অর্ঘ্য দত্ত - মায়াজম

Breaking

৫ জুন, ২০১৫

অর্ঘ্য দত্ত


মুখ কাঁদায় মুখোশ ভোলায় 








চারদিকে কাঠের রেলিং দেওয়া একটা দোলনায় চিত হয়ে শুয়ে আমি তারস্বরে চেঁচাচ্ছি। নীল ডুরে শাড়ি পরা আমার যুবতী মা, তার সদ্য স্নান করা ভেজা চুল পিঠের উপর ছড়ানো, নাকের পাটায় নাকছাবির মতো জলের ফোঁটা, কানে ঝুমকোর নীচে মোতির মত দুলছে জল বিন্দু, মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসে দোলনার উপর ঝুঁকে পড়ে আমাকে ভোলানোর চেষ্টা করছেন – তবু আমি কাঁদছি। কেঁদে চলেছি অভিমানে। মা তাড়াতাড়ি যেই নিজের মুখের সামনে তুলে ধরলেন বহুবর্ণ রঙিন মুখোশ, ওমনি আমার মুখে ফুটে উঠলো হাসি। তখনো কি দাঁত উঠেছে আমার? কি জানি মনে নেই। শুধু এটুকু মনে পড়ছে, মা যেই মুখোশ সরিয়ে নিচ্ছিলেন, মার মুখ দেখেই সশব্দে ভেঙে পড়ছিল অনেকক্ষণ একা একা দোলনায় শুয়ে থাকার অভিমান। আবার মা’র মুখে মুখোশ উঠে এলেই, অভিমান ভুলে হেসে উঠছিলাম। তখন’ই, ঐ নিতান্ত শিশু বয়সেই, কি শিখে গিয়েছিলাম মুখ কাঁদায় মুখোশ ভোলায়?

অনেক বছর ধরে জমে থাকা স্থির জলে হঠাৎ ঢিল ছুঁড়লে যেমন তরঙ্গের আলপনা তৈরি হয়, সবুজপানা- শ্যাওলার আস্তরণ সরে গিয়ে যেমন নকশা তৈরি হয়, তেমনি ‘মুখোশ’ শব্দটাকে আমার চেতন অবচেতনের জমে থাকা নিস্তরঙ্গ স্তরে ছুঁড়ে মারতেই শৈশবের এই ছবিটা যেন আঁকা হয়ে গেল। কিন্তু, দাঁত না ওঠা বয়সের স্মৃতি কি আমার থাকা সম্ভব? না, সম্ভব নয় বলেই তো মনে হয়। তাহলের দোলনায় চিত হয়ে শুয়ে থাকা ঐ শিশুটি কি আমি? না কি আমার সন্তান? অথবা আমার ছোটো ভাই বা অন্য কেউ? তাও জানি না। ক্যালাইডোস্কোপের পাল্টে পাল্টে যাওয়া নকশার মতো, ‘মুখোশ’ শব্দটা এঁকে দিচ্ছিল মাথার মধ্যে টুকরো টাকরা ছবি। নিজের ছোটোবেলায় বিটি রোড, টবিন রোডে চড়কের মেলায় প্রথম দেখা সস্তার কাগজ বা কাগজের মণ্ডের মুখোশ, কিশোর বয়সে পাগলাতলার মেলায় দেখা মুখোশ পরা গাজনের সং, পরবর্তী সময়ে নিজের সন্তানকে কিনে দেওয়া ব্যাট-ম্যান, সুপারম্যান, স্পাইডারম্যানের মুখোশ, এখনকার সচ্ছল বন্ধুর বৈঠকখানায় সাজানো বিভিন্ন দেশের ধাতুর শৌখিন মুখোশ থেকে শুরু করে জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের মুখোশী মুখ সব মিলে মিশে তৈরি হয়ে গেল এক রঙচঙে বিচিত্র কোলাজ। তার মধ্যেই কিছু কিছু মুখোশ আসলে যেন মুখ’ই এবং ঐ কোলাজ থেকেই উঁকি মারতে থাকে এমন কিছু মুখ যা আজ মুখোশ বলে শনাক্ত করতে পারি। মিলে যায় মুখ আর মুখোশ , মুখোশ আর মুখ।

