন আগে? উত্তর এসেছিল? নাকি শ্রবণ শক্তি হ্রাস পেল। আর মুখোশ দেখতে চায়নি চোখ। আতঙ্কে বুক পেতেছিল নদীর মত।
ভালবাসা থেকে টুপ করে মুখোশের ফোঁটা
পরকীয়া পাকে জমে যাও
মৃত্যু এবার বসন্ত চাই...

৪টি মন্তব্য:

Featured post

সোনালী মিত্র