শিমন রায়হান - মায়াজম

Breaking

৫ জুন, ২০১৫

শিমন রায়হান



আরো যারা দাগ হয়ে যাচ্ছে










কবিতাঘাট

কবিতা নাযেল হবার সাথে কোন স্থান, কাল এর প্রাসঙ্গিকতা কিঙবা আকস্মিকতা আছে কি না সে কথা বরং থাক। তবে যাপিত টাইমলাইনের সেইসব বোধিবৃক্ষ স্বরুপ মাইলফলক গুলোর সাথে আমাদের একটা মাখামাখি তো আছেই। সান্ধ্য পুকুরঘাট, লাগোয়া কংক্রিট বেঞ্চি, আবছায়ায় জলের গরাদ, প্রতিবেশী জানালায় পর্দার দ্বিধা... এসব কী কম বাকপটু! শুধু কবি’ই মেলানকলিক সন্ধ্যেসমগ্র উজাড় হতে দেন ঘাটে। কিছু ঋণ শোধ হয় বৈকি। সঙ্গ পায় নির্জন জানালারা, উজ্জ্বল মাছের ঝাক। সমান্তরালে ঝিঝি সম্মেলন থাকে, থাকে ইন্দ্রিয়াতীত মনস্তাপ। রোজনামচার অভিজ্ঞতাপূর্ব এ পর্ব ফুড়ে আবির্ভূত হয় মহামহিম আলো। কিঙবা তার আগমন অনিবার্য হয়ে ওঠে

পূর্বরাগ

হয়তো পুরো ঘটনাটাই অপেক্ষা করছিল। নাযেলের ধারণাটি অপার্থিবতার বাইরেও কোন ভাবে অবস্থান করে হয়তো। দূরালাপনী সংকেত জ্বলে থাকে উপরে, নিচে জ্বলে থাকা নিয়ন হঠাৎ নিভে গেলে জলের স্বর বেয়ে অন্তঃপুরে নেমে যায় মাছের দল। দূর্গ-দরোজার এপার ওপারের ফারাক দৈবাৎ উবে যায়। এই উসিলায় মৎসপুরী নেমে যাই। কিঙবা এভাবেও বলা যেতে পারে মৎসপুরী উঠে যাই। ঢুকে পড়ি নির্নিমেষ জগতের অগুন্তি সচকিত ভঙ্গিমার কিনার ঘেষে। তারপর মাথার মধ্যে হাঁটতে থাকি। কোন পুরোনো পথের সাযুজ্যে নতুন পথের মায়াজালে ধরা পড়তে মন সচেতন হয়ে ওঠে। হ্যাংওভার কেঁটে গেলেও বোকামির প্রান্ত ঘেষে জেগে থাকে- সব পথ প্রকারান্তরে আর গন্তব্যদোষে অভিন্ন, এরকম এক গড়িমসি বিশ্বাস, উপশমের আদলে

সন্ধ্যের পাখিভাষিক

 এরকম প্রতিটি সন্ধ্যের অবিচ্ছিন্নতা আবিষ্কারের আমোদে ডুবে থাকে কবির শোকাতুর ডানা। রোশনাই সমূহের অন্তরালে কোন এক সাপেক্ষে বুঁদ হয়ে থাকার বিশেষ কানুন নেই। আর সকল মুদ্রণ শুধুই শাদা-কালো। অন্যান্য কিছু রঙিণ অলংকরণের উদাহরণ ছাপিয়ে বেদনা্র সরল চলাচল’ই এঁকে যাওয়া যাক তবে
… কোন কবিতা’ই এরকম সন্ধ্যের সমকক্ষ হয়ে উঠছে না যেহেতু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র