তখন আমার কত বয়েস? সাত বা আট হবে। সন্ধ্যাবেলায় আমাদের বাড়িতে এলেন এক তরুণ। কৃষ্ণবর্ণ, কাটা কাটা চোখ নাক, মাথা ভর্তি কুঁচকানো কালো চুল। আর অত্যন্ত তেজদীপ্ত এক গাম্ভীর্য তার মুখে। বসার ঘরে দরজা বন্ধ করে বাবার সঙ্গে চাপা স্বরে তার কথা বার্তা চলছিল, কিছুবা তর্ক বিতর্ক’ও। মাকে দেখলাম অতি সাধারণ বাসনে তাকে চা জলখাবার দিতে। যাবার সময় সদর দরজার সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তরুণটি আমার গালে তার হাতটি ছুঁইয়ে রেখেছিল বেশ কিছুক্ষণ। সেই মুহূর্তে দেখেছিলাম কি নরম, মায়া মাখানো তার দুই চোখ। কি লাবণ্য সেই কালো মুখে। আজো মনে আছে সেই মুখ। এখন বুঝি গম্ভীর মুখোশের আড়াল থেকে সেই সন্ধ্যায় ক্ষণিকের জন্য উঁকি মেরেছিল তরুণটির আসল মুখ। শুধু আমিই তা দেখেছিলাম। মা চুপ করে দাঁড়িয়েছিল দরজার পাশে। ছেলেটি নিচু স্বরে “খুদা হাফিস্ মামীমা” বলে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেলে, মা ও যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। ঐ অচেনা তরুণটির পরিচয় জানার জন্য আমাদের ভাই বোনদের ভারী কৌতূহল হয়েছিল। আমাদের প্রশ্নের উত্তরে মা বলেছিলেন, জানি না তোমার বাবার চেনা কেউ হবে। আর বাবা বলেছিলেন, হাতের খোলা লাল মলাট দিয়ে বাঁধানো ইংরেজি বইটি থেকে মুখ না তুলেই – বাংলাদেশে আমাদের পুরোনো প্রতিবেশীর পুত্র। অনেক বছর পরে সাবালক হয়ে জানতে পেরেছিলাম, বাংলাদেশে থাকতে অন্য ধর্মের পুরুষের সঙ্গে গৃহত্যাগ করা আমার নিজের ছোটো পিসির একমাত্র পুত্র ছিল ঐ তরুণটি। তার মায়ের মৃত্যু সংবাদ দিতে এসেছিল। এইযে সেদিন, সাম্যবাদের-র ঘোষিত সমর্থক, আমার প্রগতিশীল বাবা অত্যন্ত নির্লিপ্ত স্বরে তার আত্মজদের কাছে নিজের সহোদরার অস্তিত্ব অস্বীকার করলেন, সেকি কোনো অদৃশ্য মুখোশ ছাড়াই পেরেছিলেন? আজ যেন আমি আমার বাবার মুখের উপর চাপানো সেদিনের মুখোশটাকে শনাক্ত করতে পারি। আসলে কাগজ, মাটি, কাঠ, প্লাস্টিক, ধাতু ছাড়াও আমাদের নিজেদের মুখের মধ্যে মুখোশ তৈরির আরো কিছু উপকরণ নিহিত থাকে যা হয়তো আমরা স্পর্শ করতে পারিনা, কিন্তু মুখকে লুকানোর দক্ষতা যাদের সুচারু।

আমাদের বালক বেলায় সন্ধ্যা হলেই কলকাতায় নামতো লোডশেডিং-এর মিশকালো অন্ধকার। তেমনি কোনো কোনো সন্ধ্যায় প্রৌঢ় রতন জ্যাঠু আমাদের বাড়ি আসতেন বাবার খোঁজে। তখন বোধহয় আমি ক্লাস এইটে পড়ি। দরজা খোলার আগেই মা দুই ভুরুতে বিরক্তি মাখিয়ে চাপা স্বরে আমাকে বলতেন – “যতক্ষণ না রতন বাবু যাবেন, এই ঘর থেকে একপাও নড়বি না কিন্তু”। তারপর দরজা খুলে মাথায় ঘোমটা টেনে বলতেন, ‘ওমা রতনদা, আসুন আসুন বসুন’। রতন  জেঠু   বলতেন, ‘মধু কি ফিরেছে? অনেকদিন তোমাদের খবরাখবর পাই নি, তাই খোঁজ নিতে এলাম, বৌমা’। প্রায় অন্ধকার ঘরে টেবিলের উপর রাখা হ্যারিকেনের আলোতেও আমি রতন  জেঠুর  লোল দৃষ্টিতে লুকানো লোভের কারুকাজ দেখতে পেতাম। আমাকে তিনি বলতেন, “যাও খোকা, পড়তে বস গিয়ে। এখন তো পড়ার সময়"। আমি ঠেঁটার মত ঘাড় গোঁজ করে বসে থাকতাম। হ্যারিকেনের গরম চিমনিতে আঙুল ছোঁয়ানোর খেলা খেলতে খেলতে দেওয়ালে রতন জ্যাঠুর অধীর ছায়াকে কাঁপতে দেখতাম। মা একমুখ হেসে ব্যস্ত হয়ে বলতেন – না না, আপনি নিশ্চিন্তে ওর সঙ্গে বসে গল্প করুন, ও আজ সারা দুপুর পড়াশুনা করেছে। আমি বরং চা নিয়ে আসছি। চলে যাবেন না যেন। আমি ঐ বালক বয়সেই চুপ করে লক্ষ্য করতাম কিভাবে রতন  জেঠুর  মুখোশের নীচে উঁকি মারছে তার আসল মুখ আর মা তার মুখ ঢেকে রাখছেন বুড়ো ভোলানো সৌজন্য মুখোশে।
সেই তখন থেকেই দেখে আসছি মুখ ও মুখোশের খেলা। ঐ বয়স থেকেই বুঝতে শিখেছিলাম যে ছেলেবেলায় মেলা থেকে কিনে আনা মুখোশের মতো, সব মুখোশ হাত ঘুরিয়ে মাথার পেছনে দড়ি দিয়ে বাঁধতে হয় না। ঘূর্ণায়মান আলোর মুহুর্মুহু পাল্টে যাওয়া রঙের মতোই দ্রুত পাল্টে যেতে পারে মুখের নিজস্ব মুখোশ।

ব্র্যাণ্ডেড পোশাকের মতো মুখোশ কিনতে আমরা কোনো মলে যাই না, অর্ডার দিই না ফ্লিপকার্ট বা আমাজনে। তবু আমরা যত সুসভ্য হয়ে উঠছি ততই আমাদের ওয়ারড্রব ভরে উঠছে মুখোশের ভারে। জ্ঞানীর মুখোশ, অজ্ঞানীর মুখোশ, সহায়ের মুখোশ, অসহায়ের মুখোশ, সমব্যথীর মুখোশ, উদাসীনের মুখোশ। একই মুখে পাল্টে যায় কত না শেডের মুখোশ। ব্যথা – আনন্দ, প্রেম – অপ্রেম, সুখ – অসুখ, বিস্মৃতি ও বিস্ময় কত নাম বলব! যখন যেমন দরকার মুহূর্তে তুলে নাও ব্যক্তিগত ভাণ্ডার থেকে। তবে ‘প্রগতিশীল’ ও ‘প্রতিবাদী’ মুখোশ দুটো মধ্যবিত্ত বাঙালিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর রবীন্দ্রনাথকে আমরা বানিয়ে তুলেছি সবথেকে অব্যর্থ ও সূক্ষ্ম কারুকার্যময় মুখোশের সার্থক জোগানদার । কোনো মহাশত্রুর মৃতদেহের পাশেও যদি একবার, “আছে দুঃখ আছে মৃত্যু” – মুখোশ ঠিক মত ফিট্ করে নেওয়া যায় অথবা সবচেয়ে নীচ দেশদ্রোহীও যদি ‘ও আমার দেশের মাটি’ মুখোশটি ঠিকঠাক মুখে এঁটে নিতে পারে, কেল্লা ফতে। আমি নিজের চোখে দেখেছি খোঁপায় জড়ানোর জুঁই ফুলের মালা নিয়ে গ্রিনরুমে চুলোচুলি করা লালপাড় শাড়ি পরা মহিলাদের দলও মঞ্চে নাম ঘোষণা হওয়া মাত্রই কেমন ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’ মুখোশ পরে মাইকের সামনে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে যান। গ্রিনরুমে দেখা আসল মুখগুলো নিমেষে উধাও হয়ে যায়।

মুখোশ ছাড়া এখন আমরা একদম অচল। এইতো সেদিন সকালে বাজারে বেশ চকচকে রুপোর মতো অসময়ের ইলিশ দেখে মেছুনীর সামনে থেবড়ে বসে বাঁ হাত দিয়ে মাছের কান ফাঁক করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছি, আর মনে মনে গুনগুন করছি ‘কতদিন বাদে এলে’; মাছের দেহ স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে কালোজিরে কাঁচালঙ্কার পাতলা ঝোলের কথা কল্পনা করে মুখের ভিতর লালা নিঃসরণ সবে শুরু হয়েছে, এমন সময় বুক পকেটে তিনি বেজে উঠলেন। বুঝলাম, বাজারের লিস্টিতে শেষ মুহূর্তে সংযোজন হতে চলেছে কিছু। মাথার উপরে রোদ্দুরের তাপ বাড়ছে, গা চিড়চিড় করছে, ইলিশ থেকে চোখ না সরিয়েই ডান হাতে ফোন তুলে বিরক্তির স্বরে বললাম – ‘বলো, আর কি আনতে হবে’। ওদিকে পুরুষ কণ্ঠ। বলল – ‘অর্ঘ্যদা, দেখেছো, এসব কি হচ্ছে বলোতো’। কান থেকে সরিয়ে মোবাইল চোখের সামনে এনে দেখলাম – কলকাতা থেকে ফেসবুকীয় বন্ধু একজন। কালোজিরে কাঁচালঙ্কার রসে চেতনা সিক্ত না থাকলে গলার স্বর শুনেই বোঝা উচিত ছিল। ঘড়ি দেখলাম। অনেক কাজ বাকি। বিরক্তি বাড়লো। আমার উত্তর দিতে দেরি দেখে সে বলল – ‘আবার একজনকে কুপিয়ে মেরেছে দেখোনি!’ সঙ্গে সঙ্গে গলার স্বর মেলালাম বিষাদের সঠিক অনুপান। কথার লয়ে আনলাম প্রতিবাদী উত্তেজনার উপযুক্ত দ্রুততা। বললাম – হ্যাঁরে। আর বলিস না, জীবনে ঘেন্না ধরে গেলো। কিচ্ছু ভালো লাগছেনা। এর মধ্যেই ইশারায় মেছুনীর সঙ্গে চলছিল প্রয়োজনীয় কথাবার্তা, ওজন দেখা, টাকা দেওয়া, মাছ মনোমত কাটিয়ে নেওয়া, ব্যাগে ভরা। সবই হল এবং বেশ ভালোই লাগলো। ফোনের উল্টোদিকের বন্ধুটি বয়সে নবীন, তার উত্তেজনাও অকৃত্রিম। সে বলে চলে, ‘আমাদের কিছু একটা করা দরকার দাদা, রাগে পাগল পাগল লাগছে’। আমি ওর কথা শুনতে শুনতে যা করার দরকার তাই করছিলাম। ইলিশের ঝোলের জন্য কচি বেগুন খুঁজতে খুঁজতে বললাম – ‘ঠিকই তো, এটা কি হচ্ছে! আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। কিছু একটা করতেই হবে।' সে খুশি হয়ে বলল – ‘সত্যি দাদা, এত বছর ধরে পশ্চিমবাংলা থেকে এত দূরে থেকেও তোমার মধ্যে বাঙালির প্রতিবাদী চরিত্রটা মরে যায়নি। এজন্যই তো তোমাকে এত ভালো লাগে। তোমার সঙ্গে কথা বলি।'

বাড়িতে ফেরার পর বাজারের ব্যাগ কিচেনের প্রশস্ত প্লাটফর্মে উল্টে দিয়েই স্ত্রী বলে উঠলো – ‘কি গো, কাঁচা আম আনো নি? পই-পই করে বলে দিলাম। টকের ডাল করবো, যা গরম পড়েছে, যথারীতি ভুলে গেছো’। টের পেলাম, সঙ্গে সঙ্গে রিফ্লেক্স অ্যাকশনে ভুরু গুলো বিস্মিত হয়ে উঠলো, চোখের কোনে যেন অবাক হওয়ার ছায়া ঘনিয়ে উঠলো। বললাম – কি বলছো? মনে থাকবে না? পেলে তো আনব । কত দোকান ঘুরলাম। কোথাও কাঁচা আম নেই। তিনিও নাছোড়বান্দা না ভুলে বললেন, এই অসময়ে, গরমের মধ্যে গুচ্ছের খরচ করে একখানা বরফের ইলিশ নিয়ে এলে, আর আমের সিজনে একখানা কাঁচা আম’ও বাজারে পেলে না! অসম্ভব। নিশ্চয় ভুলে গেছো। নিশ্চয় বাজারে গিয়ে ফেসবুক খুলেছ না হলে কারো ফোন এসেছিল। মুহূর্তে অবাক হওয়ার মুখোশ নামিয়ে, পরে নিলাম আহত হওয়ার মুখোশ। রুমাল বের করে ঘাড়ের শুকিয়ে যাওয়া ঘাম মুছলাম বার কয়েক। ঠোঁট কি একটু আপনা আপনি ফুলে উঠলো অভিমানে! চোখ ফুটিয়ে তুললো আঘাতের বেদনা - 'বললাম কি যে বলো? এই ঠাঠা রোদ্দুরে বাজারের এমাথা থেকে ওমাথা খুঁজলাম – তবু একথা বলছ? ঠিক আছে আবার যাচ্ছি না হয়।' এবার মুখোশ তাকে ভুলালো। মাথার উপর ফ্যানের স্পীড বাড়িয়ে দিয়ে তিনি বললেন, না না আর যেতে হবে না। প্রেসার বাড়েনিতো ? যা গরম পড়েছে। দাঁড়াও আমি একটু লেবুর সরবত করে আনছি।

এতক্ষণে সব মুখোশ খুলে নিশ্চিন্তে টেনে নিলাম সেদিনের খবরের কাগজটা। সামনের দেওয়ালের আয়নায় দেখতে পেলাম মুখোশহীন নিজের আসল মুখটা। মনে পড়ে গেল যে আমি নিজেই একদিন লিখেছিলাম-



                                    “ গাল ও গ্রীবার  ম্যাজিক দেখানো খাঁজ
                                       বহুরূপী হয় জরুরি যেখানে যেমন
                                        দক্ষ হয়েছি নিজস্ব নির্মাণে
                                        বহু ব্যবহারে নিখুঁত মুখোশ আজ”।

1 টি মন্তব্য:

Featured post

সোনালী মিত্র